Friday, August 31, 2012

ফ্রিল্যান্সিং শুরুর সেরা সময়


বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে যত কথা বলা হচ্ছে তা আগে কখনো হয়নি। অনেকের মনে হতে পারে আগে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি হয়ত তেমনভাবে প্রচলিত ছিল না। অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংকে মুল হিসেবে ধরলে কথা ঠিক, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং উল্লেখ করা না হলেও মানুষ ফ্রিল্যান্স কাজ করছে যুগ যুগ ধরে। বহুকাল আগে একজন গৃহশিক্ষক ছিলেন ফ্রিল্যান্সার। বর্তমানেও নিয়মিত চাকরীর বাইরে অধিকাংশ পেশাই ফ্রিল্যান্সিং। যে যেকাজে দক্ষ সেই কাজ করে উপার্জণ করেন।
কাজেই ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে বর্তমানে বেশি আলোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক। তারপরও বর্তমানের আলোচনা ইন্টারনেট ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিংকে বেশি গুরুত্ব দেয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করার সময় ভৌগলিক অবস্থান বাধা  হিসেবে থাকে না। যে কোন যায়গা থেকে যে কোন দেশের কাজ করা যায়।
অনেকে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে নিয়মিত পড়াশোনা করছেন, খোজখবর নিচ্ছেন। কাজে হাত দেয়ার সবচেয়ে ভাল সময় এখনই, একথার পক্ষে কিছু বক্তব্য তুলে ধরা হচ্ছে এখানে।

.          ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ
বর্তমানে যেভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় এক দশক আগে সেটা ভাবাও যেত না। বাংলাদেশের মত দেশে থেকে উন্নত দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেখে আফসোস করতে পারেন। তারপরও বর্তমানের ইন্টারনেট কাজে খুব বড় বাধা হয়ে দাড়ায় না। অন্তত ইন্টারনেটের কারনে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা যাচ্ছে না একথা বলার মত অবস্থা নেই।
.          মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুযোগ
ফ্রিল্যান্সিং কাজের সময় নিয়মিত যোগাযোগ প্রয়োজন হয়। মোবাইল ইন্টারনেটের কারনে সেটা সহজেই সম্ভব। ল্যাপটপ-ট্যাবলেট ব্যবহার করে তো বটেই, প্রয়োজনে স্মার্টফোন ব্যবহারে করেও যোগাযোগ রক্ষা করা যায়।
.          আয়ের নিশ্চয়তা
বিশ্বে মানুষ যেমন দ্রুত বাড়ছে তেমনি বাড়ছে কাজের জন্য প্রতিযোগিতা। অনেককে ধরেই নিতে হয় তারা পছন্দমত চাকরী পাবেন না, ব্যবসা বা অন্যকিছু করতে হবে। ব্যবসাপ্রতিস্ঠানে বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে জাকরী পেলেও তার স্থায়িত্বে নিশ্চয়তা নেই। ফ্রিল্যান্সিং বিকল্প চাকরী হিসেবে সমাধান দিতে পারে।
.          ফ্রিল্যান্সিং সামাজিকভাবে গ্রহনযোগ্য
পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা সমাজ পেশাকে কোন দৃষ্টিতে দেখে সেটা গুরুত্বপুর্ন বিষয়। সারাদিন ঘরে বসে কি করেন সেটা না জানলে সমালোচনার সম্মুখিন হতে হয়। বর্তমানে সবাই জানেন ফ্রিল্যান্সিং কি। বরং একে অন্য পেশার চেয়ে সন্মানজনক মনে করা হয়।
.          কোম্পানীগুলি ফ্রিল্যান্সারদের গুরুত্ব দেয়
কোন কাজের জন্য কাউকে নিযোগ দিতে হবে, অনেক কোম্পানী এই নিয়মের বাইরে চলে এসেছেন। আরো আসছেন। কাজ প্রয়োজন হলে তারা ফ্রিল্যান্সার খোজ করেন। ফলে কাজের সুযোগ বেড়েছে এবং দ্রুত বাড়ছে।
.          পার্ট-টাইম কাজ করা সম্ভব
অন্য কাজ করার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা সম্ভব। সাধারনই সব ফ্রিল্যান্সারই পার্টটাইম হিসেবে শুরু করেন। এক পর্যায়ে পুরোপুরি ফ্রিল্যান্সারে পরিনত হন। কাজেই অন্য কাজের ক্ষতি না করেও ফ্রিল্যান্সিং সম্ভব।
.          পরিবেশের জন্য সহায়ক
ঢাকা বসবাসের অনুপযোগি শহরের তালিকায় শীর্ষে। বিষয়টি যেভাবেই দেখুন না কেন, মানুষকে কাজ করতে হবে, বাইরে যেতে হবে, ফল হিসেবে যানজট থেকে শুরু করে অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি হবে। ফ্রিল্যান্সিং সহজেই এই সমস্যা সমাধানে ভুমিকা রাখতে পারে। কাজের জন্য যেমন পথে বের হতে হবে না তেমনি ঢাকা শহরে বাস করাও প্রয়োজন হবে না। ঢাকার বাইরে বসবাসের সুবিধে হচ্ছে মুক্ত পরিবেশ এবং খরচ কম, অন্যদিকে ঢাকার ওপর চাপ কমানো। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে গ্রামে বসেও কাজ করা সম্ভব।
.          অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের উপায়
চাকরী না করলে কাজের অভিজ্ঞতা হবে না, অভিজ্ঞতা না থাকলে চাকরী পাবেন না। শুধুমাত্র অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্যও ফ্রিল্যান্সিং ভুমিকা রাখতে পারে।
.          আগে শুরুর সুবিধে পাওয়া
যে আগে শুরু করেছেন তার অভিজ্ঞতা বেশি। অনেক সময়ই বিষয়টির দিকে দৃষ্টি দেয়া হয় না। আজ শুরু করলে ৩ মাস পর আপনার অভিজ্ঞতা হবে ৩ মাসের। ৩ মাস পরে শুরু করলে কোন অভিজ্ঞতা নেই। অন্তত সেকারনে যত দ্রুত শুরু করা যায় তত ভাল।

আপনার কি মনে হয় ফ্রিল্যান্সিং এখনই শুরু করা উচিত ? অথবা কোন কারন আপনার জানা আছে যারফলে ফ্রিল্যান্সিং থেকে দুরে থাকা বাঞ্ছনিয় মনে করেন।
অন্যদের জানাতে পারেন আপনার বক্তব্য।

No comments:

Post a Comment