Saturday, July 16, 2011

SEO সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ১০ নিয়ম

যে কোন ওয়েবসাইটে ভিজিটর যাওয়ার মুল সুত্র হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন। ওয়েবসাইট যে বিষয়ে সেই বিষয়ে কেউ সার্চ করলে সার্চ রেজাল্টে সাইটটি পাওয়া যাবে, সেই রেজাল্টে ক্লিক করে ভিজিটর সাইটে যাবেন। কোন সাইট সার্চ রেজাল্টে কোথায় দেখাবে তার ওপর নির্ভর করে সেখানে ভিজিটরের পরিমান কত। সাধারনত সার্চ রেজাল্টের প্রথম পৃষ্ঠায় থাকা সাইটগুলি বেশি ভিজিটর পায়, যদিও রেজাল্টে বহুলক্ষ ফল থাকতে পারে। প্রথম পৃষ্ঠার মধ্যে যেগুলি শুরুতে থাকে তাদের ভিজিটর বেশি।
প্রথমেই প্রশ্ন হতে পারে, সার্চ ইঞ্জিন কিসের ভিত্তিতে ঠিক করে কোন সাইট শুরুতে থাকবে। ওয়েব সাইটকে সার্চ রেজাল্টের শুরুর দিকে রাখার ব্যবস্থাকে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।
সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে সাইট র‌্যাংকিং করে একেবারে নিখুতভাবে জানার উপায় নেই, এটা তাদের গোপনীয় বিষয়। এর ওপর নির্ভর করে তারা শতকোটি ডলার আয় করে। কাজের ধরন বিশ্লেষন করে কিছু পদ্ধতি অনুমান করা হয়, সেগুলি প্রয়োগ করে তার ফল দেখা হয়। এসবের ভিত্তিতে কিছু নিয়মও তৈরী করা হয়। এসইও এক্সপার্ট নিজেই একটি বড় ধরনের কারিগরী পদ।
এখানে কিছু নিয়ম উল্লেখ করা হচ্ছে যা আপনিও কাজে লাগাতে পারেন।
সার্চ ইঞ্জিনের কাজ দুভাগে ভাগ করতে পারেন, একটি সাইটি কিভাবে তৈরী (অন-পেজ), অপরটি অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিনকে প্রভাবিত করা (অফ-পেজ)।
.          আপনার সাইটের নাম (ডোমেন) এমন রাখুন যেন সাইটের বিষয়ের সাথে মিল থাকে। ভিজিটর যে শব্দ ব্যবহার করে সার্চ করবেন এমন নাম রাখার চেষ্টা করুন।
.          সাইটের বিষয়ের ভিত্তিতে একটি হিট-লিষ্ট তৈরী করুন। হিট লিষ্ট হচ্ছে ২০-২৫টি শব্দের তালিকা যেগুলি আপনার সাইটের বিষয়ের সার্থে সম্পর্কিত। এদের যে কোনটি লিখে সার্চ করলে আপনার সাইটটি পাওয়া যাবে এভাবে শব্দগুলি বাছাই করুন। এদেরকে ওয়েবপেজে ট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করুন।
.          আর্টিকেলের টাইটেল (টাইটেল ট্যাগ) এমনভাবে লিখুন যেখানে সাইটের কিওয়ার্ড থাকবে। সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন শব্দ আগে, তারপরের গুরুত্বপুর্ন শব্দ এরপর এভাবে পরপর ব্যবহার করুন। গুরুত্বপুর্ন শব্দ আগে থাকা জরুরী। এসইওর সাধারন নিয়ম হচ্ছে ৭০ অক্ষরের মধ্যে টাইটেল লেখা।
.          ওয়েবসাইটে আকর্ষনীয় বিষয় রাখুন। সার্চইঞ্জিন শুধুমাত্র টাইটেল কিংবা কিওয়ার্ড দেখে না, প্রতিটি পেজের লেখা পড়ে দেখে। সেখান থেকে ভাল-মন্দ, মৌলিক বিষয় ইত্যাদি বিবেচনা করে সাইটের র‌্যাংকিং ঠিক করে। টেক্সট এর মধ্যেও কিওয়ার্ডটি ব্যবহার করুন।
.          মন্তব্য লেখার যায়গা রাখুন। যত বেশি মন্তব্য লেখা হবে তত বেশি তথ্য সার্চ ইঞ্জিনে যাবে। এজন্য ওয়েবসাইটের তুলনায় ব্লগে ভিজিটর বেশি হয়।
.          ওয়েবসাইটটি যদি ব্লগ না হয় তাহলে একটি ব্লগ তৈরী করুন এবং একে মুল সাইটের ভেতরে যুক্ত করুন।
.          ব্যাকলিংক ব্যবহার করুন। অনেক সফটঅয়্যার নিজে থেকেই এটা তৈরীর সুযোগ দেয়।
.          অন্য সাইটের লিংক রাখুন, অন্য সাইটে নিজের লিংক রাখার ব্যবস্থা করুন।
.          বিভিন্ন ডিরেক্টরীতে নিজের সাইটের নাম লেখান। গুগল, ইয়াহু ইত্যাদি সাইটে গিয়ে সাইটের পরিচিতি দিন। এরফলে তাদের লিষ্টে নাম থাকবে এবং নিয়মিতভাবে সার্চ ইঞ্জিন সাইটটি পড়ে দেখবে।
.          ping-o-matic এর মত সাইটে গিয়ে সাইটের বর্ননা লিখে রেজিষ্টার করুন। এরফলে অধিকাংশ প্রধান সার্চ ইঞ্জিনগুলিতে আপনার সাইটের বর্ননা চলে যাবে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। কোন কোন সার্চ ইঞ্জিনে ফল যেতে ৬০ দিন পর্যন্ত সময় নেয়। কাজেই আপনি কতটুকু ভাল ফল পাচ্ছেন সাথেসাথে জানার সুযোগ নেই। প্রতিদিনের ভিজিটর, তাদের ব্যবহারের ধরন ইত্যাদি জানার জন্য গুগল এনালাইটিক ইনষ্টল করুন।

No comments:

Post a Comment