Thursday, September 6, 2012

ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি কতটা নিয়মতান্ত্রিক


ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সফল হওয়ার জন্য যাকিছু যোগ্যতা প্রয়োজন সবই আপনার আছে। কাজে দক্ষ, মনোযোগি, সৃষ্টিশীল, প্রযুক্তির ভক্ত। এসবকিছু থাকার পরও আপনি কি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিয়মতান্ত্রিক ?
একজন ফ্রিল্যান্সারের কাজের তদারকি করার জন্য কেউ নেই। নিয়ম মানার দায়িত্ব নিজের। যদি ভেবে থাকেন নিয়ম না মেনে ভাল ফল পাবেন তাহলে আরেকবার ভেবে দেখা প্রয়োজন।
ফ্রিল্যান্সিং কাজ সময়মত সফলভাবে করার একটি বড় উপকরন নিয়ম মেনে চলা। ফ্রিল্যান্সারকে নানারকম চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়। কখনো অতিরিক্ত সময় কাজ করার মত শারীরিক চাপ কখনো ক্লায়েন্টের সমালোচনার মত মানষিক চাপ, সবই সহ্য করতে হয়। এতসবকিছুর মধ্যে মনে হতে পারে, সাধ্যমত নিয়ম মেনে চলছি। বাস্তবতা হয়ত তেমন না।
নিজের নিজের নিয়ম তদারকি করার কিছু পদ্ধতি এখানে তুলে ধরা হচ্ছে।


.          প্রতিদিন কিছু কাজ করেন
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি কি প্রতিদিন কিছু কাজ করেন ? ভাল লাগুক বা নাই লাগুক, হাতে কাজ থাক বা নাই থাক। প্রশ্ন করতে পারেন হাতে কাজ না থাকলে কি করবেন। একজন ফ্রিল্যান্সারকে সবসমময়ই নতুন কিছু শিখতে হয়। শেখাকেই কাজ হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হতে এমন কাজ আগেই করে রাখতে পারেন।
.          আয়ের সমস্ত অর্থ খরচ করে ফেলেন
ফ্রিল্যান্সার মাস গেলেই নিশ্চিত বেতন পান না। একসময় যথেষ্ট আয় যেমন হতে পারে আরেক সময় কোন আয় না হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। এটা স্বাভাবিক। বেশ কিছুদিন আয় না হলেও চলার মত অর্থ কি হাতে রাখেন ?  এটা ফ্রিল্যান্সারের নিজস্ব নিয়মের অংশ।
.          যখন যথেষ্ট কাজ থাকে তখনও কাজের চেষ্টা করেন
ফ্রিল্যান্সিং এক ধরনের ব্যবসা। একজন ব্যবসায়ী সবসময় ক্রমাগত চেষ্টা করেন কিভাবে ব্যবসাকে আরো ভালোর দিকে নেয়া যায়। নিয়মতান্ত্রিক ফ্রিল্যান্সার সবসময়ই নতুন কাজের সন্ধান করেন।
.          দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করেন
যে দক্ষতা নিয়ে বর্তমানে কাজ করছেন তাতে কি পুরোপুরি সন্তুষ্ট, নাকি তাকে আরো বাড়ানোর জন্য কিছু সময় বরাদ্দ রেখেছেন। ফ্রিল্যান্সিং বিশ্ব ক্রমাগত পরিবর্তনশীল। ভাল করার জন্য, এমনকি নিজের অবস্থান ধরে রাখার জন্যও ক্রমাগত কিছু শেখা প্রয়োজন।
.          পছন্দ না হলেও প্রয়োজনে সেকাজ করেন
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ বাছাই করার সুযোগ রয়েছে। তারপরও ভাল লাগে না এমন কাজ কি করেন ? অপছন্দের কাজ করার বেশকিছু সুবিধে রয়েছে। একদিকে ক্লায়েন্ট সন্তুষ্ট থাকে, অন্যদিকে যখন আয় কম তখন বিকল্প কাজ হিসেবে ব্যভহার করা যায়।
.          কাজ থেকে সরে যান না
বিভিন্ন কারনে কোন কাজে সমস্যা তৈরী হতে পারে, সমালোচনা সহ্য করতে হতে পারে। একসময় বিরক্ত হয়ে সেকাজ ছেড়ে দিতে পারেন। সত্যিকারের সফল ফ্রিল্যান্সার কোন কাজ ছেড়ে দেন না।
.          নিজের ভুল স্বিকার করতে পারেন এবং সংশোধন করতে পারেন
নিজের ভুল ধরতে পারার ক্ষমতা সকলের থাকে না। অনেকেই নিজের কাজকে ঠিক মনে করেন। ফ্রিল্যান্সারের সফলতার জন্য বিষয়টি সমস্যা তৈরী করে। সঠিক পথ হচ্ছে দ্রুত নিজের ভুল ধরতে পারা এবং সময়মত সংশোধন করা।
.          সমালোচনা সহ্য করার মানষিকতা
আপনার সব কাজ ক্লায়েন্ট পছন্দ করবেন এমন কথা নেই। বরং বিপরীত ঘটনাই বেশি ঘটে। সবসময়ই ক্লায়েন্ট আরো বেশি কিছু আশা করেন। কখনো কখনো তাদের বক্তব্য অসহ্য মনে হতে পারে। সমালোচনা ভালভাবে মোকাবেলা করা ফ্রিল্যান্সারের নিয়মের বড় অংশ।
.          ফ্রিল্যান্সিং এর বাইরের কাজ অবহেলা না করা
খাওয়া-ঘুম-সামাজিকতা সবকিছু বাদ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজে ব্যস্ত থাকা নিয়মতান্ত্রিকতার পরিচয় বহন করে না। একসময় এর প্রভাব ফ্রিল্যান্সিং কাজের ওপরও পড়তে বাধ্য।

এখানে উল্লেখ করা প্রতিটি বিষয়ই আপনার পক্ষে থাকবে এমন কথা নেই। হয়ত কোন বিষয় আগে গুরুত্বপুর্ন মনে হয়নি কিংবা কোন বিশেষ কারনে সম্ভব হয়নি।
কেউই পুরোপুরি নিখুত হন না। সমস্যা কি জানা থাকলে ক্রমে সেটা দুর করার চেষ্টা করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং একধরনের জীবনযাপন পদ্ধতি। আপনিও একে অভ্যেসে পরিনদ করে সফল হতে পারেন।

3 comments:

  1. vaya client er somaloconar matra ta kototuku
    pray e freelancing niye ei kotha ta amar cokhe pore je client khusi hoi na , somalochonai e beshi kore
    apni to onekdin freelancing koren
    ei somaloconar beparta kono bastob udahoron diye bujhale valo hoi.

    ReplyDelete
    Replies
    1. যদি কেউ বলে, আপনার এই কাজ করার যোগ্যতা নেই, সেটা সবচেয়ে বড়গ সমালোচনা। সব ফ্রিল্যান্সারকে এধরনের কথা শুনতে হয়। কারন জানাটাই জরুরী, হতাস হওয়া না। বক্তব্য ঠিকভাবে না বোঝা সাধারন কারন। কখনো কখনো ক্লায়েন্টের স্বভাবের কারনেও ঘটে। বিশেষ ধরনের কাজ, বিশেষ ধরনের প্রতিস্ঠান, বিশেষ দেশ এড়িয়ে চলি একারনে। এবিষয়ে পৃথক পোষ্টে লেখা হয়েছে।
      সমালোচনা বেশি হলে সেই ক্লায়েন্টকে মন থেকে বাদ দিন। প্রতিবাদ বা অভদ্র আচরন করবেন না। সে খারাপ হলে আপনাকে খারাপ হতে হবে এমন কথা নেই।

      Delete