ইন্টারনেটে আয়
বিষয়ক প্রচারনা যতটা পরিচিতি পেয়েছে ইন্টারনেটে প্রতারনার বিষয়টি তারথেকে খুব একটা
পিছিয়ে নেই। ইন্টারনেটে প্রতারনা করা হচ্ছে, মানুষ নানাভাবে প্রতারিত হচ্ছেন। অনেক
প্রতারনার খবর প্রচার পাচ্ছে অনেক প্রচার পাচ্ছে না। ফ্রিল্যান্সাররা প্রতারনার
বাইরে নন।
আপনি যখন
ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নেয়ার চেষ্টা করছেন তখন বিষয়টি বড় ধরনের সমস্যা।
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার বেতনের মত স্থায়ী আয়ের সুযোগ নেই, পুরোপুরি নির্ভর
করতে হচ্ছে কাজ করে আয়ের ওপর। এই অবস্থায় যদি আয়ের টাকা না পান তাহলে বিপদে পড়তে
হয়।
আপনি কি
প্রতারনা মুক্ত থাকতে পারেন ?
নির্দিস্ট করে
উত্তর দেয়া কঠিন। প্রতারনা বিষয়টি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। যদি সাবধান থেকে
প্রতারনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেত তাহলে
একসময় প্রতারনা বন্ধ হত। সেটা হয়নি। বরং এথেকে বলা যেতে পারে, প্রতারক সবসময়ই নতুন
নতুন কৌশলে প্রতারনা করেন। অন্যকথা, প্রতারক সবসময়ই সাধারনের থেকে বুদ্ধিমান।
আপনি প্রতারনার
বাইরে থাকতে চেষ্টা করতে পারেন। অন্তত সাধারনভাবে যেভাবে প্রতারনা করা হয় সেগুলি
জেনে সাবধান হতে পারেন।
ফ্রিল্যন্সাররা
যেভাবে প্রতারিত হন বা হচ্ছেন এধরনের কিছু বিষয় এখানে তুলে ধরা হচ্ছে;
.
ভুয়া
প্রতিযোগিতা
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য লোগো ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইনসহ নানা ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এদের অনেকগুলি নিয়মমাফিক কাজ করে, সবগুলি না। অনেক প্রতিযোগিতায় এভাবে কন্টেন্ট সংগ্রহ করা হয় অথচ বিজয়ী হিসেবে কেউ পুরস্কার পান না।
কোন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার আগে সেই প্রতিস্ঠান সম্পর্কে যতটা সম্ভব কোজ নিন।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য লোগো ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইনসহ নানা ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এদের অনেকগুলি নিয়মমাফিক কাজ করে, সবগুলি না। অনেক প্রতিযোগিতায় এভাবে কন্টেন্ট সংগ্রহ করা হয় অথচ বিজয়ী হিসেবে কেউ পুরস্কার পান না।
কোন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার আগে সেই প্রতিস্ঠান সম্পর্কে যতটা সম্ভব কোজ নিন।
.
ভুয়া পরীক্ষা
অমুক পরীক্ষায় পাশ করলে সহজে কাজ পাবেন। কথাটা অনেক অংশে ঠিক কিন্তু একে যখন প্রতারনার কাজে ব্যবহার করা হয় তখন আপনাকে মাসুল গুনতে হয়। আপনি নির্দিষ্ট ফি দিয়ে পরীক্ষা দিলেন এবং সামান্যের জন্য পাশ নম্বর পেলেন না। ৭৫% পাশ মার্কের মধ্যে পেলেন ৭৪%। অথচ আপনার হিসেবে প্রশ্নের সংখ্যা এবং তাদের জন্য বরাদ্দ নম্বর হিসেব করলে সেটা কখনোই ৭৪% হতে পারে না। আপনার কাছে ফি হিসেবে টাকা নেয়ার জন্যই এভাবে প্রতারনা করা হচ্ছে।
অমুক পরীক্ষায় পাশ করলে সহজে কাজ পাবেন। কথাটা অনেক অংশে ঠিক কিন্তু একে যখন প্রতারনার কাজে ব্যবহার করা হয় তখন আপনাকে মাসুল গুনতে হয়। আপনি নির্দিষ্ট ফি দিয়ে পরীক্ষা দিলেন এবং সামান্যের জন্য পাশ নম্বর পেলেন না। ৭৫% পাশ মার্কের মধ্যে পেলেন ৭৪%। অথচ আপনার হিসেবে প্রশ্নের সংখ্যা এবং তাদের জন্য বরাদ্দ নম্বর হিসেব করলে সেটা কখনোই ৭৪% হতে পারে না। আপনার কাছে ফি হিসেবে টাকা নেয়ার জন্যই এভাবে প্রতারনা করা হচ্ছে।
.
ব্যক্তিগত তথ্য
সংগ্রহ
ইন্টারনেটে ফিসিং (Phishing) বলে একটি শব্দ প্রচলিত রয়েছে। কোনভাবে খোচা মেরে কিছু আদায় করা। অনেকে নানাভাবে ফ্রিল্যান্সারকে উতসাহ দিয়ে তার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেন। কোন ভাল কারনে এগুলি প্রয়োজন হতে পারে না। স্বাভাবিকভাবেই অসত কাজে ব্যবহার করা হয়।
ক্লায়েন্টকে নিজের তথ্য দেয়ার সময় সচেতন থাকুন। কাজ সম্পর্কিত তথ্যের বাইরে কোন তথ্য দেয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন সেটা তার কেন প্রয়োজন হতে পারে।
ইন্টারনেটে ফিসিং (Phishing) বলে একটি শব্দ প্রচলিত রয়েছে। কোনভাবে খোচা মেরে কিছু আদায় করা। অনেকে নানাভাবে ফ্রিল্যান্সারকে উতসাহ দিয়ে তার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেন। কোন ভাল কারনে এগুলি প্রয়োজন হতে পারে না। স্বাভাবিকভাবেই অসত কাজে ব্যবহার করা হয়।
ক্লায়েন্টকে নিজের তথ্য দেয়ার সময় সচেতন থাকুন। কাজ সম্পর্কিত তথ্যের বাইরে কোন তথ্য দেয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন সেটা তার কেন প্রয়োজন হতে পারে।
.
নমুনা কাজ করা
অনেক কাজেই শুরুতে নমুনা কাজ করে দিতে হয়। কখনো কখনো হয়ত সেটা প্রয়োজন, বাস্তবতা হচ্ছে একে সবসময়ই ক্ষতির হিসেবে ধরে নিতে হয়। আপনি কাজ করেছেন অথচ সেজন্য টাকা পাবেন সে সম্ভাবনা নেই। যতটা সম্ভব চুক্তির আগে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে চেষ্টা করুন। কাজ করে টাকা না পাওয়ার চেয়ে কাজ না করে টাকা না পাওয়া ভাল।
অনেক কাজেই শুরুতে নমুনা কাজ করে দিতে হয়। কখনো কখনো হয়ত সেটা প্রয়োজন, বাস্তবতা হচ্ছে একে সবসময়ই ক্ষতির হিসেবে ধরে নিতে হয়। আপনি কাজ করেছেন অথচ সেজন্য টাকা পাবেন সে সম্ভাবনা নেই। যতটা সম্ভব চুক্তির আগে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে চেষ্টা করুন। কাজ করে টাকা না পাওয়ার চেয়ে কাজ না করে টাকা না পাওয়া ভাল।
.
কাজের জন্য
টাকা দেয়া
কোন কোন সেবায় কাজের জন্য টাকা দিতে হয়। যেমন বিশেষ সাইটের সদস্য হিসেবে অতিরিক্ত সুবিধে পেতে, কিংবা কোন ফোরামের সদস্য হতে। এর বাইরে ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য টাকা দেয়ার কারন নেই।
সহজ সমাধান, কোন কাজ পাওয়ার জন্য কাউকে টাকা দেবেন না। অমুক যায়গায় সদস্য হলে ডাটা এন্ট্রি করে মাসে হাজার ডলার আয় করবেন এধরনের প্রচারনা দেখলে ধরে নেবেন সেগুলি স্ক্যাম সাইট।
কোন কোন সেবায় কাজের জন্য টাকা দিতে হয়। যেমন বিশেষ সাইটের সদস্য হিসেবে অতিরিক্ত সুবিধে পেতে, কিংবা কোন ফোরামের সদস্য হতে। এর বাইরে ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য টাকা দেয়ার কারন নেই।
সহজ সমাধান, কোন কাজ পাওয়ার জন্য কাউকে টাকা দেবেন না। অমুক যায়গায় সদস্য হলে ডাটা এন্ট্রি করে মাসে হাজার ডলার আয় করবেন এধরনের প্রচারনা দেখলে ধরে নেবেন সেগুলি স্ক্যাম সাইট।
.
ক্লায়েন্ট
সন্তুষ্ট নন
এধরনের প্রতারনা ধরা কঠিন। আপনি কাজ করছেন, ক্লায়েন্ট বলছেন তিনি সন্তুষ্ট নন। এবং তিনি কখনো সন্তুষ্ট হবেন না। যেহেতু তিনি সন্তুষ্ট নন সেহেতু পুরো টাকা পাবেন না।
কোন কাজের আলোচনার সময় চুক্তি করে নিন ঠিক কি কাজ করতে হবে। এমন কোন মাপকাঠি যা থেকে পরিমাপ করা যায় আপনি কাজ ঠিকভাবে শেষ করেছেন।
এধরনের প্রতারনা ধরা কঠিন। আপনি কাজ করছেন, ক্লায়েন্ট বলছেন তিনি সন্তুষ্ট নন। এবং তিনি কখনো সন্তুষ্ট হবেন না। যেহেতু তিনি সন্তুষ্ট নন সেহেতু পুরো টাকা পাবেন না।
কোন কাজের আলোচনার সময় চুক্তি করে নিন ঠিক কি কাজ করতে হবে। এমন কোন মাপকাঠি যা থেকে পরিমাপ করা যায় আপনি কাজ ঠিকভাবে শেষ করেছেন।
.
ভুয়া
প্রতিস্ঠান
যারা ঘরে বসে কাজ করতে চান তারা একধরনের প্রস্তাব পান, আপনি তাদের প্রতিস্ঠানের হয়ে কাজ করবেন। তাদের শাখা খুলবেন। কেউ কেউ ভুয়া লাইসেন্সও দেখান।
এধরনের কাজে টাকা খরচ করবেন না। কখনো কখনো বিভিন্ন দেশের ফ্রিল্যান্সার নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে কাজ ভাগাভাগি করে করেন। এতে ভাল ছাড়া মন্দের কিছু নেই। এজন্য অর্থব্যয় করার কথা না।
যারা ঘরে বসে কাজ করতে চান তারা একধরনের প্রস্তাব পান, আপনি তাদের প্রতিস্ঠানের হয়ে কাজ করবেন। তাদের শাখা খুলবেন। কেউ কেউ ভুয়া লাইসেন্সও দেখান।
এধরনের কাজে টাকা খরচ করবেন না। কখনো কখনো বিভিন্ন দেশের ফ্রিল্যান্সার নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে কাজ ভাগাভাগি করে করেন। এতে ভাল ছাড়া মন্দের কিছু নেই। এজন্য অর্থব্যয় করার কথা না।
.
আয়ের অংশ দেয়ার
প্রস্তাব
নতুন কোম্পানী শুরু করেছি, এখন টাকা দিতে পারব না। পরবর্তীতে লাভের অংশ পাবেন। এটা অনেকের দেয়া সাধারন একটি প্রস্তাব।
এধরনের প্রস্তাবে স্বচ্ছতা নেই। তারা কখন লাভ করছে সেটা জানার কোন উপায় আপনার জানা নেই। হতে পারে কিছুদিন আপনার কাছে কাজ করানোর পর আরেকজনের কাছে একই নিয়মে কাজ করাবেন।
নতুন কোম্পানী শুরু করেছি, এখন টাকা দিতে পারব না। পরবর্তীতে লাভের অংশ পাবেন। এটা অনেকের দেয়া সাধারন একটি প্রস্তাব।
এধরনের প্রস্তাবে স্বচ্ছতা নেই। তারা কখন লাভ করছে সেটা জানার কোন উপায় আপনার জানা নেই। হতে পারে কিছুদিন আপনার কাছে কাজ করানোর পর আরেকজনের কাছে একই নিয়মে কাজ করাবেন।
প্রতারকের হাত
থেকে রক্ষা পাওয়ার কাজটি কঠিন। আপনি প্রতারিত হওয়ার পর সেবিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জণ
করলেন, ততদিনে তারা নতুন পথ আবিস্কার করে ফেলেছে।
প্রতারিত না
হওয়ার জন্য সাধারন পরামর্শ, নিজের বুদ্ধি ব্যবহার করুন। শুরুতেই নিজেকে প্রশ্ন
করুন আপনার প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি-না। দ্রুত ধনী হওয়ার বা সহজে টাকা
পাওয়ার লোভ করবেন না। যারা এপথে যান তারাই বেশি প্রতারিত হন।
আমিও আরকম প্রতারনার কবলে পরছি,
ReplyDeleteitbarisal.com