ফ্রিল্যান্সিং
বিষয়ে যেখানেই কোন পরামর্শ দেখবেন সেখানেই বলা হবে, হতাস না হয়ে ক্রমাগত চেষ্টা
করে যান। সেটাই সাফল্যের পথ। তারপরও পরিসংখ্যান বলে, সংখ্যার দিক থেকে সফল
ফ্রিল্যান্সারের থেকে হতাস হওয়াদের পাল্লা ভারী। অর্থাত ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য
যারা চেষ্টা করেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগই বিফল হয়ে ফেরত যান অথবা যতটা আশা করেন
ততটা সফল হন না।
যে কারনগুলি
থেকে হতাসা আসতে পারে তার কয়েকটি তুলে ধরা হচ্ছে এখানে।
.
ফ্রিল্যান্সিং
কাজ না পাওয়া সবচেয়ে বড় হতাসার কারন। যারা
নতুন তাদেরকে এই সমস্যায় অনেক দিন কাটা হয়। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলি হিসেব করে বলে
একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের প্রথম কাজ পেতে দেড় থেকে দুমাস চেষ্টা করতে হয়। অনেকেরই
এই পরিমান দৈর্য্য থাকে না।
.
অতিরিক্ত
প্রতিযোগিতা অনেকের হতাসার কারন হয়ে দাড়ায়। যেখানে কাজের চেষ্টা করছেন সেখানে
প্রতিযোগিতা এতটাই এগিয়ে যে তাদের টপকে কাজ পাওয়া দুরুহ। ফল হিসেবে হতাসা আসতেই পারে।
.
বিড করার কাজটি
অনেকেই পছন্দ করেন না। এর পেছনের মুল কারন হয়ত সমাজ ব্যবস্থা। বাংলাদেশে একজন
ছাত্রকে কখনো অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করতে হয় না। ফলে বার্গেনিং বলে যে বিষয়টি
রয়েছে তাতে দক্ষতার অভাব থাকে, অনেকেই ইতস্ততত বোধ করেন। অথচ ফ্রিল্যান্সিং কাজে
সফল হওয়ার জন্য এটা জরুরী।
.
যোগাযোগের
দুর্বলতা অনেকের হতাসার কারন হয়ে দাড়ায়। এখানেও বাংলাদেশের বিশেষ সমাজ ব্যবস্থার
কথা উল্লেখ করতে হয়। বাংলাদেশে সময় হিসেব করে চলতে হয় না, ইচ্ছে হলেই কাউকে ফোন
করা যায়। উন্নত বিশ্বে ফোন করার আগে ভাবতে হয় তিনি সেটা ধরার সময় পাবেন কি-না।
সেকারনে যোগাযোগ হয় সংক্ষিপ্তভাবে, মুলত ই-মেইল এর মাধ্যমে। এতে অভ্যস্থ না হওয়ায়
এবং ভাষাগত কারনে অনেকে হতাসা বোধ করেন।
.
ক্লায়েন্টে
আচরনে অনেকে হতাসা বোধ করেন। কোন কাজে ক্লায়েন্ট সন্তুষ্ট না হয়ে বিরুপ সমালোচনা
করতে পারেন। সেটা করাও হয়। অনেকের পক্ষেই সেটা মেনে নেয়া কষ্টকর।
.
তুলনামুলক
অদক্ষ কাউকে কাজ পেতে দেখলে হতাসাবোধ আসতেই পারে। অন্তত কাজের দক্ষতা যে সমস্যা না
সেটা জানার পর হতাস হওয়া স্বাভাবিক।
এছাড়াও আরো
বিভিন্ন কারনে অনেকে ফ্রিল্যান্সিং থেকে সরে যান, বা যেতে ইচ্ছে করেন।
বিষয়টিকে
সমাধানের দৃষ্টিতে দেখাই ভাল। সমস্যা যেখানে আছে সেখানে সমাধানও আছে। দক্ষতা কম
থাকলে সেটা বাড়ানো যায়, এক কাজ না পেলে আরেক কাজের চেষ্টা করা যায়, একজন ক্লায়েন্ট
পছন্দ না হলে আরেকজনের খোজ করা যায়, এমনকি এক ফ্রিল্যান্সিং সাইট পছন্দ না হলে
আরেক সাইট ব্যবহার করা যায়।
একেবারে মুলে
গিয়ে দেখা যাক। ফ্রিল্যান্সার যদি মনে করেন তার অন্য কাজের সুযোগ আছে তাহলে তিনি
অপছন্দ হলে ফ্রিল্যান্সিং থেকে সরে যেতে পারেন। আর যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে হয় তাহলে হতাস না হয়ে আশা
ধরে রেখে চেষ্টা করাই ভাল।
great information!
ReplyDelete