Saturday, September 15, 2012

ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্ক ঠিক রেখে পাওনা টাকা আদায়


কথাটা শুনতে খুব ভাল শোনায়। পাওনা টাকা পাবেন এবং সম্পর্কও ঠিক থাকবে। আসলে কি সেটা সম্ভব। অনেক ফ্রিল্যান্সারের কাছে পাওনা টাকা পাওয়া যখন সবচেয়ে জটিল কাজ।
প্রথমে দেখে নেয়া যাক পাওনা টাকা বলতে ঠিক কি বুঝায়। আপনি ক্লায়েন্টের কাজ সময়মত করে দেবেন, তিনি আপনার টাকা সময়মত বুঝিয়ে দেবেন এটাই হওয়ার কথা। বাস্তবে অনেক সময়ই সেটা হয় না। কেউ টাকা সময়মত দেন না, কেউ আদৌ দেন না। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর আয়ের ওপর নির্ভর করেন তাহলে আপনি কোনটাই মেনে নিতে পারেন না।
এই পোষ্টে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হচ্ছে যা থেকে আপনি সচেতন থাকতে পারেন।

.          কাজ শুরুর আগে ক্লায়েন্টকে যাচাই করুন
অনেক ব্যক্তি বা প্রতিস্ঠানের স্বভাব সময়মত টাকা না দেয়া। কেউ কেউ এমন অভ্যেস গড়ে তোলেন যেভাবে একজনের কাছে কাজ করার পর যখন টাকার প্রশ্ন ওঠে তখন আরেকজনের কাছে যান। যতটা সম্ভব খোজ নিন অন্য কোথাও বাকি রেখেছেন কি-না। যদি কেউ এধরনের অভিযোগ করে তাহলে কখনোই তার কাজ করবেন না।
.          যতটা সম্ভব লিখিত শর্ত রাখুন
কাজের বর্ননা, সময় এবং অর্থের বিষয়গুলি লিখিত রাখুন। ক্লায়েন্ট পরিচিত এই কারনে ভদ্রতা করে বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন না।
.          নতুন ক্লায়েন্টের  স্থেত্রে কিছু টাকা অগ্রিম নিন
ক্লায়েন্টকে যাচাই করার জন্য এই পদ্ধতি অর্তন্ত কার্যকর। কেউ কাজ করে টাকা না দেয়ার পরিকল্পনা করলে শুরুতেই সরে যাবেন। অন্তত খরচের টাকা আগেই হাতে রাখলে ক্ষতি এড়ানো যায়।
.          সময়মত বিল দিন
অনেক ক্লায়েন্টের টাকা দেয়ার জন্য লিখিত বিল দিতে হয়। বিল দিতে কখনো দেরি করবেন না কিংবা বিল ছাড়াই টাকা আশা করবেন না।
.          সময়মত তাগাদা দিন
কেউ বিল দিতে দেরি করলে তাকে মনে করিয়ে দিতে দেরি করবেন না। অনেকেই তাগাদা না দিলে গড়িমসি করেন।

তাগাদা দেয়ার আগে ক্লায়েন্টকে বিশ্লষন করাটিও জরুরি।  বড় কোম্পানীর টাকা দেয়ার বহু নিয়ম-কানুন মানতে হয়, ফলে তাদের বিল দিতে দেরি হতে পারে। এজন্য বড় ধরনের কাজে বিলকে ভাগভাগ করে নেয়া ভাল। আংশিক কাজ করার পর আংশিক টাকা নেয়ার ব্যবস্থা করে সেটা করা যেতে পারে।
পাওনা টাকা আদায় কথাটি যেমনই শোনাক, আপনি জোর করে টাকা আদায় করতে পারেন না। করলে তারসাথে সম্পক চুকিয়ে দেয়ার কথা ভেবেই করতে হয়। কখনো কখনো প্রয়োজনও হয়।
সেক্ষেত্রে যে নিয়ম মানতে পারেন;
.          ভদ্রতা রেখে বিল দিতে বলুন। কারো কারো জন্য এটুকুই যথেষ্ট। সবচেয়ে ভাল ফল হচ্ছে পাওনা হাতে পাওয়া।
.          কিছুদিন পর আরেকটু কঠোর ভাষায় লিখুন।  ভয় দেখানো বা আপত্তিকর কিছু বলার প্রয়োজন নেই। এটুকু বলুন সেটা আপনার পাওনা এবং তিনি সেটা দিতে দেরি করছেন।
.          এতেও কাজ না হলে কথা বলার ব্যবস্থা করুন। এখানেও ধৈর্য হারিয়ে কটু ভাষা ব্যবহার করবেন না।

এর কোনকিছুতেই যদি কাজ না হয় তাহলে ?
আপনার প্রথম কর্তব্য তাকে ক্লায়েন্ট তালিকা থেকে বাদ দেয়া।  আপনার পাওনার পরিমান কত তার ওপর নির্ভর করে এরপর আপনি কি পদক্ষেপ নিতে পারেন। পরিমান কম হলে শুধুমাত্র সম্পর্ক চুকিয়ে বিষয়টি ভুলে যেতে পারেন। আর বেশি হলে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন। এজন্যই লিখিত চুক্তি প্রয়োজন।

No comments:

Post a Comment