ডিজিটাল ফটোগ্রাফাররা কোন একটি সফটঅয়্যার ব্যবহার করেন। ফটোশপ. লাইটরুম, এপারচার, বিবল, কিংবা সহজ এসিডিসি যাই হোক না কেন। কারন, ছবি উঠানোর পর সরাসরি ভাল মানের ছবি পাওয়া যায় না। এতে আলো বিষয়ে সমস্যা থাকে, ব্রাইটনেস, কন্ট্রাষ্ট, রং বিষয়ে সমস্যা থাকে। এমনকি যদি সমস্যা নাও থাকে, ছবি যতটা ভাল পাওয়া গেছে সফটঅয়্যার ব্যবহার করে তাতেও অভিনবত্ব দেয়া যায়। একটি ছবির সাথে আরেকটি ছবি এক করে কম্পোজিট ইমেজ তৈরী করা যায়।
যদি ফটোশপ ব্যবহারের সুযোগ থাকে তাহলে অন্য সফটঅয়্যার ব্যবহার করবেন কেন ?
ফটোশপে কিভাবে ছবির বিভিন্ন বিষয় পরিবর্তন করা যায় জেনে নিন।
নাইকন ডি৯০ ক্যামেরা ওঠানো এই ছবিটি দেখুন। খুব সমস্যা আছে তা হয়ত বলা যাবে না। একে আরো সুন্দর করা যাক।
ফটোগ্রাফির একটি সাধারন সমস্যা টোন। আপনি হয়ত ছবি উঠিয়েছেন ভোরের নরম আলোয়, অথবা দুপুরের কড়া রোদে, কিংবা মেঘলা দিনে, কিংবা ঘরের মধ্যে ফ্লুরোসেন্ট টিউবের আলোয়। এসব কারনে ছবিতে রঙয়ের একধরনের ছাপ দেখা যায়। শুরুতেই সেটা ঠিক করে নিন।
টোন ঠিক করা
ফটোশপে ছবিটি ওপেন করুন এবং কমান্ড দিন Image – Auto Tone
ছবিতে কিছু পরিবর্তন পাওয়া যাবে। সবসময়ই এই পরিবর্তন আপনার মনের মত হবে এমন কথা নেই। হয়ত সফটঅয়্যার গানিতিক হিসেব করেছে, আর আপনি চান অন্যকিছু। সেবিষয়ে পরে দেখে নেয়া যাবে। তবে শুরুতেই একবার এই কমান্ড দিয়ে ফলটা দেখে নিন।
কন্ট্রাষ্ট ঠিক করা
ছবিতে যতটা কন্ট্রাষ্ট (আলোছায়ার পার্থক্য) রয়েছে সেটা হয়ত আপনার পছন্দ হচ্ছে না। এটা ঠিক করার জন্য মেনু থেকে কমান্ড দিন Image – Auto Contrast
এখানেও একই কথা, এর ফলাফল আপনার পছন্দ নাও হতে পারে।
কালার ঠিক করা
সাধারনভাবে ছবিতে যে রঙ রয়েছে সেটা যদি ঠিক মনে না হয় তাহলে রঙ ঠিক করার জন্য কমান্ড দিন,
Image – Auto Color
এই ৩টি অটো সেটিং থেকে অধিকাংশ সময় ভাল ফল পাওয়া যায়। এবারে আরো নিখুতভাবে প্রতিটি বিষয় পরিবর্তন করা যায় তা দেখা যাক।
প্রথমেই একটি সাবধানবানী। রঙিন ছবিতে কখনো ব্রাইটনেস-কন্ট্রাষ্ট নামের কমান্ড ব্যবহার করবেন না। এই কমান্ড পুরো ছবির প্রতিটি পিক্সেলের জন্য সমানভাবে কাজ করে, ফলে ছবির মান নষ্ট হয়। আপনার প্রয়োজন বিশেষ বিশেষ যায়গায় পরিবর্তন।
লেভেল কন্ট্রোল
লেভেল কন্ট্রোল এমন একটি পদ্ধতি যেখানে ছবির সবচেয়ে উজ্জল, সবচেয়ে অন্ধকার এবং মাঝামাঝি যায়গা (হাইলাইট, স্যাডো এবং মিডরেঞ্জ) পৃথকভাবে নিয়ন্ত্রন করা যায়।
মেনু থেকে Image – Adjustments – Levels সিলেক্ট করুন।
লেভেল এর উইন্ডোটি ভালভাবে দেখুন। এর মাঝখানে একটি গ্রাফ রয়েছে। এর নাম হিসটোগ্রাম। ছবিতে বিভিন্নধরনের আলোর পরিমান জানা যায় এটা থেকে।
গ্রাফের নিচে দুপাশে দুটি এবং মাঝখানে একটি স্লাইডার রয়েছে। ডানদিকেরটি হাইলাইট (সবচেয়ে উজ্জ্বল অংশ কিংবা সবচেয়ে সাদা অংশ) বুঝায়, বামদিকেরটি বুঝায় ছবির সবচেয়ে কালো অংশ, আর মাঝেরটি মিডটোন।
এই ছবির বিশ্লেষন হচ্ছে, কালো অংশের পরিমান যথেষ্ট বেশি। এরপর ক্রমান্বয়ে সাদার দিকে যাওয়ার পথে ডিটেইল কমে গেছে। তবে সব যায়গাতেই যেটুকু আলো রয়েছে সেটা গ্রহনযোগ্য।
অনেক ক্ষেত্রে আলোর কারনে বামদিকে কিংবা ডানদিকে কিছু ফাকা অংশ পাওয়া যায়। এর অর্থ হচ্ছে সেখানে কালো কিংবা সাদা অংশ গুলির মধ্যে পার্থক্য কম। এমন অবস্থায় স্রাইডার সরিয়ে এনে ছবির মান উন্নত করতে পারেন।
কিভাবে কাজটি করা যায় পরীক্ষা করে দেখুন। ডানদিকের স্লাইডারটি মাউস দিয়ে চেপে বামদিকে সরাতে থাকুন। ছবির আলোকিত অংশগুলি আরো উজ্জ্বল হতে থাকবে।
একইভাবে বামদিকের স্লাইডারটি ডানদিকে সরাতে থাকলে কালো অংশগুলি আরো কালো হতে থাকবে। কাজেই খুব সহজেই কন্ট্রাষ্ট কমানো বা বাড়ানোর কাজ করে নিতে পারেন।
মাঝখানে স্লাইডার ডানে বা বামে সরিয়ে পুরো ছবির মাঝামাঝি আলোর পরিমান কম-বেশি করা যাবে। ফল হিসেবে আপনি পাবেন সঠিকভাবে আলোকিত ছবি।
লেভেল কন্ট্রোল উইন্ডোতে কয়েকটি প্রিসেট রয়েছে সরাসরি ব্যবহারের জন্য। এগুলিও ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
ডিজিটাল ফটোগ্রাফি বিষয়ে অন্যান্য পোষ্ট
ভাল ছবি উঠানোর নিয়মকানুন
ট্রাইপড কেন ব্যবহার করবেন
পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফি রিটাচিং
জেপেগ বনাম র
সঠিক এক্সপোজার ব্যবহার করুন
কখন ফ্লাশ ব্যবহার করবেন না
ডেপথ অব ফিল্ড
ডিজিটাল ফটোগ্রাফি বিষয়ে অন্যান্য পোষ্ট
ভাল ছবি উঠানোর নিয়মকানুন
ট্রাইপড কেন ব্যবহার করবেন
পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফি রিটাচিং
জেপেগ বনাম র
সঠিক এক্সপোজার ব্যবহার করুন
কখন ফ্লাশ ব্যবহার করবেন না
ডেপথ অব ফিল্ড
I tried and got the result. Thanks.
ReplyDelete