Friday, December 16, 2011

কাজ নিখুত করার ৫ উপায়

নিখুত কাজ সবাই পছন্দ করে। অনেকের ক্ষেত্রে এই বৈশিষ্টকে বলে খুতখুতে বৈশিষ্ট, শতভাগ নিখুত না হওয়া পর্যন্ত সন্তুষ্ট হন না। ক্রমাগত চেষ্টা করতে করতে একসময় মনে হয় সেই বিশেষ কাজে এতটাই দক্ষতা লাভ করেছেন যে ভুল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। যেমন ধরুন একজন গ্রাফিক ডিজাইনার। তাকে যে নির্দেশ দেয়া হয় তিনি শতভাগ প্রত্যাসা পুরন করেন। অন্তত এরকম আত্মবিশ্বাস একসময় তৈরী হতেই পারে।
ফ্রিল্যান্সিং কাজে হাত দিন। সেই আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরতে বেশি সময় লাগবে না। একেবারে সহজ একটি কাজ নিখুতভাবে করে দেয়ার পরও ক্লায়েন্ট বলছেন সেখানে অমুক সমস্যা আছে। আর আপনি ভালভাবে মনোযোগ দিয়ে তেখে, তার দৃষ্টিতে বিবেচনা করে একসময় দেখলেন সেটাই ঠিক। আপনার কাজ এখনও শতভাগ নিখুত হয়নি।
বাস্তবে শতভাগ নিখুত কাজ করা হয়ত সম্ভব হয় না কিন্তু একটি মান পর্যন্ত নেয়া যায় যা সবাই গ্রহন করবেন। কিভাবে নিজেকে সেই পর্যায়ে নেবেন সেবিষয়ে কিছু পরামর্শ।
.          সত্যিকারের সমস্যা কি সেটা দেখুন
কাজে কোন ত্রুটি থাকলে জানার চেষ্টা করুন সমস্যা আসলে কোথায়। আপনি নানা ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কিন্তু যারা এধরনের বিষয় নিয়ে গবেষনা করেন তারা একশব্দে একে প্রকাশ করছেন ভয় হিসেবে। আপনি কোন বিষয়কে যখন ভয় পান তখন তার প্রকাশ ঘটে কাজের সমস্যার মধ্যে। আপনার কাজ অন্যের পছন্দ না হওয়ার ভয়, এই কাজে শেষ পর্যন্ত কতটুকু সফল হবেন এই ভয় ইত্যাদি আপনাকে সঠিক কাজ করতে দিচ্ছে না। আরো নির্দিষ্ট করে বিষয়টি দেখুন, ক্লায়েন্ট লাল রং পছন্দ করবেন নাকি কমলা রং পছন্দ করবেন একথা ভেবে আপনি মানানসই সঠিক রং ব্যবহার করছেন না।
সমাধান করতে পারেন এভাবে, কাজের জন্য যে রং সত্যিকারের উপযোগি সেটাই ব্যবহার করুন। এভাবেই নিখুত কাজ পেতে পারেন। ক্লায়েন্ট যদি বোকা না হন তিনিও ভাল কাজের মর্যাদা দেবেন এবং প্রয়োজনে নিজের মত পাল্টাবেন। সবচেয়ে বড় কথা, আপনি যদি জানেন আপনার কাজে সমস্যা নেই, নিখুত কাজ করেছেন সেটাই আপনার মনোবল হিসেবে কাজ করবে।
.          সময় নির্দিষ্ট করে নিন
আপনার মনে হতেই পারে আপনি কোন কাজে যত বেশি সময় ব্যয় করবেন কাজ তত ভাল হবে। সেই বিষয়ে খোজ নেবেন, তথ্য সংগ্রহ করবেন, চিন্তাভাবনা করবেন, নানাদৃষ্টিতে দেখবেন তবেই না নিখুত কাজ হবে।
বাস্তবতা বলে এধরনের অনির্ধারিত পরিকল্পনা কাজে সমস্যাই তৈরী করে। আপনি কোন কাজ কতটুকু সময় ব্যয় করবেন সেটা আগেই হিসেব করে ঠিক করে নিন। এতে সময় নষ্ট হওয়ার বিষয়টি থাকবে না, প্রতিটি সময়কে পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো যাবে। ক্রমাগত এই নিয়মে কাজ করলে একসময় দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
.          নিজের ওপর আস্থা রাখুন
আপনি নিখুত কাজ করতে চান কিন্তু আপনি নিখুত কাজ করতে পারেন সেটা কি বিশ্বাস করেন ? আগে নিজেকে বিশ্বাস করান আপনি নিখুত কাজ করতে পারেন। এরপর সেখানে কোন ঘাটতি থাকলে সেটা পুরন করার চেষ্টা করুন।
.          অন্যের পরামর্শ নিন
আপনার দৃষ্টিতে আপনি নিখুত কাজ করেছেন, এরপর শেষ মুহুর্তে জানলেন সেখানে সমস্যা থেকে গেছে যা আপনার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। নিজের এই সমস্যা দুর করতে পারেন অন্যের পরামর্শ নিয়ে। এমন কেউ যার মতামত নেয়া যায়, পরামর্শ নেয়া যায়, যিনি সেই বিষয়ে ভাল জানেন। তার দৃষ্টিতে আরেকবার দেখুন এবং সেই দৃষ্টিভঙ্গি রপ্তা করুন। একসময় নিজেই সমস্যাগুলি দেখতে পাবেন।
.          ব্যর্থতা থেকে শিখুন
ব্যর্থতা সাফল্যের চাবিকাঠি এটা পুরনো প্রবাদ এবং সম্ভবত বিশ্বের সব দেশে সব ভাষায় প্রচলিত। আপনি যে ভুল করেছেন সেই ভুল থেকে শিখুন এবং নিজে বলুন অন্তত একই ভুল আরেকবার করব না। ভুল যত বেশি শেখার পরিমান তত বেশি। একসময় না করা ভুল থাকবে না এবং আপনি সবসময় নিখুত কাজ করবেন।
আপনার কাজ যাই হোক না কেন, নিখুতভাবে সেকাজ করা আপনার দায়িত্ব। এই বৈশিষ্টের কারনেই একই কাজ করে একজন বিশ্বখ্যাতি লাভ করেন আরেকজন ক্রমাগত সমালোচনার সম্মুখিন হন। আপনি নিজেই ঠিক করে নিতে পারেন আপনি কোনটি চান।

No comments:

Post a Comment