ইমেজ এডিটিং এর ক্ষেত্রে এডবি ফটোশপকে বলা হয় ইন্ডাষ্ট্রি ষ্ট্যান্ডার্ড। এর ব্যবহার অন্যান্য সফটঅয়্যার থেকে কিছুটা ভিন্ন, যেকারনে অনেকেই কিভাবে শুরু করবেন তা নিয়ে সমস্যায় পড়েন। এমনকি বই পড়ে কিংবা ভিডিও টিউটোরিয়াল ব্যবহারের পরও মনে হয় কোথায় যেন কিছু বাদ পড়ে যাচ্ছে। এবিষয়ে সহায়তা করার জন্য ধারাবাহিকভাবে ফটোশপের টিউটোরিয়াল প্রকাশ করা হচ্ছে। ইন্টারনেটে এধরনের টিউটোরিয়ালের সুবিধে হচ্ছে শিক্ষার্থী অনায়াসে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। এক শিক্ষার্থী অন্যের সাথে যোগাযোগও করতে পারেন এর মাধ্যমে।
প্রথমে কিছু সাধারন আলোচনা সেরে নেয়া যাক, প্রথম প্রশ্ন। ফটোশপ কেন ব্যবহার করবেন
ফটোশপ কি ? একেবারে সঠিকভাবে না জানলেও মোটামুটি ধারনা রয়েছে সকলেরই। এমনকি কম্পিউটার ব্যবহার করেন না এমন ব্যক্তিরও। এটাই বলে দেয় এর জনপ্রিয়তা কতখানি। এক কথায়, ইমেজ এডিটিং এর ক্ষেত্রে বিশ্বের ১ নং সফটওয়্যার। এই কথায় বিষয়টি পরিস্কার হয় যতটুকু ঘোলাটে হয় তারচেয়ে বেশি। ইমেজ এডিটিং কি জিনিষ ? কে সেকাজ করে ? আমার সেটা প্রয়োজন কেন ? ইত্যাদি ইত্যাদি।
গ্রাফিক ডিজাইন যার পেশা, অথাৎ চাকরী করেন ডিজাইনার হিসেবে কিংবা অর্থ উপার্জনের জন্য নিজে কাজ করেন তারা ফটোশপ ব্যবহার করেন বিজ্ঞাপন, লিফলেট, পত্রিকা, বইয়ের প্রচ্ছদ, পোষ্টার থেকে শুরু করে সব ধরনের ডিজাইনের কাজে। যাকিছু ছাপা হয়, যাকিছু টিভিতে দেখানো হয়, যাকিছু ইন্টারনেটে রাখা হয় সব যায়গায় রয়েছে ফটোশপে কাজের সুযোগ।
যারা ভিডিও এডিটিং কিংবা এনিমেশনের কাজ করেন তাদেরও ছবির কাজ করতে হয় এখানেই। থ্যিডি মডেলের ওপর ব্যবহারের জন্য ম্যাটেরিয়াল থেকে শুরু করে থ্রিডি পেইন্টিং, স্পেশাল ইফেক্ট সবকাজ করা যায় ফটোশপে।
প্রোগ্রামার, ওয়েব ডিজাইনাররা তাদের ছবির অংশটুকু করে নেন ফটোশপে। ফটোগ্রাফাররা তাদের ছবি ঠিক করেন ফটোশপে।
এর কোনটিই যদি আপনার প্রয়োজন না হয় তাহলে শখের বিষয়টি মনে করুন। ক্যামেরায় (অথবা মোবাইল ফোনে) ছবি উঠানোর শখ নিশ্চয়ই আছে। এবং লক্ষ্য করেছেন আপনার ছবি একটা দামী পত্রিকার ছবির মত উজ্জ্বল, ঝকঝকে হয় না। তারা দামী ক্যামেরা ব্যবহার করে, একাজে দক্ষ একথা মনে রাখার পরও আরেকটা বিষয় উল্লেখ করতে হয়, ছবি সরাসরি ঝকঝকে হয় না। কাজটি ফটোশপে (অথবা এই ধরনের কোন সফটঅয়্যারে) করে নেয়া হয়।
অথবা বিয়ে-জন্মদিন-ঈদ-বড়দিন-পুজায় কাউকে নিজের তৈরী কার্ড দিতে চান। সেখানে নিজের কিংবা প্রিয় কারো ছবি, অথবা নিজের উঠানো একটা ফুলের ছবি বসিয়ে দিতে চান। একাজটিও করে নিতে পারেন সবার সেরা সফটওয়্যারে।
আর যদি আরো বড় ধরনের কাজের দিকে যান, যেমন ডিজিটাল পেইন্টিং তাহলেও ফটোশপ। ক্যানভাসে ছবি একে যারা খ্যাতি অর্জন করেছেন তাদের কথা একবার মনে করুন। তারা যাকিছু ব্যবহার করেন তার সবকিছুই ফটোশপে ব্যবহার করা সম্ভব।
এককথায় যেখানে ইমেজ সেখানেই ফটোশপ। প্রিন্ট, ওয়েব, মাল্টিমিডিয়া, ভিডিও সব যায়গায়।
ফটোশপের সবই ভাল, সবচেয়ে ভাল কাজ করা যায়, একথা জানার সাথেসাথে আরেকটি কথা জেনে নেয়াই ভাল। এর ব্যবহার খুব সহজ না। ইমেজ এডিটিং এর বহু সফটওয়্যার পাওয়া যাবে যেগুলির ব্যবহার ফটোশপের তুলনায় সহজ। সেতুলনায় ফটোশপ তৈরী হয়েছে পেশাদারীদের জন্য।
কাজেই সেরা সফটওয়্যার দিয়ে যদি সেরা ফল পেতে চান তাহলে কিছু অতিরিক্ত সময়, পরিশ্রম, মেধা ব্যয় করতেই হবে। বছরের পর বছর চেষ্টা করে তবেই একজন ফটোশপে দক্ষ হয়। যদি তাতে আপত্তি থাকে তাহলে সহজ কোন সফটওয়্যার বেছে নেয়াই ভাল।
কোন ভার্শন ব্যবহার করবেন
বর্তমানে ফটোশপের সর্বশেষ ভার্শন সিএস-৫। প্রশ্ন করতেই পারেন শেষ ভার্শন প্রয়োজন হবে না-কি আগের অন্য ভার্শন করলে চলবে। নতুন ভার্শন মানেই যখন আরো শক্তিশালী কম্পিউটার।
যারা পেইন্টিং এর কাজ করেন তারা পুরনো ভার্শন ব্যবহার করেন। উদাহরন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কমিক নির্মাতা মারভেল ব্যবহার করে ভার্শন ৩ অথবা ৪। পরিচিত গ্রাফিক ডিজাইনারদের জিজ্ঞেস করলে জানবেন তারাও পুরনো কোন ভার্শন ব্যবহার করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভার্শন ৭। কাজেই আপনাকে লেটেষ্ট ভার্শন ব্যবহার করতেই হবে এমন কথা নেই। আবার পুরনো ভার্শনে নতুন ভার্শনের সবকিছু রয়েছে এটাও ধরে নেয়ার কারন নেই। যেমন সেএস৫ ভার্শনে থ্রিডি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে, স্মার্ট ফিল সহ অনেকগুলি নতুন বিশেষ ফিচার রয়েছে। এমনকি ভাল পারফরমেন্সের জন্য উন্নত গ্রাফিক্স কার্ডের সর্ব্বোচ্চ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। পুরনো ভাশর্নে এই সুবিধেগুলি পাওয়া যাবে না।
বিষয়টি সহজ করে দেখা যাক। যদি সম্ভব হয় নতুন ভার্শন ব্যবহার করবেন। যদি কম্পিউটার যথেষ্ট শক্তিশালী না হয় তাহলে পুরনো ভার্শনে ক্ষতি নেই। প্রয়োজনীয় সব কাজই করা যাবে। ভার্শন ৫.৫ থেকে পরবর্তী যেকোন ভার্শন ব্যবহার করা যেতে পারে।
কি প্রয়োজন
ফটোশপ উইন্ডোজ এবং ম্যাকে একইভাবে কাজ করে। এই টিউটোরিয়ালগুলি উইন্ডোজের জন্য হলেও আপনি অনায়াসে ম্যাকে কাজ করতে পারবেন। কাজেই আপনার প্রথম প্রয়োজন উইন্ডোজ অথবা ম্যাক অপারেটিং সিষ্টেমের একটি কম্পিউটার। সেখানে ফটোশপ সফটঅয়্যার ইনষ্টল করা।
নতুন ভার্শনের ফটোশপ যথেষ্ট বড় সফটঅয়্যার। কাজেই শক্তিশালি প্রসেসর, যথেষ্ট পরিমান মেমোরী, হার্ডডিস্কে যথেষ্ট পরিমান যায়গা এগুলিও প্রয়োজন। যদি নতুন কম্পিউটার কেনার বিষয় থাকে তাহলে দ্রুতগতির প্রসেসর, বেশি মেমোরী, বড় আকারের মনিটর, ভাল গ্রাফিক্স কার্ড ইত্যাদি বিষয়ের দিকে দৃষ্টি দিন। নিখুত কাজের জন্য উন্নতমানের মাউস প্রয়োজন। ড্রইং এর জন্য প্রেসার সেনসিটিভ গ্রাফিক ট্যাবলেট (ওয়াকম হতে পারে) ব্যবহার করলে আরো সুন্দর এবং নিখুত কাজ করা সম্ভব হবে।
কাগজ থেকে ছবি ব্যবহার করতে হলে স্ক্যানার প্রয়োজন হবে। এছাড়া ছবি উঠানো প্রয়োজন হলে ক্যামেরা থাকা চাই। ফিল্ম ক্যামেরার তুলনায় ডিজিটাল ক্যামেরা বেশি সুবিধাজনক।
উল্লেখ করা সবকিছু যদি নাও থাকে, কম্পিউটারে শুধুমাত্র ফটোশপ ইনষ্টল করেই কাজ শুরু করুন।
Excellent advise. Thanks.
ReplyDeleteVai bangladeshe ki graphic tab gulo pawa jay? R ipad ke ki graphic tab hisabe use kora jabe? Jodi bolen khub upokrito hobo
ReplyDeleteবিসিএস কম্পিউটার সিটিতে খোজ করলে ছোট আকারের ট্যাবলেট পাবেন।
Deleteট্যাবলেট কম্পিউটার ব্যবহার অত্যন্ত ভাল বিকল্প। কেনার আগে দেখে নেবেন তারসাথে ষ্টাইলাস জাতিয় কিছু আছে কিনা এবং ইলাষ্ট্রেটর ব্যবহার করা যাবে কি-না।
I like this advice.
ReplyDeleteI am a new user. I think this is a good advice for this sector.
ReplyDeletehello bro this is anik just i complete my education and now i find a job as per rolls but i interested to learn graphics design i really don't find a good institution can u advice me where i go to trainee graphics design please advice me as early as possible
ReplyDeleteঅন্যের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেই শেখার চেষ্টা করুন। এজন্য বই, ভিডিও টিউটোরিয়াল, অনলাইন টিউটোরিয়াল ইত্যাদি ব্যবহার করুন।
Deleteআমি আগে থেকেই গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য আগ্রহী। কিন্তু বুঝতে পারছিনা প্রথম কিভাবে বিষয় গুলো জানবো এবং শিখবো। আশা করি আপনার মাধ্যমে শিখতে পারবো। দয়া করে জানাবেন কি?
ReplyDeletedownload option koi?
ReplyDeletephotoshop online theke ki kine nite hoy naki free?koyekbar try koreo hocce na.buy korte bole.kivabe download korbo janaben please.er jonno ki processor and ki poriman memory dorkar?
ReplyDeleteযে কোন সফটঅয়্যারই কিনে ব্যবহার করা নিয়ম। পাইরেটেড কপি বিভিন্ন সাইট থেকে (যেমন পাইরেট বে) ডাউনলোড করা যায় কিংবা দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। সিএস৬ এর পরের ভার্শন অনলাইনভিত্তিক। ব্যবহারের জন্য ফি দিতে হয়। অনেকে এর পাইরেটেড কপিও ব্যবহার করেন।
Deleteখুব ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ।
ReplyDeleteখুব ভাল লগল। আমিও শিখতে চাই এই কাজ অন লাইনে আয় করার জন্য।
ReplyDelete