Saturday, July 16, 2011

থ্রিডি ষ্টুডিও ম্যাক্সে ক্যারেকটার এনিমেশন - ১

একসময় পুরো মুভি থ্রিডিতে তৈরীর বিষয়টি মানুষকে অবাক করত। বর্তমানে থ্রিডি ক্যারেকটার এনিমেশন কিংবা কার্টুন ছবি মানুষকে ততটা অবাক করে না বরং মনে হয় আমি যদি করতে পারতাম। আপনার পক্ষেও থ্রিডি ক্যারেকটার এনিমেশন করা সম্ভব। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি-লোকবল-অর্থ সবকিছু থাকলে পুরো মুভি। নইলে অন্তত থ্রিডি এনিমেটেড বিজ্ঞাপন কিংবা কয়েক মিনিটের কার্টুন।
থ্রিডি ক্যারেকটার এনিমেশন কিভাবে করা হয় জানানো হচ্ছে কয়েকটি পর্বে।
শুরুতে কাজের ধাপগুলি দেখে নেয়া যাক। অন্যান্য এনিমেশনের মত ক্যারেকটার এনিমেশন শুরু করতে হয় মডেল তৈরী দিয়ে। যে গল্পের থ্রিডি বানাতে চান সেখানকার চরিত্রগুলি প্রথমে তৈরী করে নেবেন। এখানে মডেলিং বলতে মডেল তৈরী, জামাকাপড় এবং অন্যান্য সবকিছু তৈরী, সবকিছুর মানানসই ম্যাটেরিয়াল (রঙ) ব্যবহার সবকিছুই বুঝানো হচ্ছে।
এর পরের ধাপ থ্রিডি স্কেলেটন ব্যবহার। ক্যারেকটার এনিমেশনের জন্য মায়া ম্যাক্সের থেকে শক্তিশালী একথা সত্য। তারপরও ম্যাক্সের কথা বলা হচ্ছে কারন এতে বাইপেড বলে একটি  বিষয় আছে যার সাহায্যে খুব সহজে ক্যারেকটার এনিমেশন করা যায়।
বিষয়টি এমন, মায়ায় আপনি বোন (হাড়) তৈরী করবেন। শরীরে যেমন বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন মাপের, বিভিন্ন ধরনের হাড় থাকে ঠিক তেমনি। ম্যাক্সে সরাসরি বাইপেড তৈরী করতে পারেন যেখানে মানুষের কংকালের মত সবকিছুই থাকবে। আঙলের জোড়া কেমন হয়, হাটুর জোড়া কেমন হয় এসব নিয়ে ভাবতে হবে না। অবশ্য ম্যাক্সেও নিজস্ব বোন ব্যবহার করা যায়, এজন্য কিছু প্লাগইন ব্যবহার করা যায়। বাইপেড থেকে বোনের অতিরিক্ত কিছু সুবিধে রয়েছে। তারপরও, সহজতার দিক থেকে বাইপেড যে কেউ ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ক্যারেকটার এনিমেশন টুলকিট নামে একটি প্লাগইন রয়েছে যা মায়া, সফটইমেজ ইত্যাদির জন্যও পাওয়া যায়।
তৃতীয় ধাপ হচ্ছে বাইপেড বা বোন এবং মডেলকে একসাথে করা। বাইপেডকে ঠিকভাবে মডেলের ভেতরে বসানো হয়। এরপর মডিফায়ার ব্যবহার করে দুটিকে লিংক করা হয়। এরপর বাইপেড হাটার ভঙ্গিতে সরালে মনে হবে মডেলটি হাটছে।
বাইপেডকে খুব সহজে হাটানো, দীড়ানো, লাফ দেয়া ইত্যাদি কাজ করানো যায়। আর বাস্তবে হলিউডের মত যায়গায় এজন্য মোশান ক্যাপচার নামে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। অভিনেতার শরীরে সেন্সর লাগিয়ে অভিনয় করানো হয়, মোশান ক্যাপচার সেই নড়াচড়া রেকর্ড করে, এরপর তাকে ব্যবহার করা যায় এনিমেশনের সাথে। ম্যাক্সে মোশান ক্যাপচার ডাটা ব্যবহার করা যায়।
ক্যারেকটার এনিমেশনকে বাস্তবধর্মী করতে কথা বলার সময় ঠোট মেলানো, চোখ এবং মুখের অন্যান্য এক্সপ্রেশন ব্যবহার করা প্রয়োজন হয়। সহজে একাজ করার জন্য ডাই-ও-মেটিক ক্যারেকটার প্যাক নামে একটি প্লাগইন রয়েছে। সরাসরি ম্যাক্সের মরফ ব্যবহার করেও একাজ করা যায়। সাউন্ড ফাইল ইমপোর্ট করে তারসাথে মিল রেখে ঠোট মেলানোর কাজ করা যায়।
সবশেষ কাজ অবশ্যই রেন্ডার করা। ক্যারেকটার এনিমেশনকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে রেন্ডার করে নিতে হয়।
এই টিউটোরিয়ালে ক্যারেকটার মডেল করা দেখানো হচ্ছে না। প্রাকটিসের জন্য আপনি ম্যাক্সের সাথে দেয়া কোন মডেল ব্যবহার করতে পারেন কিংবা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
পরবর্তী টিউটোরিয়ালে মডেলের সাথে মানানসই বাইপেড তৈরী এবং তাকে যুক্ত করা উল্লেখ করা হবে।
ক্যারেকটার এনিমেশনে ব্যবহারের জন্য মডেলকে দুহাত এবং দুপা ছড়ানো ভঙ্গিতে (অনেকে বলেন দা ভিঞ্চি মোড) তৈরী করা হয়। এধরনের একটি মডেল হাতের কাছে রাখুন।

4 comments:

  1. আমি খুব থ্রিডি এনিমেশন শেখারি আগ্রহি।কিন্তু স্যাফটিয়ার পাচ্ছি না। কোথাই থেকে স্যাফটিয়ার
    পাব?

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনার অবস্থান কোথায় জানলে জানাতে সুবিধে হত। বাংলাদেশে অধিকাংশ সিডি/ডিভিডির দোকানে সফটঅয়্যার পাওয়া যায়। যদি কেনার সুযোগ না থাকে তাহলে পাইরেট বে থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। থ্রিডি ষ্টুডিও ম্যাক্স প্রায় ৪ গিগাবাইট।

      Delete
  2. bro blander use korche 3d max er valo tutorial pabo?
    modeling & riging esober.plese!! help me..

    ReplyDelete
    Replies
    1. ম্যাক্স শুরু করার জন্য লিনডা বা এধরনের কিছু ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে নিতে পারেন। এতে কাজ সম্পর্কে ধারনা তৈরী হবে। বর্তমানে প্রায় সমস্ত বই অনলাইনে পাওয়া যায়। ম্যাক্স এবং জেডব্রাশ ব্যবহার করে ক্যারেকটার মডেলিং এর ভাল ভিডিও টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। আমার কপি নষ্ট হয়ে গেছে বলে নাম জানাতে পারছি না। রিগিং এর জন্য ক্যারেকটার ষ্টুডিও ৩/৪ এর টিউটোরিয়ালগুলি সহজ।

      Delete