Saturday, March 10, 2012

দ্রুত ফ্রিল্যান্সিং শুরু ভাল-মন্দ

ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিককালে যত আলোচনা হয়েছে অন্য কোন পদ্ধতি নিয়ে ততটা সম্ভবত হয়নি। অনেকের মতে কর্মসংস্থান, কাজের ধরন সবকিছুই পাল্টে দিচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। এখনও বলা হচ্ছে, এই পদ্ধতি চলছে। অন্যান্য পদ্ধতির মত পুরোপুরি স্বিকৃতি পায়নি।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন থাকতে পারে এখনই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা উচিত কি-না। ফ্রিল্যান্সিং একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। প্রস্তুতির জন্য বহু সময় ব্যয় করতে হয়, নানাধরনের পদ্ধতি শিখতে হয়। অন্যকথায় অভ্যস্থ হতে হয়। যেহেতু এটি চলমান প্রক্রিয়া সেহেতু হ্যা বা না উত্তর যথেষ্ট না। এখনই শুরু করার ভাল এবং মন্দ দুদিকই রয়েছে। জেনে নেয়া যাক ভাল দিকগুলি কি, মন্দ দিকই বা কি।


দ্রুত শুরু করার সুবিধে
.          নিজেকে অভিজ্ঞ হিসেবে তৈরী করার জন্য যথেস্ট সময় পাওয়া যায়। একটি উদাহরন বিবেচনায় আনতে পারেন, যারা উইন্ডোজের আগেই ডস ব্যবহার করে কম্পিউটারে কাজ শুরু করেছেন তারা কম্পিউটারের ভেতরের অনেক বিষয় সহজে বোঝেন যা বর্তমানের উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা বোঝেন না। প্রতিদিন ফ্রিল্যান্সিং কাজের পদ্ধতির যে পরিবর্তনগুলি হচ্ছে তারসাথে মিল রেখে নিজেকে এগিয়ে রাখা সম্ভব দ্রুত শুরু করলে।
.          নিজের অবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব। বিশেষ করে সোস্যাল মিডিয়া, ব্লগ ইত্যাদির মাধ্যমে পরিচয় তৈরী করতে হলে যত দ্রুত শুরু করা যায় তত এগিয়ে থাকা সম্ভব।
.          কাজের পরিধি বাড়ানোর সুযোগ তৈরী হয় দ্রুত শুরু করলে। হয়থ এই মুহুর্তে যে কাজে আপনি আগ্রহি নন তেমন কোন কাজ আপনার পছন্দের তালিকায় যোগ হতে পারে এবং একসময় সেটাই মুল কাজ হতে পারে।
.          বাংলায় বলে পুরনো চাল ভাতে বাড়ে, ইংরেজিতে বলে ওল্ড ইজ গোল্ড। মুল বক্তব্য একটাই, অনেক কোম্পানী অভিজ্ঞতা বিচার করে সুবিধে দেয়। দ্রুত শুরু করে এই সুবিধে পেতে পারেন।

দ্রুত শুরু করার কিছু সমস্যাও রয়েছে। সেগুলি একবার জেনে নেয়া যাক;
.          ফ্রিল্যান্সার হতে সময় লাগে একথা ভুলে যাবেন না। আপনি কাজ শুরু করে কয়েক মাসে সফল ফ্রিল্যান্সার হবেন একথা ঠিক না। এমন পরিস্থিতিতে যদি আয়ের জন্য অন্য পেশার ওপর নির্ভর করতে হয় তাহলে সেদিকে ক্ষতি হতে পারে। অন্তত এখন পর্যন্ত যখন ফ্রিল্যান্সিংকে সাধারন পেশার পর্যায়ে বিবেচনা করা হয় না।
.          আপনি সফল নাও হতে পারেন। আবারও, কারন একই। ফ্রিল্যান্সিং এখনও প্রক্রিয়াধীন। আপনি যে সেবা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে আগামীতে সেই সেবার প্রয়োজন নাও থাকতে পারে। বর্তমানে মানুষকে করতে হয় এমন অনেক কাজ হয়ত আগামীতে প্রযুক্তির মাধ্যমে করা হবে।
.          আপনার খরচ বাড়তে পারে। যদি স্মার্টফোনের সফটঅয়্যার তৈরীকে কাজ হিসেবে বিবেচনা করেন, আপনাকে নানা ধরনের ডিভাইস কিনতে হবে। অন্যান্য কাজের জন্য বিশেষ কিছু কেনা প্রয়োজন হতে পারে।
.          প্রযুক্তির দীর্ঘস্থায়িত্ব না থাকাও একটি মাথাব্যথার কারন হিসেবে দেখা দিতে পারে। যে সফটঅয়্যার আপনি ব্যবহার করছেন আগামীতে তার বদলে অন্যকিছু ব্যবহৃত হতে পারে। বিশেষ করে অপারেটিং সিষ্টেমে যখন ঘনঘন পরিবর্তন হচ্ছে, তারসাথে মিল রেখে নতুন ডিভাইস তৈরী হচ্ছে সেখানে এই বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন বললে বেশি বলা হয় না। ট্যাবলেট, এন্ড্রয়েড ইত্যাদি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। স্থায়ী চেহারা না নেয়া পর্যন্ত সকলের পক্ষে সফল হওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।

আপনি দ্রুত শুরু করবেন কি-না এ প্রশ্ন  যদি করেন তাহলে উত্তর হতে পারে, সবকিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়াই মংগল। এমন কোন বিষয় বেছে নিন যা স্থায়ী, আপনার আওতার মধ্যে এবং বর্তমান অন্য কাজের ক্ষতি না করেই করা যায়।


No comments:

Post a Comment