Thursday, February 23, 2012

ইন্টারনেটে টাকা আয় : প্রতারিত হবেন না

অনেকেই হয়ত লক্ষ্য করেছেন বেশিকিছু প্রতিস্ঠান বেশ কিছুদিন ধরেই সহজে ইন্টারনেটে টাকা আয়ের প্রচারনা চালাচ্ছে। ইন্টারনেটে টাকা আয় করা যায়, সহজে আয় করা যায় এতে কোন ভুল নেই। মানুষকে এবিষয়ে সচেতন করলে বাংলাদেশের মত দরীদ্র দেশে, যেখানে কাজের সুযোগ কম সেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষ্যের উপকার হতে পারে। সে হিসেবে এই উদ্দ্যোগকে প্রশংসা করা উচিত ছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে।
কোন প্রতিস্ঠান যখন বলে সহজে টাকা আয়ের জন্য কিছু টাকা দিয়ে তাদের সদস্য হোন তখন প্রশ্ন করতেই হয় তাদের ভুমিকা কি ? সহায়তা করা অবশ্যই একটি অংশ এবং সেজন্য তারা কিছু ফি নিলেও হয়ত আপত্তি করা উচিত না। সেই ফি এর পরিমান কতটা ? কিংবা তার বিনিময়ে কি দেয়া হবে বা হচ্ছে। তার নিশ্চয়তাই বা কি ?
ইদানিং ঢাকা শহরে বহু পোষ্টার-বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে যার বক্তব্য তাদের কাছে গেলে খুব সহজে ক্লিক করে মাসে ২৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যাবে। হয়ত অনেকে আগ্রহি হয়ে সেখানে যানও। কিন্তু কেউ কি একবার প্রশ্ন করে দেখেছেন এত সহজে যদি ৫০ হাজার টাকা আয়ের সুযোগ থাকে তাহলে মানুষ ১০ হাজার টাকা বেতনের চাকরী খুজছে কেন হন্যে হয়ে!
এখানে বেশকিছু ফাকিবাজি রয়েছে। প্রথমত, অবশ্যই এত পরিমান আয় হয় না। নানারকম কারন দেখিয়ে বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা হয়। তারচেয়েও বড় প্রতারনা হচ্ছে তাদের দিয়ে যে আয় হয় সেটাও তাদের দেয়া হয় না। এরই মধ্যে বেশিকিছু প্রতিস্ঠান পরিচিতি লাভ করেছে পাওনা টাকা না দেয়ার কারনে।
ইন্টারনেটে সহজে আয় করা যায় একথা এতবার বলা হয়েছে যে অনেকেই মনে করেন এটা বাস্তব। শুধুমাত্র ক্লিক করে মাসে ৫০ হাজার আয় করা যায়।
ইন্টারনেটে আয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি, কোন পদ্ধতিতে কি পরিমান আয় করা যায়, কোন ধরনের আয়ের জন্য কি যোগ্যতা অর্জন করতে হয় এই বিষয়ে শতশত আর্টিকেল রয়েছে এই সাইটে। যারা আগ্রহি তারা অবশ্যই সেগুলি পড়ে নিতে পারেন। প্রতারনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনি কোন বিষয়গুলি যাচাই করতে পারেন সেটাই তুলে ধরা হচ্ছে এখানে।

.          ক্লিক করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয়
একথা বিশ্বাস করার কোন কারন নেই। ক্লিক করে আয়ের সাইটের মধ্যে ক্লিকসেন্স সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত। তারা ঠিকভাবে টাকা দেয় তবে পরিমান অত্যন্ত কম। বিনামুল্যের একাউন্টে আপনি হয়ত নিজে ক্লিক করে মাসে ৫ ডলার আয় করতে পারেন, শতশত রেফারেল ক্লিকের ব্যবস্থা করলে হয়ত ৫০ ডলার আয় করতে পারেন কিংবা টাকা দিয়ে সদস্য হলে শত ডলার আয়ও করতে পারেন। কিন্তু হাজার ডলার আয়ের কোন সম্ভাবনা নেই।
কেউ যদি ক্লিক করে বহু টাকা আয়ের কথা বলে জানবেন সেখানে মিথ্যে বলা হয়েছে।

.          প্রতি ক্লিকে ২ ডলার কিংবা ৫ ডলার আয়
পিটিসি সাইটগুলির কাজ হচ্ছে বিজ্ঞাপন প্রচার করা। বিজ্ঞাপনদাতা তাদেরকে ক্লিকপ্রতি টাকা দেন। ধরুন প্রতি হাজার ক্লিকের জন্য ১০ ডলার। তিনি আপনাকে সেই টাকার অংশ দেবেন। কাজেই প্রতি ক্লিকে ১ ডলার দেয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য কেউ এত টাকা খরচ করে না।
যদি কোন সাইটে বলা হয় প্রতিক্লিকে ২ সেন্ট এর বেশি দেবে তাহলে ধরে নেবেন সেটা ফাকিবাজি ব্যবসা।

.          কোন প্রতিস্ঠান আপনাকে আয়ের সুযোগ করে দেবে
ক্লিক করে আয় যদি বিষয় হয় তাহলে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কোন প্রতিস্ঠান প্রয়োজন নেই। সব সাইটেই বিনামুল্যে সরাসরি সদস্য হওয়া যায় (টাকা দিয়ে সদস্য হলে আয় বেশি)। এজন্য একটি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকাই যথেষ্ট।
যদি কোন প্রতিস্ঠান আয়ে সহায়তা দেয়ার কথা বলে তাহলে জেনে নিন তাদের ভুমিকা কি ? সেকাজ আপনি নিজেই করতে পারেন কি-না।


কোন প্রতিস্ঠান অবশ্যই ইন্টারনেট থেকে আয়ে সহায়তা করতে পারে। যেমন ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং কিংবা ডাটা এন্ট্রির মত কাজ সংগ্রহ করে আপনাকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারে। বাংলাদেশের মত দেশের জন্য সেটা অত্যন্ত উপযোগি পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হতে পারে।
কিন্তু যখন বলা হয় কোন যোগ্যতা ছাড়াই দিনে একঘন্টা কাজ করে বহু টাকার ব্যবস্থা করে দেবে তখন তাদের যাচাই করে নেয়াই ভাল।

1 comment:

  1. A great thanks to you. I had some doubt about money by clicking add. Here i have got the clear idea.

    ReplyDelete