মনোবিজ্ঞানী সিগমুন্ড
ফ্রয়েড স্বপ্ন নিয়ে গবেষনা করেছিলেন। গবেষনার ফল নিয়ে একটি বই লিখেছেন একই নামে।
সাধারনভাবে স্বপ্ন নিয়ে ফলাফল সম্ভবত প্রকাশ করেছেন একটিমাত্র বাক্যে, সবাই স্বপ্ন
দেখে। কেউ স্বপ্ন দেখার পর সেটা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে কেউ আরো ভাল স্বপ্ন দেখার
জন্য আরো বেশি করে ঘুমায়।
অনেকে বলেন
বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্নপ্রিয়। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে দেশ ধনী দেশে পরিনত হওয়া এধরনের
একটি স্বপ্ন। এতদিন বলা গত দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে।
ইদানিং শোনা যাচ্ছে ২০৫০ সালের মধ্যে ইউরোপকে ছাড়িয়ে যাবে। ৩০০০ সালে অবশ্যই
বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশে পরিনত হবে।
কেউ কেউ বলেন সম্ভাবনা
হচ্ছে লটারীতে প্রথম পুরস্কার পাওয়ার মত বিষয়। সবসময়ই প্রথম পুরস্কার পাওয়ার
সম্ভাবনা থাকে। যদিও সেটা পান কয়েক লক্ষের মধ্যে একজন। তারপরও সেটা সম্ভাবনা।
আপনিও হতে পারেন সেই একজন।
কাজেই আপনি ধনী
দেশর নাগরিক হওয়ার স্বপ্ন দেখার জন্য আরো বেশি করে ঘুমাতে পারেন। অথবা জেগে উঠে
চেষ্টা করতে পারেন নিজে কিছু করার। অন্যরা এবিষয়ে কথা বলছেন অবিরাম কিন্তু
অদ্ভুতভাবে বিশেষ কথাগুলি পিছলে যাচ্ছে। দ্রুতগতির ইন্টারনেট, ইন্টারনেটের খরচ
কমানো, পেপল চালু করা এগুলি তারা এমনভাবে বলেন ওতে কিছু যায় আসে না। যদিও পরিচিত
বহুজনের টাকা আটকে আছে শুধুমাত্র পেপল ব্যবহারের সুযোগ না থাকার কারনে। পরিচিত
একজন নিজের বহুটাকা খরচ করে কয়েকদিন সিংগাপুরে থেকে চেষ্টা করে ফেরত এসেছেন,
আরেকজন মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ভাবছেন শুধুমাত্র টাকা তোলার কারনে। সম্ভবত তার জন্যও
ব্যর্থতা অপেক্ষা করছে।
আপনার সামনে
যখন উদাহরন দেয়া হয় অমুকে ফ্রিল্যান্সিং করে সফল তখন তার পুরো বর্ননা তুলে ধরা হয়
না। অথবা উল্লেখ করলেও দৃষ্টি এড়িয়ে যায়।
বিষয়টি এভাবে
দেখতে পারেন, একজন ব্যক্তি কানাডায় পড়াশোনা করেছেন, সফল ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসা
করছেন। অবশ্যই ভাল উদাহরন। নিজেকে একবার মিলিয়ে নিন তারসাথে। যিনি কানাডায় পড়াশোনা
করেন তার শিক্ষার মান, নিয়মানুবর্তিতা, মেধা সবকিছুই গড় বাংলাদেশী থেকে অনেক বেশী।
সরাসরি কাজের দক্ষতা লাভ করেছেন তিনি। যোগাযোগে দক্ষ। সেইসাথে বিদেশী ব্যাংক
একাউন্ট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। বেশি টাকা খরচ করলে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গতিও
কোন সমস্যা না।
আপনার জন্য যা
রয়েছে তাই নিয়ে তারসাথে প্রতিযোগিতা করতে চান ?
আপনার পেশাদারী
দক্ষতা বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই। সময়ের কাজ সময়ে করতে হয় এই নিয়ম আপনাকে শেখানো হয়নি।
যারা শিক্ষক হিসেবে শিক্ষাদান করেছেন তারা সেই উদাহরন দেখাননি, সমাজে সেই উদাহরন
নেই। এগুলির সমাধান যদি নিজে করেও ফেলেন, ইন্টারনেট এবং অর্থ লেনদেনের সমস্যার
সমাধান হচ্ছে না।
বলতে পারেন
বিকল্প ব্যবস্থা তো আছে। দয়া করে বিকল্প পথ দেখাবেন না। আপনি মুল পথ দিয়ে চলবেন
এটাই নিয়ম। রাস্তার মাঝখানে দেয়াল তুলে অন্যপথে ঘুরে যেতে বলবেন এটা অস্বাভাবিক
আচরন।
আপনার সামনে পথ
দুটি। একটি হচ্ছে আরো স্বপ্ন দেখা। সেব্যবস্থা রয়েছে ভালভাবেই।
আরেকটি হচ্ছে
ক্রমাগত সংগ্রাম করে যাওয়া। নিজের যোগ্যতায় যা পেতে পারেন তারচেয়ে অনেক কম পেয়েও
সন্তুষ্ট থাকা।
দার্শনিক বলেন
জীবন যুদ্ধক্ষেত্র। এরচেয়ে ভাল যুদ্ধক্ষেত্র আর কোথায় পাবেন!
No comments:
Post a Comment