Sunday, December 4, 2011

ফ্রিল্যান্সিং কাজে ফেসবুক-টুইটার কতটা সহায়ক

বাংলা-টিউটর সাইটে বেশ কয়েকটি লেখায় ফ্রিল্যান্সিং কাজে সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে প্রচার বাড়ানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবে ফ্রিল্যান্সারের মধ্যে ভাগ রয়েছে অনেক। নতুন শুরু করা কিংবা অনেকদিনের অভিজ্ঞ, পার্টটাইম কিংবা ফুলটাইম। বয়সও একটি গুরুত্বপুর্ন বিষয়। সোস্যাল মিডিয়ায় সাধারনত একজন তরুনের সাথে আরেক তরুনেরই যোগাযোগ তৈরী হওয়ার কথা, একজন ব্যবসায়ীর সাথে আরেক ব্যবসায়ীর। এসব বাস্তবতা বিবেচনা করে কারজন্য সোস্যাল মিডিয়া কতটুকু কার্যকর, কতটুকু ভাল কতটুকু মন্দ উল্লেখ করা হচ্ছে এখানে।
.          নতুন ফ্রিল্যান্সারের জন্য সোস্যাল মিডিয়া
ফ্রিল্যান্সিং সবেমাত্র শুরু করলে আপনাকে অনেকটা সময় ব্যয় করতে হয় ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি বুঝতে। কিভাবে বিড করা সুবিধেজনক, কোন ধরনের ভাষা ব্যবহার করতে হয়, কোন কথাগুলি এড়িয়ে যেতে হয় ইত্যাদি তো বটেই সেইসাথে নির্দিষ্ট বিষয়ের দক্ষতা ঝালাই করার বিষয়টিও থাকে। এরসাথে যদি নিয়মিতভাবে ফেসবুক-টুইটার কিংবা গুগল+ আপডেট করতে হয় তাহলে এদিকেও অনেকটা সময় ব্যয় করতে হয়। সেকারনে নতুন ফ্রিল্যান্সারের জন্য সোস্যাল মিডিয়া খুব সুবিধেজনক হয় না।
.          প্রচারের জন্য অভিজ্ঞতা প্রয়োজন
আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন যে কোন বিজ্ঞাপনের সাধারন ভাষা, আমরা অত বছরের অভিজ্ঞ, কিংবা আমরাই প্রথম। প্রথম হওয়ার অর্থ তাদের অভিজ্ঞতা অন্য সকলের চেয়ে বেশি। আপনি যদি সোস্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রচারের চেষ্টা করেন সেক্ষেত্রেও অভিজ্ঞতার বিষয়টি চলে আসে। সেদিক থেকেও যথেষ্ট অভিজ্ঞতার জন্য অপেক্ষা করা ভাল।
.          বন্ধুত্বের ধরন গুরুত্বপুর্ন
ছাত্রাবস্থায় যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন তাদের সাথে বন্ধুত্ব হবে আরেক ছাত্রের। আপনি যখন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তখন আপনার লক্ষ ক্লায়েন্ট। এমন কেউ যারকাছে কাজ পাওয়া যাবে। আপনি নিশ্চয়ই আরেক ছাত্রের কাছে কাজ আশা করেন না। সেকারনেও সোস্যাল মিডিয়া নবীনদের জন্য উপকারে আসে না।
.          কোম্পানী হিসেবে পরিচিতি গুরুত্বপুর্ন
আপনি শখ করে যখন সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন তখন আপনার পরিচিতি ব্যক্তি হিসেবে। যখন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবেন তখন আপনি প্রতিস্ঠান। কেবলমাত্র প্রতিস্ঠান হিসেবে পরিচিতি গড়ে তুলতে পারলে আপনি তাকে ফ্রিল্যান্সিং কাজে লাভজনকভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
এই বিষয়গুলিকে যদি বিপরীতভাবে দেখেন তাহলে বক্তব্য স্পষ্ট, আপনার অভিজ্ঞতা যত বেশি সোস্যাল মিডিয়া থেকে সুবিধে পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।
যদি আগে থেকে ফেসবুক-টুইটার ব্যবহার করে থাকেন তাহলে বরং তাকেই ব্যবসায়িক দৃষ্টিতে পরিবর্তণ আনার চেষ্টা করতে পারেন। বন্ধুত্ব অবশ্যই গুরুত্বপুর্ন কিন্তু ব্যবসা এবং বন্ধুত্ব দুটিকে গুলিয়ে না ফেলাই ভাল।
আপনার ভিন্নমত থাকলে মন্তব্য লিখে জানাতে পারেন।

1 comment:

  1. I like your writting very much. Thanks for this post.

    ReplyDelete