Friday, April 15, 2011

সাউন্ড এডিটিং – মিক্সিং এর কাজ করুন এডবি সাউন্ডবুথে

এডবি সাউন্ডবুথ এডবি ক্রিয়েটিভ স্যুইট এর সাথে দেয়া একটি সফটঅয়্যার। এডবি সাউন্ডবুথ ব্যবহার করে সাউন্ড রেকর্ড, এডিট, অপটিমাইজ এবং এনহ্যান্স সব কাজই করা যাবে। এনালগ অথবা ডিজিটাল অডিও যাই হোক না কেন, মনো, ষ্টেরিও কিংবা ৫.১ অডিও, এদেরকে পৃথক পৃথক ট্রাকে রেখে প্রত্যেকেকে আলাদাভাবে কন্ট্রোল করার সুযোগ রয়েছে এই সফটঅয়্যারে।
অডিও এডিটিং এর প্রাথমিক কাজ, ট্রিমিং, ফেডিং, প্যানিং ইত্যাদি কাজ তো বটেই, সাউন্ডে যদি ক্লিক থাকে সেটাও দুর করা যায় সহজেই। যেমন রেকর্ডিং এর সময় যদি মোবাইল ফোনের শব্দ রেকর্ড হয় সেটা বাদ দেয়া যাবে। সেইসাথে অডিওকে স্পেশাল ইফেক্ট দিতে চাইলে সে ব্যবস্থাও রয়েছে। রিভার্ব, ডিসটর্শন ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে খুব সহজে।
যদি প্রফেশনাল ষ্টুডিওতে আলাদা আলাদা ভাবে রেকর্ড করা হয় তাহলে ভোকাল, বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্টালকে মাল্টিট্রাক হিসেবে নিয়ে একসাথে কাজ করা যায় খুব সহজেই। প্রত্যেককে পৃথকভাবে কন্ট্রোল করা যাবে।
সেইসাথে রয়েছে শতাধিক সাউন্ড স্কোর ব্যবহারের সুযোগ। খুব সহজেই সাইন্ডলুপ তৈরী করতে পারেন। অটোমেটিক বিট ডিটেকশন থাকায় কাজটি করা অনেক সহজ। এমনকি টেক্সট টু স্পিচ ফিচার ব্যবহার করে টেক্সট থেকে সাউন্ড ফাইল তৈরী করতে পারেন।
সাউন্ডবুথ এর একটি বড় সুবিধে একে ব্যবহার করা যায় এডবি প্রিমিয়ার, আফটার ইফেক্টস এবং ফ্লাশ এর ভেতর থেকে। ফলে ভিডিও এডিটিং কিংবা এনিমেশন করার সময় সাউন্ড ব্যবহারের কাজ অনেক সহজ হয়। সাউন্ডবুথের ভেতরেই ভিডিও ফাইল ওপেন করে অডিও এডিট করা যায়। ভিডিও সাথে অডিওর মিল করার কাজ তাই অনেক সহজ।

প্রাথমিক কিছু কাজ করে দেখা যাক।

ফাইল ওপেন করা
সাউন্ডবুথ অনেকগুলি অডিও-ভিডিও ফরম্যাট সাপোর্ট করে। এদেরকে আনার জন্য দুটি পদ্ধতি রয়েছে, ওপেন এবং ইমপোর্ট। নাম এবং পদ্ধতি ভিন্ন হলেও শেষফল একই।
.          সাউন্ড বুথ ওপেন করুন
.          মেনু থেকে ফাইল ওপেন কমান্ড দিন।
.          যে ফোল্ডার থেকে ফাইল ওপেন করতে চান সেখানে যান এবং ফাইলটি সিলেক্ট করুন।
.          ওপেন বাটনে ক্লিক করুন।
অডিও (অথবা ভিডিও) ফাইলটি দুযায়গায় পাওয়া যাবে। বামদিকে ফাইল প্যানেলে ফাইলের নাম এবং ডানদিকে এডিটিং প্যানেলে ওয়েবফর্ম হিসেবে।
·        ওপেন এর বদলে ইমপোর্ট কমান্ড ব্যবহার করলে ফাইলটি শুধুমাত্র ফাইল প্যানলে পাওয়া যাবে। 
·        ফাইল প্যানেলে ডাবল ক্লিক করে যে কোন ফাইলকে এডিটিং প্যানেলে ওপেন করা যাবে।

ট্রিমিং
শব্দের শুরু বা শেষ থেকে কিছু অংশ বাদ দেয়াকে বলে ট্রিমিং। সাউন্ড এডিটিং এর এটাই প্রথম কাজ।
·        সাউন্ডকে এডিটিং প্যানেলে ওপেন করুন।
·        ওয়েভের বামদিকের প্রান্তের মাঝামাঝি Trim Beginning নামে একটি হ্যান্ডলার দেখা যাবে। একে ড্রাগ করে শুরু থেকে যতটুকু বাদ দিতে চান সেপর্যন্ত আনুন। মাউস ছেড়ে দেয়ার সাথেসাথেই সেই অংশটুকু বাদ যাবে।
·        ডানদিকের হ্যান্ডলার ব্যবহার করে কোথায় শেষ হবে সেটা নির্দিষ্ট করে দিন।
·        কোন ভুল হলে সেটা বাতিল করার জন্য Ctrl – Z চাপ দিন।


ভলিউম কমবেশি করা
সাউন্ড এডিটিং এর ক্ষেত্রে ভলিউম কমবেশি করা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন একটি কাজ। মুল শব্দের কোথাও অতিরিক্ত জোড়ারো থাকতে পারে, কোথাও কম থাকতে পারে। যেকারনে কোথাও বাড়ানো প্রয়োজন হয়, কোথাও কমানো প্রয়োজন হয়।
·        যে অংশটুকু ভলিউম পরিবর্তন করতে চান মাউস ড্রাগ করে সেটুকু সিলেক্ট করুন।
·        সিলেক্ট করা অংশের ওপরে মাঝখানে একটি ছোট উইন্ডোতে +0,0 dB লেখা একটি অংশ দেখা যাবে। মাউস ড্রাগ করে বামদিকে নিয়ে এই মান কমানো যাবে বা ডানদিকে সরিয়ে মান বাড়ানো যাবে। ফল হিসেবে শব্দের ভলিউম কমবে বা বাড়বে।

ইকুয়ালাইজ
অনেক সময়ই শব্দের ভলিউম লেভেল কোথাও বেশি কোথাও কম থাকে। প্রতিটি যায়গা কমানো বা বাড়ানোর বদলে একবারে পুরো ফাইলের ভভিউম লেভেলকে সমমানের করা যায়।
·        মেনু থেকে সিলেক্ট করুন, Process – Equalize Volume Levels
·        অথবা এডিটিং প্যানেলে ইকুয়ালাইজ বাটনে ক্লিক করুন।
পুরো শব্দ থেকে অতিরিক্ত ভলিউম যেমন কমবে তেমনি কম ভলিউমের অংশগুলি বৃদ্ধি পেয়ে সমমানের হবে।

এই প্রাথমিক কাজগুলি ছাড়াও এডভান্সড এডিটিং এবং বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে এই সফটঅয়্যারে। সেগুলি আগামী টিউটোরিয়ালে।

No comments:

Post a Comment