গাড়ির হেল্পার
একসময় ড্রাইভার হয়ে মানুষ মারতে পারে, এম্বুলেন্সের ড্রাইভার রোগির পেট কেটে
অপারেশন করতে পারে। একজন রোগি জানে কোন অসুখের জন্য কি ওষুধ খেতে হয়, সোজা দোকানে
গিয়ে কিনে খেতে পারে। এমনকি ডাক্তার নিষেধ করলেও। কন্ট্রাক্টর ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ে
ভাল জানে কিভাবে কম খরচে বাড়ি তৈরী করতে হয়।
এভাবে শুরু
করার অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশে শিক্ষার বাস্তব প্রয়োগ কি সেটা প্রকাশ করা। কোন এক অদ্ভুত উপায়ে বাংলাদেশের মানুষ
ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে শুরু করে রাজনীতি, অর্থনীতি সব বিষয়ে পারদশীতা লাভ
করেন। সবাই নিজের বক্তব্য জোর গলায় তুলে ধরেন।
এনিয়ে হয়ত মাথা
ঘামানো প্রয়োজন ছিল না। বাংলা-টিউটর সাইটে যেহেতু বাস্তব কাজের পরামর্শ দেয়া হয়
সেখানে যখন এধরনের কাজের প্রতিফলন ঘটে তখন এড়িয়ে যাওয়াও সম্ভব হয় না। সেকারনেই এই
বক্তব্য তুলে ধরা।
একটা কথা
স্পষ্ট করে প্রকাশ করাই ভাল। এই সাইটে যেমন বহু বিষয় নিয়ে লেখা হয় তেমনি বাস্তবেও
বহু বছর ধরে বহু ধরনের কাজ করতে হয়েছে। এটা করতে হয়েছে বাধ্য হয়ে। একযায়গায় ঠেকে
অন্যভাবে সেটা পুরন করার চেষ্টার ফল এই বিচিত্র অভিজ্ঞতা। অন্যদের যেন ঠেকে না
শিখতে হয় সেকারনেই এভাবে বিষয়গুলি তুলে ধরা।
যেকোন কিছু সম্পর্কে বলার সময় শুরুতেই যেকথা বারবার বলা হয়েছে, আপনার পক্ষে সেটা সম্ভব কি-না, কতদুর যাওয়া সম্ভব নিজেকে প্রশ্ন করুন। নির্দিষ্ট একটি বিষয় বেছে নিন, এরপর তার পেছনে লেগে থাকুন। আরো নির্দিষ্টভাবে বললে, প্রোগ্রামিং সকলের উপযোগি না, থ্রিডি এনিমেশন সকলের উপযোগি না এভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য একথা বলার উদ্দেশ্য কাউকে নিরাশ করা না। চেষ্টা থাকলে অসাধ্য সাধন করা যায়। বাস্তবে থাইল্যান্ডের একজন প্রোগ্রামারের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ হয়েছে যিনি জাতিসংঘের হয়ে বাংলাদেশে কাজ করছিলেন। তিনি কম্পিউটার সম্পর্কিত কোন বিষয়ে পড়াশোনা করেননি, এমনকি উচ্চশিক্ষিতও নন। এটা ব্যতিক্রম।
যেকোন কিছু সম্পর্কে বলার সময় শুরুতেই যেকথা বারবার বলা হয়েছে, আপনার পক্ষে সেটা সম্ভব কি-না, কতদুর যাওয়া সম্ভব নিজেকে প্রশ্ন করুন। নির্দিষ্ট একটি বিষয় বেছে নিন, এরপর তার পেছনে লেগে থাকুন। আরো নির্দিষ্টভাবে বললে, প্রোগ্রামিং সকলের উপযোগি না, থ্রিডি এনিমেশন সকলের উপযোগি না এভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য একথা বলার উদ্দেশ্য কাউকে নিরাশ করা না। চেষ্টা থাকলে অসাধ্য সাধন করা যায়। বাস্তবে থাইল্যান্ডের একজন প্রোগ্রামারের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ হয়েছে যিনি জাতিসংঘের হয়ে বাংলাদেশে কাজ করছিলেন। তিনি কম্পিউটার সম্পর্কিত কোন বিষয়ে পড়াশোনা করেননি, এমনকি উচ্চশিক্ষিতও নন। এটা ব্যতিক্রম।
তারপরও, কোন
বিষয় বেছে নিয়ে শেখা শুরু করুন বলা যত সহজ কাজ তত সহজ না। প্রশ্ন আসে, শিখবেন
কিভাবে, কিংবা কোথায়।
কোথায় এই
প্রশ্নের কোন উত্তর নেই। পেশাদার ট্রেনিং দেয়ার মত উল্লেখ করার মত প্রতিস্ঠান নেই।
যারা ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন তারা শুধুমাত্র ব্যবসাই করার চেষ্টা করেছেন, ফল হিসেবে
শেখাতে না পেরে একসময় ব্যবসা গুটিয়ে চলে গেছেন।
বাকি থাকে নিজে
শেখার পদ্ধতি।
এখানে যে
বিষয়গুলি নিয়ে নিয়মিত লেখা হয় সেগুলির কথাই বিবেচনায় আনা যাক। গ্রাফিক ডিজাইন,
ওয়েব ডিজাইন, এনিমেশন ইত্যাদি বিষয়ে প্রাথমিক থেকে মধ্যম পর্যায়ের শেখার কাজ
লিনডার মত ভিডিও টিউটোরিয়াল ব্যবহার করে শেখা সম্ভব। সেগুলি ইংরেজিতে বলে অনেকেই
সমস্যাবোধ করেন। বাংলায় কিছুদিন মাল্টিমিডিয়া টিউটোরিয়াল তৈরীর চেষ্টা হলেও মান
এবং পাইরেসির কারনে বেশিদুর যায়নি। পাইরেসি বন্ধ করার উদ্দোগ নিলে যারা কাজ করেন
তারা উতসাহ নিয়েই বাংলা মাল্টিমিডিয়া তৈরী করতে পারতেন। সেটা আশা করা বৃথা।
বাকি থাকে বই।
বাংলা বইয়ের বিষয়ও তথৈবচ। যিনি ফটোশপের বই লেখেন তিনিই হার্ডঅয়্যারের বই লেখেন
তিনিই প্রোগ্রামিং এর বই লেখেন। নিজে কোন কাজই করেন না, ফলে কি লিখলেন সেটা বোঝার
সামর্থ্যও নেই।
তাহলে পথ কোন
দিকে ?
শেখার সুযোগ
যেমন গোলমেলে এ প্রশ্নের উত্তরও তেমন গোলমেলে। বাংলায় শেখার সুযোগ যেহেতু নেই
সেহেতু পড়ে বোঝার মত ইংরেজি শেখা জরুরী।
আশ্চর্যজনকভাবে কলেজ পর্যন্ত বাধ্যতামুলক ইংরেজি শেখানোর পরও ইংরেজি পড়ে না
বোঝার বিষয়টি মেনে নিতে হয়। আর পুরনো কথার জের ধরে বলতে হয়, যারা ইংরেজি শিক্ষা
দেন তারা নিজেরাই ইংরেজি বোঝেন না।
উদাহরন হিসেবে
নির্দিষ্ট বিষয় উল্লেখ করা যাক। কেউ
ফটোশপ-ইলাষ্ট্রেটর শিখতে চান। তার পক্ষে কি করা সম্ভব।
সহজ পরামর্শ
হচ্ছে, বই পড়ুন। যে কোন সফটঅয়্যারের (এবং সেই সম্পর্কিত কাজের) অনেক তাত্ত্বিক
বিষয় থাকে যা শুধুমাত্র বইতেই পাওয়া যায়। বাংলা বই থেকে যতটুকু উপকার পাওয়া যায়
সেটুকু কাজে লাগান। সেইসাথে স্কুলে ইংরেজি যা শিখেছেন সেটা আরেকবার পড়ার চেষ্টা
করুন। সাধারন বাক্যগঠন পর্যন্ত শেখাই যথেষ্ট হওয়ার কথা।
সেইসাথে ভিডিও
টিউটোরিয়াল দেখুন, ইন্টারনেট থেকে বই ডাউনলোড করুন, বিভিন্ন ওয়েবসাইটে
টিউটোরিয়াল-টিপস দেখুন।
আর সব
পরামর্শের সেরা পরামর্শ, যদি শিখতে চান তাহলে সময় নষ্ট না করে লেগে যান। দৈনিক
একঘন্টা নাকি দুঘন্টা একাজে ব্যয় করবেন সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই নিয়ম মানার চেষ্টা
করুন। সেইসাথে কারো কাজ প্রয়োজন হলে সেটা করে দিন। বাস্তব কাজ না করা পর্যন্ত শেখা
সম্পুর্ন হয় না। তার মতামত-সমালোচনা সবই শুনুন। যে ভুলগুলি হচ্ছে সেগুলি সংশোধন
করুন। দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার হতে ৩ থেকে ৬ মাসের বেশি সময় লাগার কথা না।
সেটা না করে
যদি শিখব বলে অপেক্ষা করে তাহলে কখনোই শেখা হবে না।
You said just what is in my mind. I got many teachers in my life who were weaker than students. I think your web site is one of the most attractive bengali website i have ever seen. This may provide sufficient information to the inferior Bangladeshi people like us.
ReplyDeleteSundor post.
ReplyDeletethanks you for this post.It is very important for every learner.
ReplyDelete