ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে সবসময়ই বলা হচ্ছে আপনার লক্ষ স্থির করুন। তারপর তারদিকে যেতে চেষ্টা করুন। কোন লক্ষে যাওয়া সম্ভব সেটা নির্ভর করে সেটা বাস্তবসম্মত কিনা তার ওপর। কিন্তু বাস্তবসম্মত লক্ষ্য কি? সেটা জানবেন কিভাবে ?
লক্ষ্য স্থির করার কাজ সহজ না। এক ব্যক্তির লক্ষ্য কখনোই আরেক ব্যক্তির মত হতে পারে না। যদি বাস্তসম্মত কথাটি যোগ করা হয় তাহলে পার্থক্য বেড়ে যায় অনেক। প্রত্যেকের আশা-আকাঙ্খা, চিন্তার ধরন থেকে শুরু করে জ্ঞান, মেধা, অভিজ্ঞতা সবকিছুই যখন ভিন্ন।
আশ্চর্য্যজনক শোনালেও অনেক সময়ই মানুষ যে লক্ষ্য স্থির করে বাস্তবে সেটা আশা করে না বা চায় না। তারপরও খুব সহজেই এই ভুল করে। কাজেই আপাতত লক্ষের কথা ভুলে যান। বরং আপনি কি চান সেটা ঠিক করুন। উদাহরন হিসেবে বড় প্রতিস্ঠানের কথা ভাবতে পারেন। তারা কি করতে চায় সেটা প্রথমে ঠিক করে নেয়। তার সম্ভাবতা যাচাই করে। তারপর কাজ শুরু করে। এভাবেই তারা সফল হয়।
ব্যক্তিগত পর্যায়ে আপনি আপনার পরিকল্পনাকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিতে পারেন।
. নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে ভাবুন
আপনার লক্ষ্য ঠিক করুন বাস্তবসম্মত নির্দিষ্ট কিছুর ভিত্তিতে। এবছর ৫০ লক্ষ টাকা আয় করব, এই লক্ষ্য আপনার জন্য বাস্তবসম্মত নাও হতে পারে। বরং এমন লক্ষ্য স্থির করুন যা থেকে সামান্য কমবেশি হতে পারে, আকাশ-পাতাল পার্থক্য হবে না
আপনার লক্ষ্য ঠিক করুন বাস্তবসম্মত নির্দিষ্ট কিছুর ভিত্তিতে। এবছর ৫০ লক্ষ টাকা আয় করব, এই লক্ষ্য আপনার জন্য বাস্তবসম্মত নাও হতে পারে। বরং এমন লক্ষ্য স্থির করুন যা থেকে সামান্য কমবেশি হতে পারে, আকাশ-পাতাল পার্থক্য হবে না
. পরিমাপযোগ্য লক্ষ্য স্থির করুন
এমন লক্ষ স্থির করুন যা পরিমান করা যায়। মাসে এই পরিমান আর্টিকেল লিখব, এটা সহজে পরিমাপ করা যায়। সংখ্যাবিষয়ক কিছু পরিকল্পনায় থাকলে অনায়াসে সেটা যাচাই করা সম্ভব হবে।
এমন লক্ষ স্থির করুন যা পরিমান করা যায়। মাসে এই পরিমান আর্টিকেল লিখব, এটা সহজে পরিমাপ করা যায়। সংখ্যাবিষয়ক কিছু পরিকল্পনায় থাকলে অনায়াসে সেটা যাচাই করা সম্ভব হবে।
. মানানসই পরিকল্পনা করুন
আপনি যে কাজের সাথে জড়িত সেই বিষয়ে পরিকল্পনা করুন। আপনি যা চান ঠিক তারসাথে জড়িত বিষয়গুলি কি কি বের করার চেষ্টা করুন। সেগুলি কতটা আছে, কতটা পাওয়া সম্ভব আগেই জেনে নিন। যা নেই এবং পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই তার ওপর ভিত্তি করে লক্ষ স্থির করতে পারেন না।
আপনি যে কাজের সাথে জড়িত সেই বিষয়ে পরিকল্পনা করুন। আপনি যা চান ঠিক তারসাথে জড়িত বিষয়গুলি কি কি বের করার চেষ্টা করুন। সেগুলি কতটা আছে, কতটা পাওয়া সম্ভব আগেই জেনে নিন। যা নেই এবং পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই তার ওপর ভিত্তি করে লক্ষ স্থির করতে পারেন না।
. সময় স্থির করুন
যে কোন পরিকল্পনার জন্য সময় গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয়। ১ মাসে কতটুকু, ৩ মাসে কতটুকু ৩ বছরে কতটুকু এভাবে পরিকল্পনাকে ভাগ করে নিন। যে কাজ ৩ মাসে করার কথা সেকাজ ৩ মাসেই করুন।
যে কোন পরিকল্পনার জন্য সময় গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয়। ১ মাসে কতটুকু, ৩ মাসে কতটুকু ৩ বছরে কতটুকু এভাবে পরিকল্পনাকে ভাগ করে নিন। যে কাজ ৩ মাসে করার কথা সেকাজ ৩ মাসেই করুন।
বাড়ি তৈরীর আগে পরিকল্পনা করতে হয়। তার ওপর নির্ভর করে বাড়িটি কত ভাল হবে, কি কি সুযোগসুবিধে থাকবে, কতদিন স্থায়ী হবে। ফ্রিল্যান্সিং কাজে একে উদাহরন হিসেবে ব্যবহার করুন। ৩ বছর পর আপনার অবস্থান কি হবে, ১০ বছর পর কি হবে তার ধারনা যেমন পাবেন তেমনি সেভাবে ভবিষ্যত গড়ে নেয়া সম্ভব হবে।
No comments:
Post a Comment