Wednesday, June 1, 2011

Copywriting: ফ্রিল্যান্স আর্টিকেল লেখার বর্তমান বাজার

ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কপি রাইটিং কিংবা ঘোষ্ট রাইটিং কিংবা আটিকেল বা ব্লগ পোষ্ট লেখার কাজ পাওয়া তুলনামুলক সহজ। সবচেয়ে বেশি কাজ অবশ্যই ইংরেজিতে, এছাড়া বিভিন্ন ভাষার অনুবাদের কাজও ফ্রিল্যান্সিং কাজের অন্যতম একটি দিক। প্রতিদিন বিপুল পরিমান ওয়েবসাইট তৈরী হচ্ছে, কাজেই এধরনের কাজ রয়েছে প্রচুর। বিষয়েরও অন্ত নেই। যে বিষয় পছন্দ সে বিষয়েই কাজ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তারপরও প্রশ্ন থাকে, যারা একাজ করছেন তারা কেমন করছেন?
আউটসোর্সিং কাজের সবচেয়ে বড় উস আমেরিকা। সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। অনেকেই চাকরী হারিয়ে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় এসেছেন। ফলে প্রতিযোগিতা বেড়েছে অনেকটাই। ২৫০-৩০০ শব্দের আর্টিকেল লেখার জন্য ১ ডলার অফার করেন অনেকেই, ৫০০ শব্দের জন্য ২ ডলার। একথা ঠিক যে এই টাকায় ভাল মানের লেখা হয় না, তারা সেটা আশাও করেন না। মুলত কিছু লেখাকে এদিক-ওদিক করা অথবা বিশেষ কিছু কিওয়ার্ড ব্যবহার করে ওয়েব পেজ ভরানোই উদ্দেশ্য। ইংরেজি লেখার অভ্যেস থাকলে সহজেই দিনে বেশ কয়েকটি আর্টিকেল লিখে ফেলা যায়।
তারপরও, যারা আগে থেকে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করছেন তারা আপত্তি জানাচ্ছেন এভাবে ক্রমাগত দাম কমে যাওয়ায়। অনেকে চাকরীর চেষ্টা করছেন। অন্য পেশায় যাচ্ছেন।
একটা বিষয় এখানে লক্ষনীয়, আমেরিকায় এক আর্টিকেল লিখে ২ ডলার আয় করে টিকে থাকা সম্ভব না। বাংলাদেশ কিংবা ভারতে ২ ডলারের আর্টিকেল লেখার সুযোগ পেলেই অনেকে খুশি। কারন এসব দেশে খরচ কম। মাসে ৫০০ ডলার আয় করে বেশ ভালভাবে থাকা যায়।
ফ্রিলান্সিং কাজে যেহেতু ভৌগলিক সীমারেখা নেই সেহেতু প্রতিযোগিতায় রয়েছে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। এশিয়া, দক্ষিন আমেরিকা, আফ্রিকা সব যায়গা থেকেই বিপুল সংখ্যক মানুষ কপিরাইটার হিসেবে কাজ করছেন। তুলনায় বাংলাদেশ বরং পিছিয়ে। প্রধান কারন ইংরেজি শিক্ষার মান। এরপর রয়েছে দুর্বল ইন্টারনেট ব্যবস্থা, যোগাযোগে অনিহা, দুর্বল ব্যাংকিং এবং অর্থ লেনদেন ব্যবস্থা ইত্যাদি নানা বিষয়। বাংলাদেশে নিজস্ব কপিরাইটিং এর চাহিদা না থাকাও বড় কারন। অন্য দেশে একজন ওয়েবসাইট চালু হওয়ার জন্য ২/৩ বছর ধরে চেষ্টা করে যান। বাংলাদেশে অনেকেই আশা করেন দুমাসের মধ্যেই সেখান থেকে লাভ আসবে। ফল হিসেবে কপিরাইটিং অল্পকিছু ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ।
আবার অন্য চিত্রও রয়েছে। যারা বিষয়ভিত্তিক আর্টিকেল লেখেন তাদের অনেকেই বলছেন তারা কাজের মজুরী বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে ভাল ফলও পাচ্ছেন। তারা এখন কাজ করেন কম, মানসম্মত, অথচ আয় করেন বেশি। এটা প্রতিযোগিতার আরেক দিক। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন বেশি হলে সাধারনভাবে যেমন মান কমে যায় তাকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করা। তাদের বক্তব্য তারা ভালোই আছেন।
আপনি যদি কপিরাইটার হিসেবে কাজ করেন অথবা করতে আগ্রহি হন অন্যদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারেন। প্রতিযোগিতা যত বাড়ছে কাজের পরিমানও তত বাড়ছে।

1 comment:

  1. আর্টিকেল লেখার সহজ উপায় হল কারও লিখা একটা আর্টিকেল কপি করে তা নিজের মত করে সাজিয়ে প্রকাশ করা। এই কাজটি করার জন্য আমাদের বেশ কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে তার প্রথম ধাপ হল আর্টিকেল সংগ্রহকরণ। আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে আর্টিকেল সংগ্রহ করতে পারি কিন্তু কোথা থেকে সংগ্রহ করলে ভাল আর্টিকেল পাওয়া যাবে তার কিছু নমুনা তুলে ধরছি।

    আমার জানা মতে আর্টিকেল সংগ্রহ করার সব থেকে ভাল সাইট হচ্ছে Ezinearticles, Hubpages, docstoc এছারাও নাম জানা না জানা অনেক সাইট আছে যেখান থেকে আর্টিকেল কপি করা যেতে পারে।

    http://dinajpurit.com/courses/article-writing/article-collect.html

    ReplyDelete