Thursday, March 15, 2012

এফিলিয়েটড মার্কেটিং থেকে আয়ের সময় যে বিষয়গুলি লক্ষ করা প্রয়োজন

যারা ব্লগ পরিচালনা করেন তাদের আয়ের একটি বড় সুযোগ এফিলিয়েটেড মার্কেটিং। কোন প্রতিস্ঠানের হয়ে তাদের লিংক প্রচার করা এবং সেই লিংকে ক্লিক করলে টাকা পাওয়া।
বাংলাদেশের জন্য লিংকে ক্লিক করে কিছু কেনার সম্ভাবনা কম অনলাইনে কেনাকাটার ব্যবস্থা না থাকার কারনে। সেকারনে পিপিসি ধরনের এফিলিয়েশন বেশি কার্যকর। এই লিংকগুলিতে ক্লিক করলেই টাকা পাওয়া যায়, কিছু কেনা বা কাজ করা প্রয়োজন হয় না।
বিশ্বের জনপ্রিয় অনেক এফিলিয়েশন প্রোগ্রাম বাংলাদেশের জন্য তুলনামুলক কম সফল হয় বেশকিছু কারনে। অনেক কোম্পানী বাংলাদেশের জন্য সেগুলি ব্যবহারের সুযোগ দেয় না। বাংলা ওয়েবসাইট কিংবা নিজস্ব ডোমেন ব্যবহার না করাও অনেকটা সমস্যা হয়ে দাড়ায়। সেদিক থেকে সবচেয়ে পিটিসির মত সাইটগুলির এফিলিয়েমন পাওয়া সবচেয়ে সহজ। তাদের সদস্য হোন, তাদের লিংক ব্লগে (অথবা ফেসবুকে) রাখুন। যতজন সেখানে ক্লিক করে সদস্য হবেন তাদের প্রত্যেকের আয়ের ভাগ পাওয়া যাবে।
বাস্তবে নিজে পিটিসি সাইটে ক্লিক করে যা আয় করা যায় সেটা একেবারেই সামান্য। কিন্তু শতশত সদস্য হলে তারা যে হাজার হাজার ক্লিক করে অথবা অন্যভাবে আয় করে সেটা যোগ করলে যথেষ্ট পরিমান আয় হতে পারে।
এফিলিয়েশনের জন্য প্রতিটি কোম্পানীর নিজস্ব কিছু নিয়ম রয়েছে। সবচেয়ে বেশি আয় হতে পারে তাদের নিয়ম মেনে চললে। কারো কারো নিয়ম সহজ, কারো নিয়ম বেশ কঠিন। এধরনের সাধারন কিছু বিষয় এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে।
.          একাউন্ট চালূ রাখা এবং রেফারেল আয় চালু রাখা
সদস্য হয়ে নিজের ব্লগে লিংক রেখে হয়ত তার ওপর নির্ভর করে রয়েছেন। তাদের সাইটে যাওয়া প্রয়োজনবোধ করছেন না। এতে আয় বাধাগ্রস্থ হতে পারে। ক্লিকসেন্স এর নিয়ম খুব সহজ, প্রতি ৯০ দিনে একবার তাদের সাইটে লগইন করলেই একাউন্ট চালু থাকবে, রেফারেল আয়ের বিষয়ে কোন সীমাবদ্ধতা নেই। অন্যদিকে অনেক সাইটেই রেফারেল আয় পাওয়ার জন্য প্রতিদিন তাদের সাইটে গিয়ে অন্তত একবার ক্লিক করতে হয়। মাই-ব্রাইজার-ক্যাশ এর রেফারেল শেয়ার পাওয়ার জন্য ১০টি বিজ্ঞাপন দেখতে হয়। প্রত্যেকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন নিয়মগুলি দেখে নিন এবং সেগুলি মেনে চলুন।
.          টাকা দিয়ে সদস্য হলে আয় বেশি
টাকা দিয়ে সদস্য হলে ক্লিকপ্রতি আয় বাড়ে, বেশি বিজ্ঞাপন দেখার সুযোগ পাওয়া যায়। যারা রেফারেল আয়ের দিকে বেশি আগ্রহি তারা হয়ত একে গুরুত্বপুর্ন মনে করেন না। কিন্তু এর ওপর রেফারেল আয়ও অনেকটা নির্ভর করে। অনেক কোম্পানীতে টাকা দিয়ে সদস্য হলে রেফারেল আয়ও দ্বিগুন হয়, কতজনের আয়ের ভাগ পাবেন সেটাও নির্ভর করে। যেমন মাইব্রাউজারক্যাশে সাধারন সদস্য ৪০ জনের আয়ের ভাগ পান, সিলভার সদস্য পান ৪০০ জনের।
যদি নিজের টাকায় সতদস্য নাও হন, অন্তত আয়ের টাকায় সদস্যপদ কিনে আয় বাড়াতে পারেন।
.          একাউন্ট বিষয়ে নিয়ম মেনে চলুন
প্রত্যেকেরই একাউন্ট বিষয়ক কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলি মানা বাধ্যতামুলক। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই নিয়ম হচ্ছে, একজন একটিমাত্র একাউন্ট তৈরী করবেন। একাধিক একাউন্ট ব্যবহার করলে সবগুলি একাউন্ট বাতিল করা হবে, সেই একাউন্টের টাকা দেয়া হবে না। কারো কারো নিয়ম একই পরিবারের একজন সদস্য হতে পারবেন। এর অর্থ, একই ইন্টারনেট সংযোগ বা একই ঠিকানা ব্যবহার করে একাধিক সদস্য গ্রহনযোগ্য না। এধরনের ভুল করবেন না।
.          নিজে রেফারেল লিংকে ক্লিক করবেন না
রেফারেল লিংকে ক্লিক করলে টাকা পাওয়া যায় একারনে কখনোই রেফারেল লিংকে ক্লিক করবেন না। প্রতিটি ক্লিকের সময় আইপি এড্রেস যাচাই করা হয়। আপনি নিজে ক্লিক করলে টাকা পাবেন না। কোন কোন ক্ষেত্রে একারনে শাস্তিমুলক ব্যবস্থাও নেয়া হতে পারে।

পিটিসি বা ক্লিক করে আয়ের বিষয়টি নিয়ে বহু সমালোচনা রয়েছে। তারপরও এই পদ্ধতি জনপ্রিয় কারন সামান্য পরিমানে হলেও অনেকে এভাবে আয় করছেন। অন্তত রেফারেল আয়ের মত পদ্ধতিকে ব্লগ বা ওয়েবসাইটে আয়ের উপায় হিসেবে ব্যবহার করলে ক্ষতি নেই। অন্য সমস্ত কাজ ঠিকভাবে করার পরও এখান থেকে অতিরিক্ত আয় আসতে পারে।

3 comments:

  1. I really like this site very much. If anybody asks me how to earn from online, I give him / her address of this site to get a good a basic idea.

    ReplyDelete
  2. Mostly I get Yahoo answer job in microworkers. But me and my other friend cann't do this job. Would you like help us?

    ReplyDelete
    Replies
    1. মাইক্রোওয়ার্কারস সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা পাবেন। ধন্যবাদ বিষয়টি তুলে ধরার জন্য।

      Delete