একজন
ফ্রিল্যান্সার একসময় এতটা বেশি কাজ পান যে সময়মত কাজ শেষ করতে হিমসিম খেতে হয়,
আরেক সময় হাতে আদৌ কাজ থাকে না। ফ্রিল্যান্সারের কাছে কাজ না থাকার অর্থ আয় না
থাকা। আর আয় না থাকলে দৈনন্দিন কাজে সমস্যা হবে এটাই স্বাভাবিক।
একজন
ফ্রিল্যান্সারের হাতে কাজ না থাকা বিশাল সমস্যা। একসময় বিষয়টি এতটা মানষিক চাপ
সৃষ্টি করে যে ফ্রিল্যান্সিং ছেড়ে দেয়ার কথাও মনে হয়। কেউ কেউ সেটা করেনও।
আগে থেকে হিসেব
করে এধরনের সমস্যা কিছুটা হলেও এড়ানো যায়। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টিই পরিকল্পনার।
সমস্যাকে সাময়িক ধরে নিয়ে সমাধানের পথে যাওয়া যেতে পারে।
এধরনের সমস্যার
সময় করা যেতে পারে এমন কিছু পদ্ধতি উল্লেখ করা হচ্ছে এখানে।
.
সমস্ত টাকা খরচ
করবেন না
যখন আয় হচ্ছে বা হাতে টাকা আছে তার পুরোটা খরচ না করে কাজ না পাওয়ার সময়ের কথা ভেবে কিছু সঞ্চয় করুন। সবসময়ই কিছু টাকা জমা করুন। আপনি চেষ্টা করলেই কাজ পাবেন বা আয় হবে এমন নিশ্চয়তা নেই। সেক্ষেত্রে জমানো টাকাই সবচেয়ে বড় সম্বল।
যখন আয় হচ্ছে বা হাতে টাকা আছে তার পুরোটা খরচ না করে কাজ না পাওয়ার সময়ের কথা ভেবে কিছু সঞ্চয় করুন। সবসময়ই কিছু টাকা জমা করুন। আপনি চেষ্টা করলেই কাজ পাবেন বা আয় হবে এমন নিশ্চয়তা নেই। সেক্ষেত্রে জমানো টাকাই সবচেয়ে বড় সম্বল।
.
আয় হতে পারে
এমন নিজের কিছু কাজ করুন
অনেক ফ্রিল্যান্সারই মুল কাজের বাইরে এমন কিছু কাজ করেন যারসাথে নিয়মিত আয়ের সম্পর্ক নেই। কেউ লেখালেখি করেন, ব্লগ পরিচালনা করেন, ই-বুক প্রচার করেন। এদেরকে আয়ের কাজে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। অন্য ফ্রিল্যান্সারকে ট্রেনিং দেয়ার কাজ করেও আয় করতে পারেন।
অনেক ফ্রিল্যান্সারই মুল কাজের বাইরে এমন কিছু কাজ করেন যারসাথে নিয়মিত আয়ের সম্পর্ক নেই। কেউ লেখালেখি করেন, ব্লগ পরিচালনা করেন, ই-বুক প্রচার করেন। এদেরকে আয়ের কাজে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। অন্য ফ্রিল্যান্সারকে ট্রেনিং দেয়ার কাজ করেও আয় করতে পারেন।
.
আগের
গুরুত্বহীন কাজ নতুনভাবে বিক্রির চেষ্টা করুন
বিভিন্ন সময় পরীক্ষামুলকভাবে বা অন্য কাজের নমুনা হিসেবে যে কাজগুলি করেছেন সেগুলি আরেকবার দেখে নিন। এদের কোনটি কি বর্তমানে আয়ের সহায়ক হতে পারে।
অনেক ফ্রিল্যান্সারের এই কাজগুলি জমা হয়ে বিশাল সংগ্রহে পরিনত হয়। এগুলি নতুনভাবে কাজে লাগিয়ে আয়ের চেষ্টা করুন।
বিভিন্ন সময় পরীক্ষামুলকভাবে বা অন্য কাজের নমুনা হিসেবে যে কাজগুলি করেছেন সেগুলি আরেকবার দেখে নিন। এদের কোনটি কি বর্তমানে আয়ের সহায়ক হতে পারে।
অনেক ফ্রিল্যান্সারের এই কাজগুলি জমা হয়ে বিশাল সংগ্রহে পরিনত হয়। এগুলি নতুনভাবে কাজে লাগিয়ে আয়ের চেষ্টা করুন।
.
দীর্ঘকালীন
ক্লায়েন্টের চেষ্টা করুন
সাধারনভাবে হয়ত আপনি দীর্ঘকালীন ক্লায়েন্ট পছন্দ করেন না। দীর্ঘকালীন ক্লায়েন্ট সাধারনত কম টাকায় কাজ করাতে আগ্রহি। বিপদের সময়ের কথা ভেবে এধরনের কাজের ব্যবস্থা রাখুন। কম টাকায় হলেও কাজ নিয়মিত, এই নিয়মে কাজ হাতে রাখুন।
সাধারনভাবে হয়ত আপনি দীর্ঘকালীন ক্লায়েন্ট পছন্দ করেন না। দীর্ঘকালীন ক্লায়েন্ট সাধারনত কম টাকায় কাজ করাতে আগ্রহি। বিপদের সময়ের কথা ভেবে এধরনের কাজের ব্যবস্থা রাখুন। কম টাকায় হলেও কাজ নিয়মিত, এই নিয়মে কাজ হাতে রাখুন।
.
স্থানীয়ভাবে
কাজ করুন
আপনার দক্ষতা ব্যবহার করে স্থানীয়ভাবে কি কিছু করা সম্ভব ? চারিদিকে দৃষ্টি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন কোন কাজে আপনার দক্ষতা ব্যবহার করা সম্ভব। নিশ্চিতভাবেই কোন না কোন কাজ পাবেন যা আপনার আয়ের সুযোগ করে দিতে পারে।
আপনার দক্ষতা ব্যবহার করে স্থানীয়ভাবে কি কিছু করা সম্ভব ? চারিদিকে দৃষ্টি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন কোন কাজে আপনার দক্ষতা ব্যবহার করা সম্ভব। নিশ্চিতভাবেই কোন না কোন কাজ পাবেন যা আপনার আয়ের সুযোগ করে দিতে পারে।
এই
পদ্ধতিগুলিতে আপাতত সেরা পথ বলে মনে হচ্ছে। আপনি নিশ্চয়ই আরো পথের দেখা পেতে পারেন
নিজেই। অথবা আপনার নিজের কার্যকর কোন পদ্ধতি থাকতে পারে।
সমস্যা যেখানে
আছে সমাধানও সেখানে আছে একথা মনে রেখে যে কোন সমস্যাই দুরে রাখা যায়। উদ্যোগ নেয়া,
কাজে লেগে থাকাটাই জরুরী। আর এগুলি ফ্রিল্যান্সারের সাফল্যের মুল।
No comments:
Post a Comment