আউটসোসিং-ফ্রিল্যান্সিং
এর মাধ্যমে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে, ধনী দেশে পরিনত হবে একথা নতুন করে
কাউকে শোনানোর প্রয়োজন নেই। অনেকে মনে করেন গত নির্বাচনে ডিজিটাল বাংলাদেশ
প্রচারনা বড় ভুমিকা রেখেছে।
বাংলাদেশ কতটা
ডিজিটাল হয়েছে সেটা হয়ত রাজনৈতিক বিষয় মনে হবে। একটা কথা ঠিক, বহু মানুষ
ফ্রিল্যান্সিং কাজে আগ্রহি। সংবাদ মাধ্যমে প্রতিদিন বলা হচ্ছে এর মাধ্যমে কত সহজে
লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। কেউ কেউ এরই মধ্যে একে লোকঠকানো ব্যবসায় কাজেও লাগিয়েছে।
অন্যদিকে বাংলা-টিউটর সাইটের ভিজিটরদের মন্তব্য থেকে অনায়াসে ধারনা করা যায় অনেকেই
চেষ্টা করে নিরাশ হয়েছেন বা হচ্ছেন।
কারনটা সহজেই
অনুমান করা যায়। অনলাইনে কাজ পাওয়ার জন্য সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সারদের সাথে
প্রতিযোগিতা করতে হয়। সেই পরিমান দক্ষ হত হয়। অথচ কাজ করে দক্ষতা বাড়ানোর কোন
সুযোগ নেই, শেখার জন্য উল্লেখযোগ্য প্রতিস্ঠান নেই।
অনলাইনে কাজের
সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র ওয়েব ডিজাইন এবং গ্রাফিক ডিজাইন। বর্তমানে বাংলাদেশে কেউ যদি
একাজে দক্ষতা বাড়াতে চান তাহলে কি করতে পারেন দেখা যেতে পারে। তিনি কোন ট্রেনিং
সেন্টারে ভর্তি হবেন। সেখানে যিনি প্রশিক্ষন দেন তার নিজের কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই।
তারপরও সেখানে এবং নিজের চেষ্টায় যতটুকু শেখা যায় তাকে কাজে লাগানোর কোন যায়গা
নেই। বাংলাদেশে নিজস্ব ওয়েবসাইট বিষয়টি এখনও বিরল ঘটনা। সংবাদপত্র-টিভি সহ
অন্যান্য কাজের যায়গাগুলি দখল হয়ে আছে।
গ্রাফিক
ডিজাইনের কাজের সুযোগ কিভাবে বাড়ানো যেতে পারে একটা উদাহরন দিয়ে দেখা যাক।
সারা বিশ্বের
প্রচারনার জন্য ডিজিটাল সাইন ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের প্রচারনার মাধ্যম হচ্ছে
ব্যানার, বিলবোর্ড, ফেষ্টুন, পোষ্টার ইত্যাদি। ফলে ঢাকা শহর বিশ্বের সবচেয়ে অপরিস্কার
শহরের মর্যাদা লাভ করেছে।
এর বদলে
ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের কথা বিবেচনায় আনা যেতে পারে। ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের
সামনের ডিসপ্লেকে উদাহরন হিসেবে ধরতে পারেন। এধরনের ডিসপ্লেতে বিজ্ঞাপন বিলবোর্ডের
চেয়ে বেশি কার্যকর। কোন বিলবোর্ড যখন মাসের পর মাস একইভাবে থাকে তখন সেটা আকর্ষন
হারায়, অথচ কয়েক সেকেন্ডের বিজ্ঞাপনের দিকে মানুষ বেশি আগ্রহ দেখায়। অন্যদিকে
স্থাণীয় ব্যবসা প্রতিস্ঠানের জন্য এধরনের বিজ্ঞাপন বেশি উপযোগি। স্থানীয় কোন
ডিপার্টমেন্ট ষ্টোরের বিজ্ঞাপন টিভির মাধ্যমে সারা দেশের মানুষকে দেখানো অর্থহীন।
একে
কার্যকরভাবে ব্যবহার করলে একই ডিসপ্লেতে দৈনিক শতশত বিজ্ঞাপন দেখানো সম্ভব। ফলে
চারিদিকের বিজ্ঞাপনের আবর্জনা প্রয়োজন হবে না।
এই
বিজ্ঞাপনগুলি তৈরীর মাধ্যমে কাজের সুযোগ পাবে বিপুল পরিমান গ্রাফিক ডিজাইনার,
এনিমেটর, ভিডিও নির্মাতা। এভাবে দক্ষতা বাড়িয়ে একসময় বিশ্বের অন্যান্য
ফ্রিল্যান্সারদের সাথে প্রতিযোগিতা করার দক্ষতা অর্জন সম্ভব।
এই উদাহরনের
বিপরীত দিক নেই একথা বললে নিশ্চয়ই অন্যায় হবে। বর্তমানে গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল
প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট থেকে শুরু করে পোষ্টার ছাপানো, পোষ্টার লাগানো সব কাজই
কেউ না কেউ করছে। প্রতি পোষ্টার লাগানোর খরচ দুটাকা, এই হিসেবে অনেকের কর্মসংস্থান
হচ্ছে। তারা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হতেই পারেন।
তারপরও, এটা
একটা উদাহরন। অন্যন্য কাজের জন্যও নানা ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করে কাজের সুযোগ
সৃষ্টি করা যেতে পারে। যদি ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং কাজ থেকে সত্যিকার অর্থেই
ভাল ফল আশা করেন তাহলে কাজের সুযোগ সৃষ্টি ছাড়া শুধুমাত্র কথায় লাভ হবে না। বরং বাস্তব
কাজ কি সেই ধারনা ছাড়াই চেষ্টা করে একসময় হতাস হতে হবে। একসময় আউটসোর্সিং-ফ্রিল্যান্সিং
কাজে লক্ষ টাকা আয়ের কথা হাস্যকর মনে হবে।
Dear all
ReplyDeleteVery easy way you can start freelancing by SEO
To know more visit
add-a-url.blogspot.com