Thursday, October 4, 2012

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের সাধারন পদ্ধতি


ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও এর জনপ্রিয়তা তত বাড়ছে। অনেকে একে ফ্রিল্যান্সিং কাজ হিসেবে ব্যবহার করছেন। এছাড়া যারা ব্লগ পরিচালনা করছেন তাদের ব্লগের পরিচিতি বাড়ানোর প্রয়োজন তো আছেই।
এবিষয়ে আগে কয়েকটি পোষ্ট দেয়া হয়েছে। যারা এসইও বিষয়ে আগ্রহি তাদের জন্য সাধারন বিষয়গুলি আরেকবার তুলে ধরা হচ্ছে।


এসইও প্রয়োজন কেন ?
এ প্রশ্নের উত্তরে বরং প্রশ্ন করা যায়, কোন ওয়েবসাইট বা ব্লগ কিভাবে মানুষ খুজে পান। উত্তর সহজ। সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে। বাংলা-টিউটর লিখে সার্চ করলে সার্চ লিষ্টের শুরুতেই এই ব্লগের নাম পাওয়া যায়। কারন যথেষ্ট পরিমান ভিজিটর এই ব্লগ ব্যবহার করেন এবং বাংলা-টিউটর শব্দটি এমনভাবে ব্যবহার করা হয়েছে যেন সার্চ ইঞ্জিন সেটা সহজে পায়।
সার্চ ইঞ্জিন (যেমন গুগল) এর স্পাইডার নামের একটি অংশ নিজে থেকেই প্রতিটি সাইটে ঢুকে সেখানে কি কি তথ্য আছে দেখে নেয়। সেই তথ্যগুলি (কিওয়ার্ড) ব্যবহার করে সার্চ করলে সেই সাইটের নাম লিষ্টে দেখানো হয়। যত বেশিবার সেটা করা হয় সার্চ রেজাল্টের লিষ্টে তত ওপরের দিকে নাম আসতে থাকে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হচ্ছে সাইটকে এমনভাবে রাখা যেন সার্চ ইঞ্জিন সহজে খুজে পায়।
এজন্য যা করতে পারেন;

.          টাইটেল ট্যাগ
টাইটেল ট্যাগ কোন সাইটকে খুজে পাওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বিষয়। টাইটেল ট্যাগ হচ্ছে যে নাম ব্রাউজারে দেখা যায়। টাইটেল ট্যাগ থেকে বোঝা যায় সেই পেজে ভিজিটর কি পেতে পারেন।
পেজ টাইটেল লেখার সময় এমনভাবে লিখুন যেখানে সেই সাইট/পেজ সম্পর্কে গুরুত্বপুর্ন কিওয়ার্ডগুলি থাকে।
.          মেটা ডাটা
মেটা-ডাটা এমন যায়গা যা ভিজিটর দেখতে পান না। এই তথ্যগুলি বর্ননা হিসেবে লেখা হয়। প্রতিটি সফটঅয়্যারে এটা লেখার বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। এখানে সংক্ষেপে সাইটের/পেজের বর্ননা লিখে দিন।
উল্লেখ করা যেতে পারে একসময় মেটাডাটা সার্চ ইঞ্জিনের কাছে খুব গুরুত্বপুর্ন হলেও বর্তমানে গুগল একে ততটা গুরুত্ব দেয় না। যদিও বিং এবং ইয়াহু একে গুরুত্ব দেয়।
সাইটের সাথে সম্পর্ক নেই অথচ জনপ্রিয় এমন কিওয়ার্ড কখনো ব্যবহার করবেন না। সার্চ ইঞ্জিন একে অপরাধ হিসেবে দেখে।
.          ইন্টারনাল লিংকিং
সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ইন্টারনাল লিংকিং ততটা গুরুত্বপুর্ন না, বরং ভিজিটরকে সাইট সম্পর্কে পুরো ধারনা দেয়া বা সহজে এক পেজ থেকে আরেক পেজে যাওয়ার সুবিধে দেয়া হয়। ফল হিসেবে ভিজিটর বেশি সময় সাইট ব্যবহার করেন, সেকারনে সাইটের র‌্যাংকিং ওপরের দিকে যায়।
একে পেজে আরেক পেজে যাওয়ার লিংক ব্যবহার করে একাজ করতে পারেন।
.          কন্টেন্ট
সাইটে কি আছে তা এসইও-র জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ন। সার্চ ইঞ্জিন এগুলি পড়ে দেখে। সাইটের তথ্যগুলি নিজস্ব, অন্যদের থেকে আলাদা এবং তথ্যবহুল হলে খুব সহজে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ভাল ফল আশা করা যায়। ব্লগের ক্ষেত্রে যত বেশি পোষ্ট দেয়া যায় তত ভাল। অন্য সাইটের ক্ষেত্রেও নিয়মিত তথ্য আপডেট করে একাজ করা যায়।
একই তথ্য বারবার ব্যবহার করা (কপি-পেষ্ট) কিংবা অন্য সাইটের হুবহু কপি ব্যবহার করাকে খারাপ দৃষ্টিতে দেখা হয়।
ব্যাক লিংক
ব্যাকলিংক হচ্ছে অন্য সাইট বা ব্লগ যেখান থেকে আপনার সাইটে ভিজিটর আসেন। নিজস্ব সাইটের বাইরে বর্তমানে ব্যাকলিংক সবচেয়ে গুরুত্ব বিষয়। ব্যাকলিংক তৈরী করা সময়সাপেক্ষ বিষয়। শুধু পরিচিতি তৈরী করাই না, সেটা ধরে রাখাও বেশ কঠিন। একাজে ব্যাকলিংক সহায়তা করে।
অন্য সাইটে/ব্লগে নিজের সাইটের তথ্য যোগ করা, অন্য সাইটে মন্তব্য বা পোষ্ট লেখা, প্রেস রিলিজ, ফোরাম,  ডিরেক্টরী সাবমিশন ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরী করা যায়।
অনেকে অর্থের বিনিময়ে ব্যাকলিংক ব্যবহার করেন। জেনে রাখা ভাল, প্রধান ৩টি সার্চ ইঞ্জিন এজন্য শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়। কখনোই টাকা দিয়ে ব্যাকলিংকের ব্যবস্থা করবেন না।

No comments:

Post a Comment