তথ্যপ্রযুক্তিতে
ভারত নানা কারনে উদাহরন। বলা হয় একসময় ভারত আমেরিকাকে ছাড়িয়ে যাবে। তাদের কাছে
সেটা বাস্তবতা। তারসাথে যখন বাংলাদেশের তুলনা করা হয় তখন বাংলাদেশ সম্পর্কে
বক্তব্য পুরোটাই সম্ভাবনা নিয়ে। কেউ নিশ্চিত করে বলছেন না আসলে কি হবে, বলছেন হতে
পারে। অন্তত বিদ্যমান যে সমস্যাগুলি রয়েছে সেগুলি যেভাবে মোকাবেলা করা হচ্ছে তাতে
অনেকেই আশাবাদী নন। সকলেরই বক্তব্য, যদি সেগুলির সমাধান করা হয় তাহলে ...
এই
লেখাটি মাল্টিমিডিয়া বিষয়ে। মাল্টিমিডিয়া একটি বড় শব্দ। ইমেজ, ভিডিও, এনিমেশন,
শব্দ সবগুলিকে একসাথে করলে মাল্টিমিডিয়া হয়, আবার এদেরকে পৃথকভাবেও মাল্টিমিডিয়া
বলা হয়। পিসি, ট্যাবলেট বা স্মার্টফোনের জন্য তৈরী সফটঅয়্যারকে মাল্টিমিডিয়া বলা
হয়। শিক্ষা-বিনোদন-তথ্য কোন বিষয়েই মাল্টিমিডিয়াকে এড়িয়ে চলা সম্ভব না। যদি সেদিকে
যেতেই হয় তাহলে দ্রুত যাওয়াই ভাল।
বাংলাদেশে
মাল্টিমিডিয়া তৈরী শেখার সম্ভাব্য পথগুলি কি তাই নিয়ে এই পোষ্ট।
ইন্টারন্যাশনাল
ট্রেড সেন্টারের উপদেষ্টা রিচার্ড সাইকেস ভারত এবং বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির ধরন
বিশ্লেষন করে একটি নিবন্ধ লিখেছেন http://www.cio.co.uk/article/3416606/branding-bangladesh/ ।
প্রথম আলো পত্রিকায় তার অনুবাদ ছাপা হয়েছে। তার একটি বক্তব্য অত্যন্ত
গুরুত্বপুর্ন।
ভারতে
বড় কয়েকটি প্রতিস্ঠান আছে যারা বছরে ১০ হাজারের বেশি মানুষের সরাসরি কর্মসংস্থানের
সুযোগ দেয়। বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে বড় প্রতিস্ঠান নেই। বিপরীতভাবে
বাংলাদেশের বৈশিষ্ট হচ্ছে এখানে ক্ষুদ্র উদ্দোক্তাদের ভুমিকা বেশি।
একজন
ব্যক্তি (বা কয়েকজন) নিজের উদ্দোগে কাজ শুরু করেন, একসময় সেটা প্রতিস্ঠানে পরিনত
হয়। প্রতিস্ঠানগুলি খুব বড় হয়ত হয় না, তারপরও সফলভাবে কাজ করে উন্নতির পথে যায়।
কাজভিত্তিক
প্রায় সমস্ত প্রতিস্ঠানের ক্ষেত্রেই কথাটি সত্য। মাল্টিমিডিয়া তৈরীতে এর ব্যতিক্রম
নেই।
অন্যকথায়,
একজন ব্যক্তি মাল্টিমিডিয়া তৈরী শুরু করতে পারেন। সেটা লাভজনক হলে সাহায্যের জন্য
অন্যদের নিয়োগ দিতে পারেন।
কেন
এটা প্রয়োজন হয় তার ভিন্ন ব্যাখ্যা খুজতে পারেন। অনেক মানুষই নিজে ঝুকি নিতে চান
না, লাভের নিশ্চয়তা না দেখে কাজ করতে আগ্রহি হন না। অন্যকে অনুকরন করার প্রবনতা
বেশি, সহজে টাকা আয়ের প্রবনতা বেশি। সেকারনে শেয়ার বাজার কিংবা ডেসটিনির মত যায়গায়
বেশি ভিড় জমে। অথচ সেখানে যে অর্থ দেয়া হয়েছে তারথেকে অনেক কম টাকা বিনিয়োগে নিজের
প্রতিস্ঠান গড়া যায়।
বিষয়কে
শেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাক। আপনি শিখতে চান কাজ করার জন্য। সরাসরি কাজ করা
দিয়েই শেখা শুরু করুন। কাজ শুরুর জন্য সেটুকু শেখা প্রয়োজন সেটুকুর জন্য কারো
সাহায্য নিন। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে সরাসরি নাম উল্লেখ করার মত প্রতিস্ঠান নেই।
কাজের অভিজ্ঞতা আছে এমন কারো সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ সবচেয়ে সুবিধেজনক।
যদি
সেটা সম্ভব না হয় তাহলে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল এবং অন্যান্য উপকরন দেখে সরাসরি কোন
কাজ করার চেষ্টা করুন। কোন কাজকে উদাহরন হিসেবে সামনে রেখে নিজের মত করে তৈরী করুন।
আগেও
বলা হয়েছে, আবারো বলা হচ্ছে, মাল্টিমিডিয়া তেরীকে ভয় পাওয়া কারন নেই। কম্পিউটার
ব্যবহারে অভ্যস্থ আগ্রহি ব্যক্তি মাল্টিমিডিয়া তৈরী করতে পারেন। সামান্য সাফল্য
পেলে তার ওপর ভর করে বাকি চাহিদা পুরন করতে পারেন। বিশ্বাস না হয় যারা
মাল্টিমিডিয়া কাজে (এনিমেশন, ভিডিও এডিটিং সহ এধরনের যে কোন বিষয়ে) সফলভাবে কাজ
করছেন তাদের উদাহরন দেখুন। একজনের উদাহরন দিতে পারি, তাকে কম্পিউটার বন্ধ করতে
বলায় অন্য উপায় না জেনে প্লাগ খুলে ফেলেছিলেন। সাটডাউন বলে কিছু আছে না জানায় তাকে
টিটকারী সহ্য করতে হয়। এথেকে জেদের বশে তিনি কাজ শিখেছেন এবং বর্তমানে সুনামের
সাথে পেশাদার ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করছেন।
মাল্টিমিডিয়া
তৈরী শিখবেন কিভাবে একথার সহজ উত্তর এটাই, না শিখেই কাজ শুরু করুন। এরপর কি শেখা
প্রয়োজন বুঝুন, সেটা কোথায় শেখা যায খোজ করুন।
কেউ
শেখাচ্ছে না, শেখার যায়গা নেই একথা বলে বসে থাকবেন না। আর কোন যায়গা না থাকলে
ইন্টারনেটে খোজ করুন। সেখানে সব ধরনের টিউটোরিয়াল পাবেন। বাংলা-টিউটর সাইট তৈরীর
মুল উদ্দেশ্য ছিল সেটাই, যে নিজে শিখতে চায় তাকে সাহায্য করা।
আপনি
নিজে শিখেই মাল্টিমিডিয়া তৈরী করতে পারেন। সাথে যদি কাউকে পান সেটা আরো ভালো।
অনেক প্রেরণামূলক পোষ্ট। ধন্যবাদ
ReplyDelete