বাংলাদেশ
ফ্রিল্যান্সিং এ বিশ্বে ২/৩ নম্বরে আছে, দ্রুতই ১ নম্বরে চলে যাবে, একথা এমনভাবে
বলা হয় যে অনেকে ধরেই নেন দেশ ধনী হতে বাকি নেই। কোন ফ্রিল্যান্সার কত সহজে হাজার
ডলার আয় করেছেন একথাও সংবাদ মাধ্যমে এমনভাবে তুলে ধরা হয় যেন ইচ্ছে করলে অন্য
সবকিছু করার পর কিছুটা সময় ব্যয় করলে আপনিও সেকাজ করতে পারেন। অনেকেই খোজ খবর নেন,
শুনেছি ইন্টারনেটে টাকা পাওয়া যায় ? এমন অনেকের কাছে এপ্রশ্ন শুনেছি যাদের
কম্পিউটার ব্যবহারের সামান্যতম অভিজ্ঞতাও নেই।
এই প্রচারনার
মধ্যে কোথাও সমস্যা আছে। হাজার ডলার আয় করার কথা যখন বলা হচ্ছে তখন সাথে এটাও বলা
প্রয়োজন ছিল সেজন্য কি যোগ্যতা প্রয়োজন। কতটা চেষ্টা প্রয়োজন, কতটা সময় প্রয়োজন।
অনেকেই ডলারকে খুব সস্তা ধরে নেন। বাস্তবে আমেরিকায় অনেক দিনমজুর দিনে ২০ ডলার আয়
করে খুশি থাকেন।
ইন্টারনেটে টাকা
পাওয়া যায় না, আয় করতে হয়। এজন্য বিশেষ কাজ করতে হয়। সেই কাজে দক্ষ হতে হয়। সারা
বিশ্ব থেকেই মানুষ সেই কাজের জন্য যোগাযোগ করেন। তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করে কাজ
নিতে হয়।
প্রচারনা এবং
বাস্তবতার পার্থক্য কতটা সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা যেতে পারে। ফ্রিল্যান্সার সাইটের
সদস্য ৭২ লক্ষ। যেকোন সময়ে তাদের সাইটে যুক্ত ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা গড়ে হাজার
দশেক। যদিও সেখানে কাজের সংখ্যা এরথেকে কয়েকগুন বেশি।
এথেকে ধারনা
পেতে পারেন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যারা নাম লেখান তাদের সকলেই কাজ করেন না।
ফ্রিল্যান্সার
হতে চেয়েও কাজ না করার কারন ভুল প্রচারনা। যদি সত্যিকার ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ
করতে আগ্রহি হন তাহলে এই ভুলগুলি দুর করা পয়োজন। এখানে সংক্ষেপে সেগুলি উল্লেখ করা
হচ্ছে।
.
ইচ্ছে করলেই
কাজ করা যায়
ফ্রিল্যান্সিং বিষয়কে খুব সহজ বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হয়। বাস্তবে কাজটি সহজ না। প্রথম কাজ পাওয়ার জন্য কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত চেষ্টা করে যেতে হতে পারে, সেটা ডাটা এন্ট্রি হোক অথবা গ্রাফিক ডিজাইন-ওয়েব ডিজাইনই হোক।
আপনি যে কাজ করতে চান সেকাজে দক্ষতা অর্জন না করে সরাসরি চেষ্টা করে ফল পাওয়ার সম্ভাবনা কম। দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য স্থানীয়ভাবে কাজ করতে চেষ্টা করুন। গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে স্থানীয় কোন ক্লায়েন্টের বিজ্ঞাপন-পোষ্টার ইত্যাদি ডিজাইন করে দিন। এথেকে জানা সম্ভব ক্লায়েন্ট যাকিছু পরিবর্তণ চান আপনি ঠিকভাবে সেটা করতে পারেন কি-না। অন্য কাজের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
ফ্রিল্যান্সিং বিষয়কে খুব সহজ বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হয়। বাস্তবে কাজটি সহজ না। প্রথম কাজ পাওয়ার জন্য কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত চেষ্টা করে যেতে হতে পারে, সেটা ডাটা এন্ট্রি হোক অথবা গ্রাফিক ডিজাইন-ওয়েব ডিজাইনই হোক।
আপনি যে কাজ করতে চান সেকাজে দক্ষতা অর্জন না করে সরাসরি চেষ্টা করে ফল পাওয়ার সম্ভাবনা কম। দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য স্থানীয়ভাবে কাজ করতে চেষ্টা করুন। গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে স্থানীয় কোন ক্লায়েন্টের বিজ্ঞাপন-পোষ্টার ইত্যাদি ডিজাইন করে দিন। এথেকে জানা সম্ভব ক্লায়েন্ট যাকিছু পরিবর্তণ চান আপনি ঠিকভাবে সেটা করতে পারেন কি-না। অন্য কাজের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
.
ফ্রিল্যান্সিং
কাজে বিশেষ কোন বাধা নেই
আপনি যদি সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন তাহলে বলতে পারেন দেশে কোন সমস্যা নেই, অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে দেশ ভাল আছে। অনেকেই এবিষয়ে একমত হবেন না। ফ্রিল্যান্সিং-আউটসোর্সিং বা ইন্টারনেটে আয়ের অন্যান্য পদ্ধতি (ব্লগিং-এডসেন্স-এফিলিয়েটেড মার্কেটিং) থেকে আয়ের ক্ষেত্রে বড় ধরনের চিহ্নিত সমস্যাগুলি দুর করা হচ্ছে না। ইন্টারনেট ব্যবহরে একদিকে গতি কম (বিশেষ অঞ্চল বাদে), খরচ বেশি। পেপল না থাকার কারনে অর্থ লেনদেনে বড় ধরনের সমস্যা থেকে গেছে। অনেক ইন্টারনেট সেবা বাংলাদেশ থেকে ব্যবহার করা যায় না। ক্লিকব্যাংক এর মত সেবা ব্যবহার না করে এফিলিয়েশন থেকে আয় করতে পারেন না।
কেউ কেউ হয়ত এই সমস্যাগুলি এড়িয়ে কাজ করছেন, তার অর্থ এই না যে সমস্যাগুলি নেই। বরং যারা আয় করছেন তারা সম্ভাব্য আয়ের সামান্য আয় করছেন। আর বিপুল সংখ্যক মানুষ সেই সফলতার মুখ দেখছেন না।
আপনি যদি সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন তাহলে বলতে পারেন দেশে কোন সমস্যা নেই, অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে দেশ ভাল আছে। অনেকেই এবিষয়ে একমত হবেন না। ফ্রিল্যান্সিং-আউটসোর্সিং বা ইন্টারনেটে আয়ের অন্যান্য পদ্ধতি (ব্লগিং-এডসেন্স-এফিলিয়েটেড মার্কেটিং) থেকে আয়ের ক্ষেত্রে বড় ধরনের চিহ্নিত সমস্যাগুলি দুর করা হচ্ছে না। ইন্টারনেট ব্যবহরে একদিকে গতি কম (বিশেষ অঞ্চল বাদে), খরচ বেশি। পেপল না থাকার কারনে অর্থ লেনদেনে বড় ধরনের সমস্যা থেকে গেছে। অনেক ইন্টারনেট সেবা বাংলাদেশ থেকে ব্যবহার করা যায় না। ক্লিকব্যাংক এর মত সেবা ব্যবহার না করে এফিলিয়েশন থেকে আয় করতে পারেন না।
কেউ কেউ হয়ত এই সমস্যাগুলি এড়িয়ে কাজ করছেন, তার অর্থ এই না যে সমস্যাগুলি নেই। বরং যারা আয় করছেন তারা সম্ভাব্য আয়ের সামান্য আয় করছেন। আর বিপুল সংখ্যক মানুষ সেই সফলতার মুখ দেখছেন না।
.
নিজের
চেষ্টাতেই কাজ করা সম্ভব
ইতিহাসে যারা স্মরনীয় তারা নিজের চেষ্টা বড় হয়েছেন একথা সত্য, কিন্তু সবাই সেই পর্যায়ের নন। সত্যি বলতে কি এদের সংখ্যা কোটি একজনেরও কম। অধিকাংশ মানুষেরই সহায়তা প্রয়োজন হয়। এজন্যই আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, শিক্ষাপ্রতিস্ঠান ইত্যাদির প্রচলন। কোন বিশেষ দেশে কোন ধরনের শিক্ষা কতটা প্রয়োজন হিসেব করে ঠিক করা হয়, শিক্ষার পর কোন কাজ করবেন সেদিকে লক্ষ রাখা হয়। নিজের চেষ্টায় যদি সবই করা যায় তাহলে কোন প্রতিস্ঠানের প্রয়োজন হয় না।
বাংলাদেশের শিক্ষার সাথে বাস্তবতার মিল খুব সামান্যই। বিশেষ করে কারিগরি বিষয়ে যা পড়ানো হয় বাস্তবে সেই প্রযুক্তির ব্যবহার নেই। যিনি শিক্ষক তার নিজের শেখার ব্যবস্থা নেই, প্রয়োজনও নেই। বাংলাদেশে টেকনিক্যাল ট্রেণিং সেন্টার (টিটিসি) গুলিতে গ্রাফিক ডিজাইন হিসেবে ফটোশপ-ইলাষ্ট্রেটর শেখানো হয়। ৬ মাসের কোর্সে শিক্ষার্থীকে কোন ফি দিতে হয় না, উল্টো তাদেরকে ভাতা দেয়া হয়। নিয়মের দিক থেকে অত্যন্ত প্রশংসনীয়। পরিচিত একজন শিক্ষক বাস্তবতা জানালেন, যারা ভর্তি হয় তাদের বড় একটি অংশ মুলত ভাতা নেয়ার জন্য ছাত্র হয়, শেখার কোন আগ্রহ নেই। এবং শিক্ষক হিসেবে তিনি নিজে কখনো পেশাদার গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করেননি।
নিজের চেষ্টা কাজ করা সম্ভব একথা তার জন্য প্রযোজ্য যিনি সম্ভাব্য সমস্ত সুযোগকে কাজে রাগাতে জানেন। সত্যিকারের বুদ্ধিমান শিক্ষার্থী শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করেন, নিজের টাকা খরচ করে হলেও।
নিজেই একাএকা শিখে ফেলবেন এটা ধরে না নিয়ে অভিজ্ঞ কারো কাছে শিখতে হবে, অথবা বিপুল পরিমান পড়াশোনা করতে হবে এটা ধরে নেয়াই ভাল।
ইতিহাসে যারা স্মরনীয় তারা নিজের চেষ্টা বড় হয়েছেন একথা সত্য, কিন্তু সবাই সেই পর্যায়ের নন। সত্যি বলতে কি এদের সংখ্যা কোটি একজনেরও কম। অধিকাংশ মানুষেরই সহায়তা প্রয়োজন হয়। এজন্যই আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, শিক্ষাপ্রতিস্ঠান ইত্যাদির প্রচলন। কোন বিশেষ দেশে কোন ধরনের শিক্ষা কতটা প্রয়োজন হিসেব করে ঠিক করা হয়, শিক্ষার পর কোন কাজ করবেন সেদিকে লক্ষ রাখা হয়। নিজের চেষ্টায় যদি সবই করা যায় তাহলে কোন প্রতিস্ঠানের প্রয়োজন হয় না।
বাংলাদেশের শিক্ষার সাথে বাস্তবতার মিল খুব সামান্যই। বিশেষ করে কারিগরি বিষয়ে যা পড়ানো হয় বাস্তবে সেই প্রযুক্তির ব্যবহার নেই। যিনি শিক্ষক তার নিজের শেখার ব্যবস্থা নেই, প্রয়োজনও নেই। বাংলাদেশে টেকনিক্যাল ট্রেণিং সেন্টার (টিটিসি) গুলিতে গ্রাফিক ডিজাইন হিসেবে ফটোশপ-ইলাষ্ট্রেটর শেখানো হয়। ৬ মাসের কোর্সে শিক্ষার্থীকে কোন ফি দিতে হয় না, উল্টো তাদেরকে ভাতা দেয়া হয়। নিয়মের দিক থেকে অত্যন্ত প্রশংসনীয়। পরিচিত একজন শিক্ষক বাস্তবতা জানালেন, যারা ভর্তি হয় তাদের বড় একটি অংশ মুলত ভাতা নেয়ার জন্য ছাত্র হয়, শেখার কোন আগ্রহ নেই। এবং শিক্ষক হিসেবে তিনি নিজে কখনো পেশাদার গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করেননি।
নিজের চেষ্টা কাজ করা সম্ভব একথা তার জন্য প্রযোজ্য যিনি সম্ভাব্য সমস্ত সুযোগকে কাজে রাগাতে জানেন। সত্যিকারের বুদ্ধিমান শিক্ষার্থী শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করেন, নিজের টাকা খরচ করে হলেও।
নিজেই একাএকা শিখে ফেলবেন এটা ধরে না নিয়ে অভিজ্ঞ কারো কাছে শিখতে হবে, অথবা বিপুল পরিমান পড়াশোনা করতে হবে এটা ধরে নেয়াই ভাল।
ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং সম্পর্কে ভুল ধারণা গুলো প্রুফ করার জন্য দারুন একটি পোস্ট।
ReplyDeleteআপনিও পারেন BlogSpot এ ফ্রি ব্লগিং করে Google AdSense থেকে আয় করতে। তাও আবার কোন প্রকার ইনভেস্ট ছারা। আপনারা যারা বিগেনার ব্লগার এবং Google মামার ফ্রি BlogSpot এর সাথে ব্লগিং করে অথবা YouTube এ Video Upload করে Google AdSense থেকে আয় করতে আগ্রহি অথচ, শত চেস্টা কোরেও Google AdSense Account Approved করতে পারছেন না। অ্যাডসেন্স নামের সোনার হরিণের পেছনে হোন্নে হয়ে ঘুরছেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, এখন থেকে আপনাদের আর অ্যাডসেন্স এর পিছনে ঘুরতে হবেনা। যার যার গুগল অ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্ট প্রোয়জন তারা যোগাযোগ কোরতে পারেন আমার সাথে। কোন ওয়েব সাইট বা ব্লগের প্রোয়জন নেই, নেই শত সহস্র পোস্টের। প্রোয়জন শুধু মাত্র পেই নেম আর সময় দুই দিন। ব্যাস পেয়ে যাবেন আপনার গুগল অ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্ট।
This post is very acceptable for all freelancer.Who want to start or running freelancing.I hope it help all properly.Thanks for share us with helpful post.
ReplyDelete