যারা অনলাইনে আয় করতে চান তাদের কাছে ক্লিকব্যাংক একটি পরিচিত নাম। মুলত ক্লিকব্যাংক একটি এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক। সেখানে সদস্য হয়ে বিভিন্ন পন্য নিজের সাইটে রাখতে পারেন এবং বিক্রি হলে কমিশন পেতে পারেন।
ক্লিকব্যাংক সম্পর্কে আগে বলার আগে জানিয়ে রাখা ভাল, বাংলাদেশ থেকে এর সদস্য হওয়া যায় না। জনপ্রিয় অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা পেপল এর সাথে তুলনা করতে পারেন এদিক থেকে।
আপাতত ব্যবহারের সুযোগ না পেলেও যারা অনলাইনে আয় করতে চান তাদের প্রত্যেকেরই বিষয়টি জানা উচিত। হয়ত আগামীতে ব্যবহারের সুযোগ পেতেও পারেন (যাদের এতে ভুমিকা রাখার কথা তারা যদি দায়িত্বপালন করেন)।
ক্লিকব্যাংক ব্যাবহারের জন্য তাদের সাইটে গিয়ে একটি ফরম পুরন করতে হয়। কাজটি খুব সহজ, শুধুমাত্র মুল ঠিকানা এবং যোগাযোগের তথ্য দিতে হয়। এফিলিয়েশনের জগতে এটা অন্যদের থেকে বড় ধরনের পার্থক্য। অনেক যায়গায় আবেদনের পর অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, নানা ধরনের শর্ত পুরন করতে হয়। সেতুলনায় ক্লিকব্যাংকের সদস্য হওয়া একেবারেই সহজ।
ক্লিকব্যাংক নাম থেকে কিছুটা ধারনা পেতে পারেন, এরা ক্লিকের হিসেব রাখে। তাদের পন্য বিক্রি না করে অন্য কোম্পানীর পন্য বিক্রি করার সময় বা অন্য কোন কারনে ক্লিকের হিসেব রাখার জন্য তাদের সেবা ব্যবহার করা যায়।
তাদের ক্লিকের হিসেব রাখার পদ্ধতি সহজ। মুলত দুধরনের এফিলিয়েট লিংক ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে, সাধারন এবং এনক্রিপটেড। প্রথমটিতে সরাসরি ওয়েবএড্রেস দেখা যায়, এনক্রিপটেড ভার্শনে সেগুলি গোপন থাকে।
তাদের মার্কেটপ্লেস থেকে পন্য বাছাই করার সময় গ্রাভিটি স্কোর নামে একটি তথ্য পাওয়া যায়। এথেকে ধারনা পেতে পারেন কোন পন্যে লাভের পরিমান কতটা।
তারা টাকা দেয় প্রতি দুসপ্তাহে একবার। টাকা উঠানোর শর্তও খুব সহজ, ১০ ডলার জমা হলেই টাকা পাওয়া যায়। এর অর্থ দিনে ১ ডলার আয় হলেই টাকা উঠানোর জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।
তাদের কমিশনের পরিমানও যথেষ্ট বেশি। অনেক ক্ষেত্রেই ৫০% এর বেশি।
ক্লিকব্যাংক একটি পেমেন্ট নেটওয়ার্ক হিসেবেও কাজ করে। কাজেই টাকা পেতে সমস্যা হয় না। তাদের পদ্ধতির কারনে খুব সহজে জালিয়াতি থেকে রক্ষা করতে পারে।
তাদের কাজ বোঝার জন্য বিশাল অনলাইন হেল্প রয়েছে। এছাড়া সবকিছুর তুলে ধরার জন্য রয়েছে ভিডিও টিউটোরিয়াল লাইব্রেরী। তাদের ব্লগে নিয়মিতভাবে নতুন নতুন তথ্য যোগ করা হয়।
যারা অনলাইনে ব্যবসা করতে চান তাদের জন্য ক্লিকব্যাংক একটি সহজ এবং শক্তিশালী ব্যবস্থা।
যারা ক্লিকব্যাংক ব্যবহার করছেন তাদের কেউ কেউ একটিমাত্র সমালোচনা করেন, তাদের পন্য উল্লেখযোগ্য পরিমান বিক্রি হয় না। কারন অনুমান করা যায়, নিজের সাইটের পরিচিতি, ভিজিটরের সংখ্যা এবং পন্যের ধরন সবকিছুর ওপর বিক্রি নির্ভর করে। কিন্তু বাংলাদেশীদের জন্য মুল সমস্যা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই।
ফাউল কথা। ক্লিকব্যাংক থেকে বাংলাদেশে বসেও আয় করা যায় যদি ইচ্ছা থাকে।
ReplyDeleteবাংলাদেশে ক্লিকব্যাংকের মাধ্যমে আয় করছেন এমন অনেক লোক আছেন। নিশ্চিত না হয়ে তথ্য দিবেন না।
you are fool
ReplyDelete