ভাল ডিজাইন
দেখতে ভাল, মন্দ ডিজাইন মন্দ এমনটাই হওয়ার কথা। একজন গ্রাফিক ডিজাইনার জানেন
বিষয়টা এতটা সরল না। তি ডিজাইন করে মনে করছেন ক্লায়েন্ট পছন্দ না করে যায় না।
নিশ্চয়ই এজন্য প্রশংসা পাওয়া যাবে। বদলে সমালোচনা শুনতে হল।
একজন
ফ্রিল্যান্সারের কাছে ডিজাইনের ভাল-মন্দ জানা কাজে দক্ষতা বাড়ানোর থেকেও
জরুরী। সেটা স্থানীয় কাজেই হোক আর অনলাইন
কাজই হোক। এর ওপর ভিত্তি করে তিনি চেষ্টা করতে পারেন কাজকে উন্নত করার।
ডিজাইনের
ভালমন্দ যাচাইয়ের কিছু নিয়ম উল্লেখ করা হচ্ছে এখানে।
.
অন্যের
ডিজাইন দেখা
ভাল ডিজাইন সম্পর্কে জানার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ভাল ডিজাইনের বৈশিষ্ট লক্ষ্য করা। কোন ডিজাইন অনুসরন করবেন ঠিক করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত প্রতিস্ঠানের ডিজাইনের ওপর নির্ভর করা। প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে দক্ষ ডিজাইনার রাখা হয় অথবা বেশি খরচে দক্ষ ডিজাইনার দিয়ে ডিজাইন করানো হয়। তাদের ডিজাইন দেখার পাশাপাশি মন্দ ডিজাইন দেখুন এবং দুটির তুলনা করুন। সেইসাথে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনাকে দায়িত্ব দেয়া হলে কি করতেন। একসময় এমন দক্ষতা অর্জণ সম্ভব যখন দেখামাত্র বলে দেয়া সম্ভব ডিজাইনার দক্ষ না অদক্ষ।
ভাল ডিজাইন সম্পর্কে জানার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ভাল ডিজাইনের বৈশিষ্ট লক্ষ্য করা। কোন ডিজাইন অনুসরন করবেন ঠিক করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত প্রতিস্ঠানের ডিজাইনের ওপর নির্ভর করা। প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে দক্ষ ডিজাইনার রাখা হয় অথবা বেশি খরচে দক্ষ ডিজাইনার দিয়ে ডিজাইন করানো হয়। তাদের ডিজাইন দেখার পাশাপাশি মন্দ ডিজাইন দেখুন এবং দুটির তুলনা করুন। সেইসাথে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনাকে দায়িত্ব দেয়া হলে কি করতেন। একসময় এমন দক্ষতা অর্জণ সম্ভব যখন দেখামাত্র বলে দেয়া সম্ভব ডিজাইনার দক্ষ না অদক্ষ।
.
কম্পোজিশন
লক্ষ করুন
অনেক ক্লায়েন্ট চান তার ডিজাইনে যতটুকু যায়গা আছে তার পুরোটাই ছবি বা তথ্য দিয়ে ভরে দেবেন। ভাল ডিজাইনে লক্ষ করলে দেখবেন সেখানে বহু যায়গা ফাকা রাখা হয়। কম্পোজিশনে স্পেস বিষয়টি খুবই গুরুত্বপুর্ন। কোন ডিজাইনে কোথায় স্পেস রাখা হয়েছে লক্ষ করুন। নিজেকে প্রশ্ন করুন ডিজাইনের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন অংশ কোনটি। সেখানে দৃষ্টি রাখার ব্যবস্থা করুন। এর চারিদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে এমনকিছু রাখবেন না যারফলে মুল যায়গার আকর্ষন কমে যায়।
অনেক ক্লায়েন্ট চান তার ডিজাইনে যতটুকু যায়গা আছে তার পুরোটাই ছবি বা তথ্য দিয়ে ভরে দেবেন। ভাল ডিজাইনে লক্ষ করলে দেখবেন সেখানে বহু যায়গা ফাকা রাখা হয়। কম্পোজিশনে স্পেস বিষয়টি খুবই গুরুত্বপুর্ন। কোন ডিজাইনে কোথায় স্পেস রাখা হয়েছে লক্ষ করুন। নিজেকে প্রশ্ন করুন ডিজাইনের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন অংশ কোনটি। সেখানে দৃষ্টি রাখার ব্যবস্থা করুন। এর চারিদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে এমনকিছু রাখবেন না যারফলে মুল যায়গার আকর্ষন কমে যায়।
.
সঠিক
রঙ ব্যবহার করুন
প্রতিটি রং নির্দিস্ট বক্তব্য প্রকাশ করে। কোথাও রঙচঙে ডিজাইন করতে হয়, কোথাও মলিন রঙ প্রয়োজন হয়। উজ্জল রঙ আনন্দ প্রকাশ করে, অনুজ্জল রং স্থায়িত্ব, নির্ভরতা ইত্যাদি প্রকাশ করে। ডিজাইনের বক্তব্য অনুযায়ী কোন ডিজাইনে কি রং ব্যবহার করা হয় দেখে নিন। প্রয়োজনে রঙের তালিকা তৈরী করে নিন। কম্পোজিশনের সময় নির্দিস্ট যায়গাকে ফোকাস করার মত রঙের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রয়োগ করুন। নিশ্চয়ই দেখেছেন অনেক ডিজাইনে অধিকাংশ যায়গা সাদাকালো রেখে বিশেষ যায়গা রঙিন করা হয়। উদ্দেশ্য একটাই, সেই যায়গাকে প্রাধান্য দেয়া।
প্রতিটি রং নির্দিস্ট বক্তব্য প্রকাশ করে। কোথাও রঙচঙে ডিজাইন করতে হয়, কোথাও মলিন রঙ প্রয়োজন হয়। উজ্জল রঙ আনন্দ প্রকাশ করে, অনুজ্জল রং স্থায়িত্ব, নির্ভরতা ইত্যাদি প্রকাশ করে। ডিজাইনের বক্তব্য অনুযায়ী কোন ডিজাইনে কি রং ব্যবহার করা হয় দেখে নিন। প্রয়োজনে রঙের তালিকা তৈরী করে নিন। কম্পোজিশনের সময় নির্দিস্ট যায়গাকে ফোকাস করার মত রঙের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রয়োগ করুন। নিশ্চয়ই দেখেছেন অনেক ডিজাইনে অধিকাংশ যায়গা সাদাকালো রেখে বিশেষ যায়গা রঙিন করা হয়। উদ্দেশ্য একটাই, সেই যায়গাকে প্রাধান্য দেয়া।
.
টেক্সট
ব্যবহার
ডিজাইনে টেক্সট ব্যবহারে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। নিতান্ত প্রয়োজন না হলে (ক্লায়েন্ট নির্দিষ্ট করে না জানালে) থ্রিডি টেক্সট বা অন্য কোন ইঠেক্ট ব্যবহার না করাই ভাল। মনে রাখা জরুরী, টেক্স পড়ার জন্য। যত সহজে পড়া যায় তত ভাল। ব্যতিক্রম থাকতে পারে, মুল নিয়ম এটাই। ক্লায়েন্ট কোন ধরনের ফন্ট পছন্দ করেন জেনে নেয়া জরুরী। কম্পোজিশনের সাধারন নিয়মের মত টেক্সট ব্যবহারের সময়ও ফাকা যায়গা রাখা প্রয়োজন। টেক্সট এর পাশে সবসময়ই যায়গা রাখা প্রয়োজন, মাপে কিছুটা ছোট করে হলেও।
ডিজাইনে টেক্সট ব্যবহারে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। নিতান্ত প্রয়োজন না হলে (ক্লায়েন্ট নির্দিষ্ট করে না জানালে) থ্রিডি টেক্সট বা অন্য কোন ইঠেক্ট ব্যবহার না করাই ভাল। মনে রাখা জরুরী, টেক্স পড়ার জন্য। যত সহজে পড়া যায় তত ভাল। ব্যতিক্রম থাকতে পারে, মুল নিয়ম এটাই। ক্লায়েন্ট কোন ধরনের ফন্ট পছন্দ করেন জেনে নেয়া জরুরী। কম্পোজিশনের সাধারন নিয়মের মত টেক্সট ব্যবহারের সময়ও ফাকা যায়গা রাখা প্রয়োজন। টেক্সট এর পাশে সবসময়ই যায়গা রাখা প্রয়োজন, মাপে কিছুটা ছোট করে হলেও।
ডিজাইন
যাচাইয়ের জন্য অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। একারনেই নতুন ডিজাইনার থেকে অভিজ্ঞ ডিজাইনারদের
বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। আর অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্য কাজ করার বিকল্প নেই।
যে কাজই হোক,
প্রতিটি কাজকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সেখানে নতুনত্ব আনতে চেষ্টা করুন। কখনো কখনো
ক্লায়েন্ট আপনার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে একমত নাও হতে পারেন। আপনার ডিজাইনে কি প্রকাশ
করতে চান সেটা তাকে জানান। তারপরও তিনি সন্তুষ্ট না হলে অবশ্যই তার পছন্দমত কাজ
করে দেয়া কর্তব্য।
ক্লায়েন্ট
নিশ্চয়ই ডিজাইনারের মত জ্ঞানসম্পন্ন হবেন না। কাজ এবং টাকা দুটোই যখন তার তখন সেই
বিশেষ কাজের জন্য ভাল ডিজাইন – মন্দ ডিজাইন নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলে।
ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটির জন্য ।
ReplyDelete