অন্যান্য ইলেকট্রনিক বা ইলেকট্রিকাল যন্ত্র থেকে কম্পিউটার পৃথক একটি বিশেষ কারনে। আপনার টিভি ঠিকভাবে কাজ না করলে সেটা সার্ভিসিং এর জন্য ইলেকট্রনিক্স জানা কারো কাছে নিতে হয়। কম্পিউটারের সমস্যা হলে কাজটি আপনি নিজেই করতে পারেন। কারন হচ্ছে কম্পিউটার তৈরী অনেকগুলি পৃথক পৃথক যন্ত্রাংশ দিয়ে। খুব সহজে সেগুলি খোলা এবং লাগানো যায়। ফলে বদলানোও যায়। কম্পিউটার সার্ভিসিং বলতে তাই মুলত খারাপ যন্ত্রাংশ খুলে সেখানে ভাল যন্ত্রাংশ লাগানো। অধিকাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারী নিজেই একাজ করতে পারেন।
. ম্যানুয়েল সংরক্ষন করুন
কম্পিউটারের যেকোন যন্ত্রাংশ বিক্রির সাথে ম্যানুয়েল (একটি বই) দেয়া বাধ্যতামুলক। এখানে লেখা থাকে যন্ত্রটির বর্ননা থেকে ব্যবহারের পদ্ধতি। সবসময় এগুলি যত্ন করে রেখে দেবেন। অনেক সেটিং এর নির্দিষ্ট বর্ননা কেবলমাত্র এখানেই পাওয়া যাবে। যারা নিয়মিত সার্ভিসিং এর কাজ করেন তাদের কাছে সব ধরনের ম্যানুয়ের জমা করা থাকে।
কম্পিউটারের যেকোন যন্ত্রাংশ বিক্রির সাথে ম্যানুয়েল (একটি বই) দেয়া বাধ্যতামুলক। এখানে লেখা থাকে যন্ত্রটির বর্ননা থেকে ব্যবহারের পদ্ধতি। সবসময় এগুলি যত্ন করে রেখে দেবেন। অনেক সেটিং এর নির্দিষ্ট বর্ননা কেবলমাত্র এখানেই পাওয়া যাবে। যারা নিয়মিত সার্ভিসিং এর কাজ করেন তাদের কাছে সব ধরনের ম্যানুয়ের জমা করা থাকে।
. সিডি-ডিভিডি যত্ন করে রাখুন
অনেক যন্ত্রাংশ ঠিকভাবে কাজ করার জন্য বিশেষ সফটঅয়্যার (ড্রাইভার) প্রয়োজন হয়। এগুলি কেনার সময় সিডি-ডিভিডিতে দেয়া হয়। এগুলি যত্ন করে রাখুন। এমন অবস্থা হওয়া সম্ভব যেখানে শুধুমাত্র মুল ডিস্ক না থাকার কারনে কোন যন্ত্রাংশ বাতিল করে দিতে হতে পারে।
অনেক যন্ত্রাংশ ঠিকভাবে কাজ করার জন্য বিশেষ সফটঅয়্যার (ড্রাইভার) প্রয়োজন হয়। এগুলি কেনার সময় সিডি-ডিভিডিতে দেয়া হয়। এগুলি যত্ন করে রাখুন। এমন অবস্থা হওয়া সম্ভব যেখানে শুধুমাত্র মুল ডিস্ক না থাকার কারনে কোন যন্ত্রাংশ বাতিল করে দিতে হতে পারে।
কাজের জন্য যন্ত্রপাতি এবং সাবধানতা
. কম্পিউটার সার্ভিসিং এর জন্য মুলত স্ক্রুড্রাইভার যথেষ্ট। ষ্টার কিংবা ফিলিপস ড্রাইভার নামের সঠিক মাপের স্ক্রুড্রাইভার সংগ্রহে রাখুন। বিশ্বজুড়ে কম্পিউটারে নির্দিস্ট একটি মাপের স্ক্রু ব্যবহার করা হয়। স্ক্রুড্রাইভারের একধরনের সেট পাওয়া যায় সেটা ব্যবহার করতে পারেন।
. কখনো ভুল মাপের (ছোট বা বড়) স্ক্রুড্রাইভার ব্যবহার করবেন না। স্ক্রুড্রাইভারকে সোজাভাবে ঠিকমত বসিয়ে আস্তে করে চাপ দেবেন। পিছলে যাওয়ার কারনে খাজ নষ্ট হতে পারে, সেক্ষেত্রে সেটা খোলা অসম্ভব হয়ে দাড়াবে।
. ইলেকট্রনিক সার্ভিসিং এর জন্য এভোমিটার নামে একধরনের যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটারের মাদারবোর্ডে এটা ব্যবহার করবেন না। এর ভেতরে যে ব্যাটারী থাকে তার কারনে মাদারবোর্ড নষ্ট হতে পারে।
. মাদারবোর্ডের কোনকিছু তাপ দিয়ে (সোল্ডারিং আয়রন) খুলে বদলানোর কাজ করবেন না। মাদারবোর্ডগুলি বহু লেয়ার বিশিষ্ট, এধরনের সার্ভিসিংএর জন্য তৈরী করা হয় না।
. কম্পিউটারের যে কোনকিছু খুলে বদল করার আগে পাওয়ার কেবল খুলে রাখুন। সাটডাউন করা বা পাওয়ার সুইচ অফ করা যথেষ্ট না।
. প্রতিটি কেবল লাগানোর সময় সঠিক দিক দেখে নিন। প্রতিটি কেবল ভিন্ন ভিন্ন রং ব্যবহার করে চিহ্নিত করা থাকে। রং মিলিয়ে সংযোগ দিন। কোন কোন কেবল উল্টোভাবে লাগানো সম্ভব হতে পারে, উল্টো হচ্ছে কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন। ভুল সংযোগের কারনে মুহুর্তে ডিভাইসটি নষ্ট হতে পারে।
হার্ডঅয়্যার এবং সফটঅয়্যার সমস্যা
কম্পিউটারের যে অংশগুলি আমরা দেখতে পাই সেগুলি হার্ডঅয়্যার। এগুলি থেকে কোন কাজ করার জন্য প্রয়োজন হয় সফটঅয়্যার। সফটঅয়্যার হার্ডডিস্ক, সিডি-ডিভিডি ইত্যাদি কোন কিছুতে রাখা থাকে। কাজেই কম্পিউটারে সমস্যা বলতে কোন যন্ত্র নষ্ট হওয়ার বিষয় হতে পারে, সফটঅয়্যারের কারনেও সমস্যা হতে পারে।
সরলভাবে, সফটঅয়্যার সমস্যা হচ্ছে কম্পিউটারের কোন অংশ পরিবর্তন না করে সফটঅয়্যারের মাধ্যমে দুর করা যায়। যেমন ফরম্যাট করা, নতুনভাবে কিছু ইনষ্টল করা, ভাইরাস দুর করা, সেটিং পরিবর্তন করা ইত্যাদি। অন্যদিকে হার্ডঅয়্যার সমস্যা বলতে বুঝায় যার কারনে কোন যন্ত্রাংশ পাল্টানো বা রিপেয়ার করা প্রয়োজন হয়।
সফটঅয়্যার সমস্যা দুর করার জন্য প্রয়োজন অপারেটিং সিষ্টেম থেকে শুরু করে অন্যান্য সফটঅয়্যার এবং প্রতিটি যন্ত্রাংশের কাজের ধরন, সমস্যার ধরন ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান। সেতুলনায় হার্ডঅয়্যার সমস্যা দুর করার পদ্ধতি হচ্ছে একটি খুলে তার বদলে আরেকটি লাগানো।
হার্ডঅয়্যার সার্ভিসিং পদ্ধতি
হার্ডঅয়্যার সার্ভিসিং বিষয়কে খুব সহজভাবে দেখতে পারেন। যে যন্ত্রাংশ নষ্ট বলে মনে হয় সেটা খুলবেন, তার পরিবর্তে ভাল আরেকটি লাগিয়ে দেখবেন। যদি এই পরিবর্তনে সমস্যার সমাধান হয় তার অর্থ যেটা খুলেছেন সেটা নষ্ট। এটাই হার্ডঅয়্যার সার্ভিসিং। ব্যতিক্রম থাকতে পারে। অনেক সময়ই ভাল ডিভাইস বিভিন্ন কারনে কাজ না করতে পারে।
এখানে এই সরল পদ্ধতির বিষয়টিই কয়েকটি পর্বে উল্লেখ করা হবে। যেখানে কোন যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে আপনি নিজেই বাজার থেকে কিনে এনে বদলে নিতে পারেন। পাওয়ার সাপ্লাই হোক আর হার্ডডিস্ক কিংবা মাদারবোর্ডই হোক।
পরবর্তী টিউটোরিয়ালে পাওয়ার সাপ্লাই বদলের বিষয়টি উল্লেখ করা হবে।
আপনার সাথে আমার কিছু প্রয়োজনীয় কথা ছিলো আমি কি আপনার মোবাইল নাম্বারটা পেতে পারি দয়া করে যদি দিতেন !
ReplyDeleteআপনার সাথে কম্পিউটার হার্ডঅয়্যার সার্ভিসিং এর বিষয়ে কথা ছিলো আমি কি আপনার মোবাইল নাম্বারটা পেতে পারি দয়া করে যদি দিতেন ! অথবা অন্য কোন ভাবে যোগাযোগ করতে পারি খুভ উপকৃত হতাম !
ReplyDeleteআপনার কাজ থেকে কম্পিউটার সার্ভিসিং করার বিষয়ে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারলাম। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনার প্রতি অনেক শুভ কামনা রইলো।
ReplyDeleteআজ দুপুরে কম্পিউটার চালাতে চালাতে হঠাৎ একটা ঝাকি দিল তার পর আবার একটা এবার দেখলাম আমার মনিটরে আমি কিছু দাগ লক্ষ করলাম। সবকিছু ঠিক আছে লাফালাফি নেই শুধু ঝাপসা দেখাচ্ছে। তার পর রাতে হঠাৎ আবার এক মিনিটের জন্য ঠিক হয়ে গেলো কিন্তু এখনো সেই সমস্যা সমাধান জানালে উপকৃত হবো।
ReplyDeleteধন্যবাদ
প্রথমে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন সমস্যা মনিটরে নাকি কম্পিউটারে। অন্য মনিটর ব্যবহার করে কিংবা মনিটরকে অন্য কম্পিউটারে লাগিয়ে সেটা জানা যায়। মনিটর ঠিক থাকলে ডিসপ্লে কার্ডের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ReplyDeleteকম্পিউটার সার্ভিসিং করার বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে ও শিখতে পারলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার প্রতি রইলো অনেক শুভ কামনা। ভাই আপনার কাছ থেকে এই ধরনের আরও কিছু পরামর্শ আশা করছি।
ReplyDelete