Thursday, September 29, 2011

ফ্রিল্যান্সিং : চাকরী ছাড়ার ৭ ধাপ

ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে আগ্রহি হয়ে একসময় সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন চাকরী ছেড়ে দেবেন। পুরোপুরি ফ্রিল্যান্সার হিসেবেই কাজ করবেন। আপনি একা নন, অনেকে সেটা করছে। কেউ চাকরী না ছেড়ে সেটা ধরে রেখেই ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অতিরিক্ত কাজ করছেন।
যদি চাকরী ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তই নিয়ে থাকেন তাহলে অন্য সবকিছুর মত এখানেও কিছু প্রস্তুতি প্রয়োজন। এমনকি সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আপনি সহজেই বিষয়গুলি যাচাই করে নিতে পারেন। এধরনের কিছু সহজ পদ্ধতি এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে।

.          নিজেকে জানুন
এটা সাধারন কথা এতটাই প্রচলিত যে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যখন নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে যাচ্ছেন তখন এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বিষয়। নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কোন বিষয়ে নিজেই কাজ সংগ্রহ করবেন, নিজেই করবেন, সেখানে কারো সহযোগিতা পাওয়া যাবে না বরং অনবরত প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে। আপনার কোন বিষয়ে সেই পরিমান দক্ষতা আছে কি-না। যদি এই মুহুর্তে না থাকে তাহলে কতদিনে, কিভাবে সেটা অর্জন করা সম্ভব হবে। আপনি কি নিজেই শুরু করবেন নাকি এই বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কারো সাথে কাজ করবেন।
.          বাজার যাচাই করুন
আপনার বর্তমান চাকরীতে যদি বাধা না থাকে তাহলে চাকরীরত অবস্থায়ই কিছু ফ্রিল্যান্স কাজ করে দেখুন। এতে বাস্তব কাজ সম্পর্কে ধারনা এবং অভিজ্ঞতা দুই পাওয়া সম্ভব হবে।
.          অর্থের নিশ্চয়তার ব্যবস্থা করুন
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরুর সাথেসাথেই সেখান থেকে সমস্ত খরচ আসতে থাকবে এটা ধরে না নেয়াই বাল। সেই সময় চলার মত অর্থ হাতে রাখুন।
.          অফিসে ভাল সম্পর্ক রাখুন
আপনি চাকরী ছেড়ে দিচ্ছেন, সাধারনত অনেক অফিস বিষয়টিকে ভালচোখে দেখে না। একে সহজভাবে নিন। এমন হতে পারে যে অফিসে চাকরী করেছেন তারাই আপনার ক্লায়েন্ট হিসেবে আপনার কাছে কাজ করাবে।
.          সঠিক নিয়ম মেনে চলুন
যেখানে চাকরী করছেন তাদের সঠিক তথ্য দিয়ে তবেই চাকরী ছাড়ুন। চাকরী ছেড়ে দিরাম, একথা বলে হঠাত করে চাকরী ছাড়া যায় না। আপনার যেমন প্রস্তুতি প্রয়োজন তেমনি অফিসেরও নতুন কাউকে নিয়োগ দিতে প্রস্তুতি প্রয়োজন।
.          আগেই যোগাযোগ শুরু করুন
চাকরী করা অবস্থায় আপনার একধরনের পরিচিতি তৈরী হয়েছে, বিভিন্ন অফিসে, বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করতে হয় অফিসের পরিচিতিতে। আপনি কি করতে যাচ্ছেন সেকথা তাদের জানিয়ে দিন। তারা বা তাদের পরিচিতজন আপনার ক্লায়েন্ট হতে পারে সহজেই।
.          নিজের কাজ নিজে করুন
ওপরের সবগুলি কাজ করার পর আপনি ফ্রিল্যান্সার। আপনার সমস্ত কাজ আপনার নিজেকেই করতে হবে। শুরুতেই একটা ওয়েবসাইট তৈরী করুন, সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে তার পরিচিতি বাড়ান। এবং অবশ্যই ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে কাজের চেষ্টা করুন।
চাকরীর সুবিধে হচ্ছে আপনি মাস গেলে বেতন পাবেন, কোন কাজ করা প্রয়োজন না হলেও। অসুবিধে, নিয়মের অতিরিক্ত অর্থ হাতে পাবেন না। ফ্রিল্যান্সিংএ কাজ নেই আয় নেই, আর কাজ করলে আয়ের সীমানা নেই। একেক জনের জন্য একেকটি মানানসই।
যাই করুন না কেন আপনার জন্য মানানসই কিনা সেটা নিশ্চিত হয়ে নিন।

1 comment: