সার্চ ইঞ্জিন
অপটিমাইজেশন বা এসইও ব্যবহার করা হয় ওয়েবসাইটের প্রচার বাড়ানোর জন্য। অনেকে এই
কাজের জন্য অর্থ ব্যয় করেন। কোথাও কোথাও এসইও ম্যানেজার বলে পদও রয়েছে।
পেশা হিসেবে
একে বেছে নেয়ার ভালমন্দ তুলে ধরা হচ্ছে এখানে।
এসইওকে পেশা
হিসেবে বিবেচনা করার সময় মনে রাখা প্রয়োজন, এটা পৃথক কোন কাজ না। ওয়েব
ডেভেলপার-ব্লগাররা সবসময়ই এগুলি ব্যবহার করেন। সহজ কথায়, নিজে ব্লগার-ডেভেলপার না
হয়ে বেশি আশা করতে পারেন না। যদিও ফেসবুক এর মত সোস্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে
আয়ের সুযোগ রয়েছে, সেটা সীমিত। আইটি প্রফেশনাল হিসেবে যে আয়ের হিসেব করা হয়
সেতুলনায় নগন্য। বরং এজন্য যে সময়-শ্রম ব্যয় করতে হয় সেটা অন্যকাজে ব্যয় করলে আয়ের
সম্ভাবনা বেশি।
বিষয়টি
অন্যভাবে দেখা যাক। কোন কোম্পানী এসইও কাজের জন্য কাউকে খোজ করলে তার বাস্তব অভিজ্ঞতা
খোজ করবেন। অন-পেজ অপটিমাইজেশন সম্পর্কে কিছুটা ধারনার ওপর নির্ভর করবেন না। এই
অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন নিজস্ব সাইট। নিজস্ব ব্লগ ব্যবহার করার সময় সুযোগ
থাকে নানাভাবে এসইও পদ্ধতি ব্যবহার করে কিভাবে ভাল ফল পাওয়া যায় যাচাই করা।
বাস্তবতা হচ্ছে
অধিকাংশ প্রতিস্ঠানের এসইও নিয়োগ সম্পর্কে ধারনা নেই। ফলে বিষয়টি এখনও পদ হিসেবে
বিবেচিত হয় না। আগামীতেও হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। একথা বলার কারন কোন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (একাডেমিক) এসইও নামে কোন বিষয় পড়ানো হয় না (সম্ভবত)।
বিপরীতভাবে, খুব
বড় ধরনের প্রতিস্ঠান বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়। যারা এই পেশায় কাজ করেন তাদের আয়ও যথেস্ট।
দুটি বিষয়কে
একসাথে করলে মুল বক্তব্য হতে পারে, পেশা হিসেবে এসইও বেছে নেয়ার সময় অভিজ্ঞতা
অর্জনের জন্য যথেষ্ট সময় হিসেবের মধ্যে রাখা ভাল। কয়েক বছর ধরে নিজস্ব ব্লগ পরিচালনার
অভিজ্ঞতা হওয়ার পর সত্যিকারের আয় আশা করা যায়।
শুধুমাত্র
এসইও-কে পেশা হিসেবে উল্লেখ না করে বরং নিজেকে ব্লগার বা ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে
বিবেচনা করলে আয়ের সুযোগ এবং নিরাপত্তা বেশি হওয়ার কথা।
No comments:
Post a Comment