১৯৫৫ সালে ইকোনোমিষ্ট পত্রিকায় পারকিনসনের সুত্র নামে একটি পদ্ধতি ছাপা হয়েছিল। সেটা ছিল বৃটিশ সরকারী কর্মচারীদের কর্মীসংখ্যা কমিয়ে কাজের পরিমান বাড়ানোর পদ্ধতি। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করার সময় আপনি কি সেই সুত্র কাজে লাগাতে পারেন ? কাজ করবেন কম সময়ে অথচ ফল পাওয়া যাবে বেশি।
পারকিনসনের সুত্র মেনে নিলে সেটা সম্ভব। এর পেছনের মুল যুক্তি হচ্ছে কাজের সবচেয়ে সুবিধেজনক সময় বের করা। যে সময়ে মানুষ সবচেয়ে দক্ষতার সাথে কাজ করে। সেই সময়কে ঠিকভাবে কাজে লাগানো।
ওভারটাইম শব্দটির সাথে সবাই পরিচিত। সারাদিন কাজ করার পর অতিরিক্ত সময় কাজ করবেন এবং সেকারনে অতিরিক্ত অর্থ পাবেন। বিষয়টি আরেকবার ভেবে দেখুন। সারাদিনের পরিশ্রমের পর ক্লান্তি আপনার কর্মদক্ষতা কমিয়ে দিয়েছে। সময়ের হিসেবে হয়ত আপনি কাজ করছেন কিন্তু ওভারটাইমের একঘন্টা এবং সকালের ১ ঘন্টার কাজের মধ্যে পার্থক্য অনেকখানি। অন্যভাবে বললে, আপনি যদি স্লথগতির কাজের জন্য অন্য সময়ের হারে অর্থ নেন (কখনো কখনো স্বাভাবিক সময়ের থেকে ওভারটাইমের অর্থ বেশি দেয়া হয়) তার অর্থ আপনি কোম্পানীকে ঠকাচ্ছেন। অল্প কাজ করে বেশি অর্থ নিচ্ছেন। বিপরীতভাবে আপনি ওভারটাইমের কাজটুকু স্বাভাবিক সময়ে করে ফেললে এই অর্থ সেভ করা সম্ভব।
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি নিজেই আপনার কর্তা। সেখানে অনায়াসে অল্প দক্ষতার সময়টুকু বাদ দিতে পারেন। কাজ শেষ করতে পারেন অতিরিক্ত সময় ছাড়াই। অল্প কিছু নিয়ম মেনে নিজেকে পারকিনসনের সুত্রের মধ্যে আনতে পারেন।
. প্রতিটি কাজের জন্য সময় ঠিক করে নিন
কোন কাজে হাত দেয়ার সময়ই ঠিক করে নিন কোন সময় সেটা শেষ হবে। ক্লায়েন্টকে কখন কাজ জমা দেবেন তার বাইরে, নিজে কখন কাজ শেষ করবেন সেটা ঠিক করে নিন। সময় যত ঘনিয়ে আসবে আপনার কাজ শেষ করার তাগিদ তত বৃদ্ধি পাবে। নিজেকে বুঝান ৩০ তারিখে যে কাজ জমা দেয়ার কথা সেকাজ ২৮ তারিখে রেডি করব। সেটা কাজে করুন।
কোন কাজে হাত দেয়ার সময়ই ঠিক করে নিন কোন সময় সেটা শেষ হবে। ক্লায়েন্টকে কখন কাজ জমা দেবেন তার বাইরে, নিজে কখন কাজ শেষ করবেন সেটা ঠিক করে নিন। সময় যত ঘনিয়ে আসবে আপনার কাজ শেষ করার তাগিদ তত বৃদ্ধি পাবে। নিজেকে বুঝান ৩০ তারিখে যে কাজ জমা দেয়ার কথা সেকাজ ২৮ তারিখে রেডি করব। সেটা কাজে করুন।
. সময় পরিবর্তন করলেও বাস্তবসম্মত রাখুন
যে সময় ঠিক করেছেন কোন কারনে সেখানে সমস্যা দেখা দিতেই পারে। আপনাকে সময় বাড়ানো প্রয়োজন হতে পারে। তখনও এতটা বাড়াবেন না যেন মুল সময় পিছিয়ে যায়, কিংবা অন্যদিকে নিজের ওপর অতিরিক্ত চাপ পরে।
যে সময় ঠিক করেছেন কোন কারনে সেখানে সমস্যা দেখা দিতেই পারে। আপনাকে সময় বাড়ানো প্রয়োজন হতে পারে। তখনও এতটা বাড়াবেন না যেন মুল সময় পিছিয়ে যায়, কিংবা অন্যদিকে নিজের ওপর অতিরিক্ত চাপ পরে।
. কাজের মুল ধাপগুলি চিহ্নিত করুন
কাজকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করে ফেলুন। কোন সময়ে কতটুকু কাজ শেষ করবেন সেটা ঠিক করে রাখুন। কাজের সঠিক পরিকল্পনা থাকায় অল্প সময়ে কাজটি ঠিকভাবে শেষ করা সম্ভব হবে।
কাজকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করে ফেলুন। কোন সময়ে কতটুকু কাজ শেষ করবেন সেটা ঠিক করে রাখুন। কাজের সঠিক পরিকল্পনা থাকায় অল্প সময়ে কাজটি ঠিকভাবে শেষ করা সম্ভব হবে।
কাজের হিসেব রাখার জন্য নানাধরনের পদ্ধতি রয়েছে। প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট এর জন্যই সফটঅয়্যার রয়েছে। বড় ধরনের কাজে সেগুলি ব্যবহার করতে পারে। ছোট কাজের জন্য গুগল ক্যালেন্ডার কিংবা উইন্ডোজের টুল ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি ডায়রি কিংবা নোটবুক ব্যবহার করেও হিসেব রাখতে পারেন।
যে পদ্ধতিতেই হোক না কেন, কাজের সাথে সময়ের হিসেব ঠিক রাখুন, অল্প সময়ের কাজে বেশি ফল পাওয়া যাবে।
This site is very nice for a freelancer.I always get help from here.Everybody should visit it every moment for filled his thirst of knowledge and enrich their knowledge of job and career in online.
ReplyDeleteThanks!