ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সাম্প্রতিক এক জড়িপে দেখা গেছে বর্তমানে কর্মীদের প্রতি ৪ জনে একজন ফ্রিল্যান্সার। শতকরা ২৫ ভাগ কাজ ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে হওয়ার পরও অনেকে একে মানিয়ে নিতে সমস্যায় পড়ছেন। অনেকে কাজে দক্ষ হয়েও ব্যর্থ হচ্ছেন শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধরনের সাথে মানিয়ে নিতে না পেরে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নটা চলে আসে, স্কুলে কি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ধারনা দেয়া উচিত।
অনেকেই এবিষয়ে জোরালো মত প্রকাশ করেন। তাদের বক্তব্য আগে থেকে ধারনা পেলে তাদের পক্ষে ফ্রিল্যান্সিং এ ভাল করা সহজ। অন্যদিকে এর বিপক্ষে বক্তব্যও রয়েছে। পক্ষে এবং বিপক্ষের মতগুলি তুলে ধরা হচ্ছে এখানে।
স্কুলে ফ্রিল্যান্সিং ধারনা দেয়ার ভাল দিক
. অনেকদিন থেকেই উন্নত বিশ্বের স্কুলগুলিতে টাইপিং এবং সাধারন কম্পিউটার ব্যবহার শেখানোর প্রচলন রয়েছে। বাংলাদেশ অবশ্য ব্যতিক্রম এই অর্থে যে টাইপিং কখনো স্কুলের পাঠ্য বিষয় হিসেবে শেখানো হয়নি। যারা একাজে যেতে চেয়েছেন তাদেরকে নিজের খরচে পৃথকভাবে ট্রেনিং নিতে হয়েছে। ফল হিসেবে একজন কর্মকর্তাকে ব্যক্তিগত চিঠি লেখার কাজও অন্যকে দিয়ে করাতে হয়েছে। বর্তমানের প্রায় সমস্ত চাকুরীজীবিদের ফ্রিল্যান্সিং ধারনা প্রয়োজন হয়। সেকারনে স্কুলে এবিষয়ে পাঠদান করলে তাদের পক্ষে ভাল করা সহজ।
. ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ধারনা দিলে সাধারনভাবে কাজ এবঙ ব্যবসা সম্পর্কেই বাস্তব ধারনা পাওয়া সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং একইসাথে চাকরী এবং ব্যবসা। অনেক ফ্রিল্যান্সারই কিছুদিন পর ব্যর্থ হন ব্যবসা সম্পর্কে ধারনা না থাকার কারনে।
. যদি স্কুলে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ধারনা দেয়া হয় তাহলে তাদের সামনে একটি পথ খুলে যায়। চাকরী না পেলেও তারা বেকার থাকবে না। আর বাস্তবে পড়াশোনা শেষে সবাই চাকরী পাবে এটা শুধুমাত্র কল্পনাতে সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ধারনা থাকলে নিজের বিষয়ে অনায়াসে কাজ করা সম্ভব।
খারাপ দিক
. ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে কি শেখানো হবে, কে শেখাবেন এধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন। যে কোন বিষয় নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা সম্ভব। বাস্তবে কেউ যখন শেখাবেন তিনি নির্দিষ্ট বিষয়ই শেখাতে পারেন। বিষয়বস্তু একটি বড় সমস্যা হয়ে দাড়াতে পারে।
. সাধারনভাবে ছাত্রদের এত বেশি বিষয় পড়ানো হয় যা নিয়ে প্রচুর সমালোচনা রয়েছে। বলা হয় অনেক বিষয় পড়ানো হয় যা হয়ত ততটা প্রয়োজন নেই। এরসাথে আরেকটি বিষয় যোগ করলে ফল ভাল হবে না-কি মন্দ হবে নিশ্চিত করে বলা কঠিন।
. কোন পর্যায়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখানো হবে সেটা ঠিক করাও কঠিন। স্কুলে, কলেজে পর্যায়ে নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটা ঠিক করা কঠিন। অনেকে নিজে পড়াশোনা করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার চেয়ে ভাল করেন। তারা অনেক ক্ষেত্রেই উদাহরন।
. ছাত্রদের কেউ কেউ কখনোই ভাল ফ্রিল্যান্সার হবে না। তাদেরকে বাধ্যতামুলকভাবে এই বিষয় পড়ানো কতটা যৌক্তিক সেটাও একটা প্রশ্ন।
আপাতত বরং একথা বলাই বেশি নিরাপদ, ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য একাডেমিক না হোক অন্তত প্রফেশনাল ট্রেনিং এর প্রতিস্ঠান থাকা উচিত। পরবর্তীতে কোন এক সময়ে স্কুলে-কলেজেও বিষয় হিসেবে যোগ হতে পারে।
i love ak vai
ReplyDelete