ফ্রিল্যান্সারের
কি কি সমস্যা হতে পারে ? এককথায় উত্তর, বহু ধরনের। কেউ ফ্রিল্যান্সিং কাজে ভাল
করছেন দেখে অনেকে উতসাহিত হয়ে যেমন ফ্রিল্যান্সার হতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন ঠিক
বিপরীতভাবে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করার পর অনেকে সরে যাওয়ার কথাও ভাবছেন।
এখানে সমস্যা
বলতে কাজ না পাওয়ার বিষয় উল্লেখ করা হচ্ছে না। কাজ না পাওয়া অবশ্যই বড় সমস্যা।
এমনকি সবসময় দক্ষতা-যোগ্যতা-চেষ্টা সবকিছু ঠিক থাকার পরও কাজ না পাওয়ার ঘটনা ঘটে।
যারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন তাদের ক্ষেত্রেও।
বরং সেইসব
সমস্যার কথা যা হচ্ছে যা কাজ পাওয়া এবং ঠিকভাবে করার পরও থেকে যায়। এধরনের বিষয়
নিয়ে এই পোষ্ট।
চুক্তির
পরিবর্তন
যে কোন
ফ্রিল্যান্সিং কাজের শুরুতে কাজের বর্ননা সহ অন্যান্য বিষয় ঠিক করে নেয়া হয়। অনেক
সময় উল্লেখ করা থাকে সেখানে কতটুকু পরিবর্তণ গ্রহনযোগ্য।
বাস্তবতা
হচ্ছে, ক্লায়েন্ট যদি সন্তুষ্ট না হন, যদি আরো পরিবর্তণ করাতে চান, তাহলে
ফ্রিল্যান্সার কি করতে পারেন ?
তিনি কাজ থেকে
সরে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে যতটুকু কাজ করেছেন তার পুরোটাই ক্ষতি। অথবা ক্রমাগত
পরিবর্তণ করে যেতে পারেন। সেটাও তার জন্য ক্ষতিকর।
কমবেশি সব
ফ্রিল্যান্সারকে এধরনের সমস্যায় পরতে হয়। ক্লায়েন্টের সাথে আন্তরিক যোগাযোগ রক্ষা
করে এই সমস্যা কমানো যায়।
যোগাযোগের
সমস্যা
ফ্রিল্যান্সার-ক্লায়েন্ট
সময়মত যোগাযোগ রক্ষা করবেন এটাই স্বাভাবিক। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে হয়ত আপনি নিজের
দিক ঠিক রাখেনও। ক্লায়েন্টের দিক থেকে সেটা না হলে ফ্রিল্যান্সারের কিছু করার থাকে
না।
স্থানীয়ভাবে এই
সমস্যা প্রত্যেকেই দেখে থাকবেন। যন্ত্রপাতি সারাই এর দোকানে দেখা যায় ঘর ভর্তি
জিনিষ জমে আছে। এগুলির মালিক সময়মত নিতে আগ্রহিন হন না বিভিন্ন কারনে। আবার এগুলি
সরানোর উপায়ও থাকে না। সরানোমাত্র তিনি এসে হাজির হতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং
কাজে এই সমস্যা প্রায়ই দেখা দেয়। ক্লায়েন্ট ১ সপ্তাহে কাজ করার জন্য তাগাদা দিলেন,
সেভাবে চুক্তি হল। কাজ করার পর তিনি যোগাযোগ করলেন না। আদৌ যোগাযোগ না করলে কখনো কখনো পুরো পরিশ্রমই
মাটি হতে পারে।
অনেক সময়ই এই
সমস্যা মেনে নিতে হয়।
পেমেন্ট বিষয়ক
জটিলতা
ফ্রিল্যান্সিং
সাইটগুলির মাধ্যমে কাজ করলে তারা যতটাসম্ভব চেষ্টা করে সময়মত টাকা পাওয়ার। সেটা
তাদের ব্যবসার অংশ। তারাও সবসময় ক্লায়েন্টের কাছে টাকা নিতে পারেন না। আর সরাসরি
ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করলে এই নিরাপত্তাটুকুও থাকে না। তিনি যদি টাকা না দিয়ে সরে
যান (কাজ শেষে অথবা কাজ শুরু পর) তাহলে ক্ষতি স্বিকার করতে হয় ফ্রিল্যান্সারকে। বাংলাদেশ
থেকে টাকা গ্রহনের পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা এখানে বাড়তি সমস্যা।
টাকা দিতে দেরী
করা, কাজ করার পর চুক্তির থেকে কম টাকা দেয়া এধরনের সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়।
যতটা সম্ভব
সচেতন থেকে, পেশাদারীত্ব দেখিয়ে এই সমস্যা কমানো যায়।
সব ফ্রিল্যান্সারকে
ঠিক এই সমস্যাগুলির মোকাবেলা করতে হয় এমন কথা নেই। তবে সব ফ্রিল্যান্সারেরই কোন না
কোন সমস্যা হয়। একেকজন একেকভাবে সেগুলির মোকাবেলা করেন।
আপনার সমস্যা
এবং সমাধান অন্যদের জানিয়ে যেমন তার উপকার করতে পারেন তেমনি অন্যের সমস্যার কথা
শুনে সেখান থেকেও নিজে উপকৃত হতে পারেন।
You say right.Freelancer should keep take care this kind of step.
ReplyDelete