Thursday, June 2, 2011

Freelancing: ফ্রিল্যান্সারদের ৭ ভুল

ফ্রিল্যান্সিং কাজ কঠিন এতে কোন সন্দেহ নেই। ক্লায়েন্ট থেকে কাজ পাওয়া, সময়মত সেটা করে দেয়া, পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিজেকে আরো দক্ষ করা, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা সব অংশই কঠিন। কাজের জন্য যোগাযোগ শুরু থেকে টাকা হাতে পাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে রয়েছে নানারকম সমস্যা। তার ওপর নিজের কিছু ভুল যদি যোগ হয়  তাহলে আরো জটিল অবস্থার সৃষ্টি হয়।
ফ্রিল্যান্সাররা সাধারনভাবে নিজে যে ভুলগুলি করেন সে সম্পর্কে সচেতন থাকুন। তার কিছু উদাহরন হতে পারে এমন;
.          আমার প্রচার প্রয়োজন নেই
এই ভুল সবচেয়ে বিপদজনক। ফ্রিল্যান্সিং কাজে প্রতি মুহুর্তে প্রতিযোগিতা করতে হয়, প্রতি মুহুর্তে নতুন প্রতিযোগি বাধা হয়ে দাড়ায়। এই মুহুর্তে আপনার হাতে পর্যাপ্ত ক্লায়েন্ট যদি থাকেও তারাও সুবিধে পেলে আপনাকে ছেড়ে অন্যদিকে যাবে না সে নিশ্চয়তা নেই। একদিকে বর্তমান ক্লায়েন্ট ধরে রাকা যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রতিনিয়ত নতুন ক্লায়েন্ট খোজ করাও প্রয়োজন।
.          বেশি টাকার কাজ মানেই ভাল কাজ
যদি মোট টাকার অংক হিসেব করা হয় তাহলে এটা বড় ধরনের ভুল হিসেব। আপনি একবারে ১ হাজার ডলার পেতে পারেন, ১০০ ডলার করে ১০ বারেও ১ হাজার ডলার পেতে পারেন। আপনার ১ হাজার ডলারের এক কাজ করতে যদি ১ মাস সময় লাগে আর বিপরীতে ১০০ ডলারের ১০ কাজে ১০ দিন সময় লাগে তাহলে ১০০ ডলারের কাজ বেশি লাভজনক। আপনি ৩০ দিনে ৩ হাজার ডলারের কাজ করার সুযোগ পাবেন।
.          ক্লায়েন্ট প্রশ্ন শুনতে পছন্দ করে না
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি যদি মনে করেন প্রশ্ন করলে ক্লায়েন্ট বিরক্ত হবে সেটা আপনার ভুল। অবশ্যই ক্লায়েন্ট অনুযায়ী ভেদ থাকতে পারে। যারা নিয়মিত কাজ করান তারা প্রতিটি বিষয় খুটিনাটি জানিয়ে দেন আগেই, তারপরও প্রশ্ন করতে বলেন। যদি কেউ সেটা নাও করেন তাহলে আপনার কর্তব্য তিনি ঠিক কি চান সেটা জেনে নেয়া। আপনার আগ্রহ দেখে তিনি খুশি হবেন এটাই স্বাভাবিক
.          সারাক্ষন এবিষয়ে যেসব ব্লগ দেখছি সব যোগাযোগের কাজে আসছে
আপনি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে বিভিন্ন সাইটে অনেক সময় কাটাচ্ছে, তাদের বক্তব্য জানছেন এটা অবশ্যই ভাল কথা। কিন্তু আপনি যতক্ষন সেখানে অংশ না নিচ্ছেন ততক্ষন তাকে যোগাযোগ বলার কারন নেই। যোগাযোগর দুটি বিষয়, বক্তব্য আদান-প্রদান এবং নির্দিষ্ট পরিকল্পনা। এদুটির জন্যই ব্লগে অংশগ্রহন করা প্রয়োজন।
.          আর দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন নেই
ফ্রিল্যান্সার যদি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেন তিনি নিজের কাজে সন্তুষ্ঠ হয়ে ভাবতেই পারেন আর নতুন করে শেখার প্রয়োজন নেই। বিষয়টি যখন ফ্রিল্যান্সিং সেখানে আপনার ডিগ্রী কত বড় কিংবা আপনার অভিজ্ঞতা কত বছর একথা কোন কাজে আসে না। এই মুহুর্তের কাজ আপনি কত ভালভাবে করতে পারেন সেটাই বিবেচ্য। সফটঅয়্যার, হার্ডঅয়্যার, মানুষের ওপর এগুলির প্রভাব প্রতিমুহুর্তে পরিবর্তিত হচ্ছে। কাজেই ফ্রিল্যান্সিং কাজে অন্তত শেখার অন্ত নেই।
.          উদাহরন থেকে ভাল ফল পাওয়া যায়
আপনি বিভিন্ন ব্লগে ফ্যিল্যান্সিং কাজে সফল ব্যক্তিদের কথা পড়ছেন, তারা কিভাবে সফল হয়েছে সেটা জানার চেষ্টা করছেন আর ধরে নিচ্ছে তাদের পথে চললে আপনিও তারমত সফল হবেন। বাস্তবে সেটা হয় না। আপনার নিজের কাজের পরিবেশ, কাজের ধরন, ক্লায়েন্ট সবকিছুই ভিন্ন হতে পারে। সেক্ষেত্রে অন্যের সাফল্যে অনুকরন করে আপনি সাফল্য পাবেন না।

ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার কোন মত থাকলে অন্যদের জানাতে পারেন।

No comments:

Post a Comment