বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহারকারী কিংবা ক্রেতার সাথে ব্যবসায়ী বা বিক্রেতার সম্পর্ক খুব ভাল না একথা বললে খুব বেশি ভুল হয় না। ক্রেতার সবসময়ই নানারকম অভিযোগ বিক্রেতা সম্পর্কে, বিক্রেতা ক্রেতা সম্পর্কে ভাল ধারনা পোষন করেন না। অথচ প্রযুক্তির অন্তত এই ক্ষেত্রে দুপক্ষের সমঝোতা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন। কেনা শেষ হলেই ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্ক শেষ হয় না, যতদিন ব্যবহারকারী সেটা ব্যবহার করেন ততদিন সেই সম্পর্ক থাকার কথা।
প্রায় দুদশক ধরে দুপক্ষের অভিজ্ঞতার আলোকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে কম্পিউটারের প্রসারের ধরন
ব্যবহারকারী এবং ব্যবসায়ী এই দুইয়ের সম্পর্ক কেন সহজ না বিষয়টি বোঝার জন্য বাংলাদেশে কম্পিউটারের প্রসার কিভাবে ঘটেছে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা প্রয়োজন। কম্পিউটারের এর মত প্রযুক্তি যেভাবে, যে ধরনের ব্যক্তির মাধ্যমে প্রসার ঘটা প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশে সেটা ঘটেনি। শুরুতে কম্পিউটার বলতে বুঝানো হত ব্রান্ড কম্পিউটার। কয়েকটি কোম্পানীর হাতে ছিল পুরো ব্যবসা। স্বাভাবিকভাবেই এজন্য চড়া মুল্য দিতে হত। অন্যদিকে তাদের ভাষায তারা দিত কমপ্লিট সল্যুশন। অন্তত ১ বছর পর্যন্ত হার্ডঅয়্যার বিষয়ক যে কোন সমস্যার সমাধান তারা দিত।
ক্লোন কম্পিউটার প্রথম বিক্রি শুরু করে এক্সিস নামে এক প্রতিস্ঠান। এরপর একে দোকানের পর্যায়ে আনে সুপিরিয়র ইলেকট্রনিক্স। এরপরই দ্রুত সেটা সাধারন ব্যবসায় পরিনত হয়। শুরুতে মুলত সিংগাপুর এবং হংকং থেকে আনা হত কম্পিউটার বা যন্ত্রাংশ। লাভের পরিমান এতই বেশি ছিল যে এলিফ্যান্ট রোডের জুতার ব্যবসায়ীরা জুতা ব্যবসা বন্ধ করে কম্পিউটার ব্যবসা শুরু করল। বর্তমানে এলিফ্যান্ড রোড এলাকায় কম্পিউটার দোকানের সংখ্যা ১৮০০, এর অধিকাংশ ব্যবসায়ী আগে অন্য দোকানের কর্মচারী হিসেবে পেশা শুরু করেছে, পরবর্তীতে নিজেই দোকান মালিক হয়েছে। বর্তমানে অনেকেই নিজে আমদানী করেন চীন থেকে।
এভাবে কম্পিউটারে প্রসারের ফল হচ্ছে, একদিকে মানুষের হাতে কম্পিউটার পৌছেছে খুব দ্রুত। যার কম্পিউটার কেনার সামর্থ্য আছে তিনিই কিনেছেন। সরকার সামান্যতম ভুমিকা রাখেনি কম্পিউটার প্রসারে। আপনি মনে করতে পারেন সেটা ভাল দিক, কারন সেটা করলে জটিলতা সৃষ্টি হত।
কম্পিউটার ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় খুব দ্রুত এই ব্যবসার প্রসার লাভ ঘটেছে, বহু মানুষ রাতারাতি কোটিপতিতে পরিনত হয়েছে, অন্যদিকে শুরুর ব্রান্ড কম্পিউটার বিক্রি করা কোম্পানীগুলি বিদায় নিয়েছে টিকতে না পেরে। ফল হিসেবে আরেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে যা এই লেখার মুল বিষয়।
বড় কোম্পানী নিজেদের নাম ধরে রাখার কারনে যথাসম্ভব সেবা দিত। ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে কম্পিউটার এবং অন্য পন্যের পার্থক্য নেই। কাজেই সেবা কমতে শুরু করেছে। বড় কোম্পানীগুলি কোন পার্টস কেনার পর সেটা নিজেরাই লাগিয়ে দিত, এজন্য তাদের লোকবল রাখতে হত। বর্তমানে ব্যবহারকারীকে কিনে নিজেই লাগিয়ে নিতে হয় কারন ব্যবসায়ীদের এজন্য কোন ব্যবস্থা নেই। অথচ পরিসংখ্যান বলে কম্পিউটারের সমসয়্যার ৮০ শতাংশ হয় ব্যবহারকারীর ভুলভাবে লাগানোর কারনে।
ফলে একদিকে ব্যবহারকারী না জানার কারনে সমস্যা তৈরী করছেন এবং তার সমাধান না পেয়ে ব্যবসায়ীকে দোষী করছেন, অন্যদিকে সমাধান দিতে না পেরে ব্যবসায়ী ব্যবহারকারীকে দোষ দিচ্ছেন।
সঠিক জ্ঞান এবং স্বচ্ছতার সম্পর্ক না থাকা
কম্পিউটার ব্যবসা যেভাবে বর্তমান অবস্থায় এসেছে তারসাথে আরো কিছু খারাপ উপসর্গ যোগ হয়েছে। একটি হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতার সঠিক জ্ঞান এবং স্বচ্ছতার অভাব। একজন ক্রেতা যা কিনবেন সে সম্পর্কে সবকিছু জেনে কিনবেন এমন কথা নেই। আর ব্যবসায়ীরা সবাই যে এবিষয়ে এবিষয়ে দক্ষ না সেকথা আগেই বলা হয়েছে। ফল হিসেবে দুপক্ষের কেউই জানেন না ঠিক কি কিনলে সমাধান হবে।
একটি উদাহরন দিয়ে দেখা যাক। বাংলাদেশে প্রচলিত ধারনা, কম্পিউটারের মেমোরী যত বেশি থাকে কম্পিউটার তত দ্রুত কাজ করে। কাজেই ব্যবহারকারী যখন দ্রুততা আশা করেন ব্যবসায়ী তারকাছে মেমোরী বিক্রি করেন।
বাস্তবে কম্পিউটারের গতি বিষয়টি অনেক বেশি জটিল। মেমোরী কম থাকলে গতি কমে যায় একথা ঠিক। কিন্তু তার অর্থ এই না আপনি মেমোরী বাড়াতে থাকবেন আর গতি বাড়তে থাকবে। বস্তুত বিষয় হচ্ছে কম্পিউটার নির্দিষ্ট পরিমান মেমোরী ব্যবহার করে সর্বোচ্চ গতিতে কাজ করতে পারে। বিষয়টি নির্ভর করে অপারেটিং সিষ্টেম, যে সফটঅয়্যার ব্যবহার করা হবে, যে কাজ করা হবে সেগুলি থেকে মুরু করে কম্পিউটারের অন্যান্য যন্ত্রাংশ, সবকিছুর ওপর। সেটুকু যদি থাকে তারচেয়ে বেশি মেমোরী ব্যবহার করা অর্থহীন। কম্পিউটারের গতি বিষয়টি কাজ সম্পর্কিত। কোন কাজের জন্য বেশি মেমোরী প্রয়োজন, কোন কাজে গ্রাফিক্স কার্ড, কোন কাজে প্রসেসর, কোন কাজে সবগুলিই। এবিষয়ে স্বচ্ছ ধারনা না থাকায় ব্যবহারকারী-ব্যবসায়ীর মধ্যে দুরত্ব তৈরী হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা লাভের কারনে ব্যবসা করেন। কম্পিউটার ব্যবসায় সেটা করবেন সেটাই স্বাভাবিক। একজন ব্যবহারকারী হয়ত ডিসপ্লে কার্ডের ক্ষমতা বলতে মেমোরী কত সেটাই বোঝেন। ১ গিগাবাইট কার্ড ৩০০০ টাকায় পাওয়া যায়, ৩০ হাজার টাকায়ও পাওয়া যায়। দুপক্ষেরই এবিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় এই সংকট স্থায়ী রুপ নিয়েছে।
ওয়ারেন্টি আরেকটি বিষয় যা দুপক্ষের সম্পর্ক নষ্ট করে। যদি বলা হয় ১ বছরের ওয়ারেন্টি তাহলে ব্যবহারকারী আশা করেন ১ বছরের মধ্যে সেখানে সমস্যা হলে সমাধান দেয়া হবে, প্রয়োজনে বদল করে দিতে হবে। কোন কোন যন্ত্রাংশের জন্য নিয়মটি ঠিক থাকলেও সমস্যা হয় অন্যদের ক্ষেত্রে।
যেমন ধরুন মাউস বা কিবোর্ড। এগুলি বর্তমানে এতটাই কমদামের এবং নিম্নমানের যে ওয়ারেন্টি দেয়া হয় না। চীন থেকে আমদানী করে ১০০ টাকার মাউস বিক্রি করে ১ বছর তার সেবা দেয়া বাস্তবসম্মত না। ক্রেতাও সেটা জানেন। সমস্যা হচ্ছে আপনি কিনে বাড়ি নিয়ে দেখলেন সেটা আদৌ কাজ করে না, ফেরত নিয়ে গেলে বলা হয় ওয়ারেন্টি নেই। সেক্ষেত্রে দুপক্ষে সংঘর্ষ অনিবার্য।
বাস্তবে ওয়ারেন্টি এবং আউট অব বক্স ফেইলিওর দুটি ভিন্ন বিষয়। নতুন অবস্থায়ই যদি কাজ না করে নষ্ট পন্য, বিক্রেতা সেটা বদল করে দিতে বাধ্য। আবার ওয়ারেন্টিযুক্ত পন্যের ভিন্ন দিক হচ্ছে যেহেতু ১ বছরের মধ্যে পাল্টে দেয়া হবে সেহেতু ব্যবহারকারী এমনভাবে ব্যবহার করেন যেন ১ বছরের মধ্যে সেটা নষ্ট হয়। তাহলে তিনি নতুন আরেকটি পাবেন। এটা ব্যবহারকারীর অসততা এবং উদাহরনের অভাব নেই। কখনো কখনো পুড়ে গেলে কিংবা ভেঙে গেলে সেটার জন্যও ওয়ারেন্টি দাবী করা হয়। এটা অজ্ঞানতা। ফিজিক্যাল ড্যামেজ বা দৃশ্যত কোন সমস্যার জন্য ব্যবহারকারী দায়ী, ব্যবসায়ী এজন্য ওয়ারেন্টি দিতে বাধ্য নন। এই বিষয়গুলি ষ্পষ্ট করা হয় না।
অতি লাভের প্রবনতা, মুল্যের তারতম্য এবং নিম্নমানের পন্য
আগে উল্লেখ করা হয়েছে এলিফ্যান্ট রোডে কম্পিউটার দোকানের সংখ্যা প্রায় দুহাজার। অবাক হয়ে ভাবতে পারেন এরা চলে কিভাবে ? এই দুর্মুল্যের বাজারে তারা দিনে কি পরিমান বিক্রি করে, কত আয় করে, সেই আয়ে কিভাবে চলে।
বাস্তবতা হচ্ছে অধিকাংশ দোকানে কোন জিনিষপত্র নেই। ক্রেতা কোন জিনিষ চাইলে খোজ নেয়া হয় কোন দোকানে সেটা আছে, সেখান থেকে এনে বিক্রি করা হয়।
কাজেই মুল বিষয়টি দাড়াচ্ছে, মুল ব্যবসায়ী কয়েকজন। বাকিরা তাদের ক্রেতা ধরার জন্য ছোট্ট একটা দোকান নিয়ে বসে আছেন। একদিকে তাদেরকে বেশি লাভের দিকে দৃষ্টি দিতে হয় অন্যদিকে ক্রমাগত প্রতিযোগিতার শিকার হতে হয়। সেকারনে কোন দোকানে কোন পন্যের দাম জিজ্ঞেস করলে উল্টো তারা জিজ্ঞেস করে, আপনি কত পাইছেন ?
এর অর্থ হল, অন্য দোকানে কত দাম চেয়েছে সেটা জানান, হিসেব করে দেখব তারথেকে কমে দেয়া যায় কিনা। ফল হিসেবে ক্রেতাকে কিছু কেনার জন্য ক্রমাগত বিভিন্ন দোকানে গিয়ে দরদাম করতে হয়।
অথচ কম্পিউটার পন্য এভাবে বিক্রি হওয়ার কথা ছিল না। আপনি স্পিকার কিনবেন, ঘরে বসে ইন্টারনেটে দেখে নিতে পারেন কোন স্পিকার এর বৈশিষ্ট কি, দাম কত। ঘরে বসেই জানবেন কোন দোকানে সেটা পাওয়া যাবে। তারপর সেইপরিমান টাকা নিয়ে দোকানে গিয়ে কিনবেন।
কেন সেটা হয়না তার একটি কারন উল্লেখ করা হয়েছে ব্যবসার প্রসার যেভাবে ঘটেছে সেখানে। আরেক কারন হচ্ছে চীনের তৈরী নকল জিনিষ বিক্রি করে অতিরিক্ত লাভের প্রবনতা। আপনি ৬০ টাকায় সনি লেখা হেডফোন কিনতে পারেন যার দাম হওয়ার কথা অন্তত ৬০০ টাকা। অনেক ব্যবসায়ী চীনে গিয়ে নিজেদের পছন্দমত মডেল তৈরী করান, পছন্দমত নাম লিখিয়ে আনেন।
এটা ব্যবসায়দের লাভের হিসেব, হয়ত তাদের সমস্যাও। ব্যবহারকারীর ভুমিকা এখানে কম নেই। তিনি দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন সবচেয়ে কমদামের কিবোর্ড কি আছে (সম্ভবত তিনি কিনে আরেকজনের কাছে বিক্রি করবেন, অথবা এমন ব্যবহারকারী যারকাছে কিবোর্ড থাকাই যথেষ্ট)। ক্রেতা যখন ১০০ টাকার কিবোর্ড কিনতে চান তখন বিক্রেতা ধরেই নেন ব্যবসায়র মুলমন্ত্র হচ্ছে কমদামের জিনিষ বিক্রি করা। ফলে যারা ব্যবহারযোগ্য পন্য কিনতে চান তারা ভাল পন্য পান না। রিচার্জেবল ব্যাটারী নামে যা পাওয়া যায় সেটা কিনে ডাষ্টবিনে ফেলে দিতে হয়।
সমাধান কোথায়
কম্পিউটারের মত পন্য যারা পেশাগত কাজে ব্যবহার করেন তারা বড় ধরনের ভুক্তভোগি। তারা প্রশ্ন করেন এর সমাধান কোথায়। সবার পক্ষে ব্রান্ড কম্পিউটার কেনা সম্ভব না, এর সমস্যাও অনেক। অনেকেই নিজের পছন্দমত কম্পিউটারকে কাষ্টমাইজ করে নিতে হয়, ব্রান্ড কম্পিউটারগুলি সে সুযোগ দেয় না। অন্যদিকে কম্পিউটার ব্যবসা অনেকটাই জালিয়াতির পর্যায়ে চলে গেছে, আরো যাচ্ছে। এর সমাধান কি হতে পারে।
এককভাবে সমস্যার সমাধান সম্ভব না। কম্পিউটার বিষয় নিয়ে বাংলাদেশে যত সভা-সেমিনার-বক্তৃতা দেয়া হয় সম্ভবত অন্য কোন দেশে সেটা হয় না। কিন্তু মুল নির্ভরতা এখনও সেই ইমপোর্ট করে বিক্রি করা ব্যবসায়ীদের ওপরই। অবাক হবেন না যারা সভা-সেমিনার করেন তাদের বড় অংশ নিজেরাই এই ব্যবসার কারনেই পরিচিতি পেয়েছেন। তাদের কাছে অন্যকিছু আশা করা অনুচিত।
সমাধানে সরকারের ভুমিকা প্রয়োজন একথাও বলতে পারেন। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল নামে একটি প্রতিস্ঠান রয়েছে। তাদের কাজ মুলত সরকার কি দেখে কম্পিউটার কিনবেন সেটা বলে দেয়া। অভিযোগ সেই তালিকা এমনভাবে তৈরী করা হয় যেন একমাত্র পছন্দের কোম্পানী সেটা বিক্রি করতে পারে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি নামে ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিস্ঠানের কাছে আশা করা যেত। বিসিএস কম্পিউটার সিটি নামে একটি মার্কেট পরিচালনা এবং বছরে একটি মেলা ছাড়া তাদের কোন ভুমিকা চোখে পড়ে না। সেই মার্কেট মুলত বড় একটি বাজার যার উল্লেখযোগ্য পন্য পাইরেটেড সিডি-ডিভিডি। তারা নিজেরাই ব্যবসায়ী কাজেই অন্যকিছু আশা করা বৃথা।
কাজেই, সত্যিকারের অর্থেই যদি পরিবর্তন আনতে হয় সেটা আনতে হবে নতুনদের। একসময় ব্রান্ড কম্পিউটার বিক্রেতার যে সেবা দিত, পরবর্তীতে সাধারন ব্যবসায়ীরা যে প্রতিযোগিতামুলক বাজার তৈরী করেছে এই দুইয়ের সমম্বয় ঘটিয়ে নতুন ধারার ব্যবসা গড়ে তোলার মধ্যে এর সমাধান সম্ভব। যেখানে একদিকে কম্পিউটার বিষয়ে জানা ব্যক্তি থাকবেন, অন্যদিকে র্দীর্ঘকালীন ব্যবসার দিকেও দৃষ্টি দেবেন। সারা বিশ্বে সমস্ত পন্য বিক্রি হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে। ওয়েব সাইটে পন্যের বর্ননা, দাম, প্রাপ্যতা ইত্যাদি লেখা থাকে। অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা না থাকুক অন্তত পন্যের বর্ননা এবং দাম এটুকু তথ্য রাখা খুবই সম্ভব। এরফলে একদিকে যেমন ব্যবসার বড় একটি সুযোগ কাজে লাগানো যেতে পারে তেমনি ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকারীরাও কম্পিউটার ব্যবহারে নিষ্চয়তা পেতে পারেন।
আর ব্যবহারকারীর ভুমিকা, যদি সত্যিকারের অর্থেই কম্পিউটার ব্যবহার করে পেশাদার কাজ করতে চান তাহলে সবচেয়ে কম দামের পন্য খোজ করবেন না। ১০০ টাকার মাউস কিংবা ২০০ টাকার কিবোর্ড ব্যবহার করলে আপনাকে তাদের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে, প্রোগ্রামার হবেন না। যতটা সম্ভব ঝামেলামুক্ত, ভাল পন্য কিনুন।
No comments:
Post a Comment