অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সার বাড়িতে বসে কাজ করেন। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন কারনে মনোসংযোগে বিঘ্ন ঘটে। বাড়িং কলিং বেল বাজা, টেলিফোন রিসিভ করা, অন্যদের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়া সবকিছুই কাজের ক্ষতি করে। অথচ সময়মত ভালভাবে কাজ করার জন্য এগুলি থেকে দুরে থাকা গুরুত্বপুর্ন।
বাড়িতে বসে কাজ করার সময় এই বিষয়গুলি এড়ানো যায় না। বরং এমনভাবে মানিয়ে নিতে হয় বা নিজেকে প্রস্তুত করতে হয় যেখানে অন্য সবকিছুর মধ্যেও নিজের কাজ ঠিক থাকে।
এধরনের কিছু পদ্ধতি এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে।
. সময়ের হিসেব রাখুন
সময় বাচানোর জন্য বেশকিছু সফটঅয়্যার পাওয়া যায়। সেখানে আপনি হিসেব করতে পারেন কোন কাজে কতটা সময় ব্যয় হল। Rescue Time, Freedom এধরনের দুটি সফটঅয়্যার। যদি সফটঅয়্যার ব্যবহার নাও করেন, নিজের পছন্দমত পদ্ধতিতে সময়ের হিসেব রাখতে পারেন। খুব সহজ পদ্ধতি হচ্ছে কোন কাজের জন্য আগেই সময় ঠিক করে নেয়া। উদাহরন হিসেবে আপনার যদি দুঘন্টা কাজ করার কথা থাকে এবং এর মাঝখানে আধঘন্টা কোন কারনে অপচয় হয় তাহলে অতিরিক্ত আধঘন্টা কাজ করে সেটা পুরন করা।
সময় বাচানোর জন্য বেশকিছু সফটঅয়্যার পাওয়া যায়। সেখানে আপনি হিসেব করতে পারেন কোন কাজে কতটা সময় ব্যয় হল। Rescue Time, Freedom এধরনের দুটি সফটঅয়্যার। যদি সফটঅয়্যার ব্যবহার নাও করেন, নিজের পছন্দমত পদ্ধতিতে সময়ের হিসেব রাখতে পারেন। খুব সহজ পদ্ধতি হচ্ছে কোন কাজের জন্য আগেই সময় ঠিক করে নেয়া। উদাহরন হিসেবে আপনার যদি দুঘন্টা কাজ করার কথা থাকে এবং এর মাঝখানে আধঘন্টা কোন কারনে অপচয় হয় তাহলে অতিরিক্ত আধঘন্টা কাজ করে সেটা পুরন করা।
. অফিসের মত নিয়ম মানা
আপনাকে কাজের জন্য সবসময় কেউ তাগাদা দিচ্ছে না একারনে কাজে দেরী করতে পারেন। একজন ফ্রিল্যান্সার যত নিয়মমাফিক কাজ করেন তার ভাল করার সুযোগ তত বেশি, কাজ তত সহজে করা যায়্ নিজের কাজকে অফিসের সময়ের সাথে তুলনা করে এই সুবিধে পেতে পারেন। আগেই ঠিক করে নিন দিনের কোন সময় কতক্ষন কাজ করবেন, সেটা মেনে চলতে চেষ্টা করুন।
আপনাকে কাজের জন্য সবসময় কেউ তাগাদা দিচ্ছে না একারনে কাজে দেরী করতে পারেন। একজন ফ্রিল্যান্সার যত নিয়মমাফিক কাজ করেন তার ভাল করার সুযোগ তত বেশি, কাজ তত সহজে করা যায়্ নিজের কাজকে অফিসের সময়ের সাথে তুলনা করে এই সুবিধে পেতে পারেন। আগেই ঠিক করে নিন দিনের কোন সময় কতক্ষন কাজ করবেন, সেটা মেনে চলতে চেষ্টা করুন।
. স্পষ্টভাবে অন্যদের জানিয়ে দিন
ফ্রিল্যান্সার যখন বাড়িতে বসে কাজ করেন তখন অন্যেরা অনেকসময়ই ধরে নেন তারসাথে কথা বললে সমস্যা নেই। তাদেরকে স্পষ্ট করে বলে দিন কাজের সময় কোন ধরনের আলাপ করা যাবে না।
ফ্রিল্যান্সার যখন বাড়িতে বসে কাজ করেন তখন অন্যেরা অনেকসময়ই ধরে নেন তারসাথে কথা বললে সমস্যা নেই। তাদেরকে স্পষ্ট করে বলে দিন কাজের সময় কোন ধরনের আলাপ করা যাবে না।
. প্রয়োজন যাচাই করুন
প্রবাদ রয়েছে সব আবিস্কারের জনক প্রয়োজন। আপনার কি প্রয়োজন সেটা হিসেব করুন। আপনার বাড়িভাড়া দেয়া প্রয়োজন, সেই অর্থ উপার্জন করতে হবে, সেজন্য কাজ করতে হবে। সেটা কারো সাথে আলাপ করা, এমনকি ভদ্রতা রক্ষার চেয়েও বেশি গুরুত্বপুর্ন।
প্রবাদ রয়েছে সব আবিস্কারের জনক প্রয়োজন। আপনার কি প্রয়োজন সেটা হিসেব করুন। আপনার বাড়িভাড়া দেয়া প্রয়োজন, সেই অর্থ উপার্জন করতে হবে, সেজন্য কাজ করতে হবে। সেটা কারো সাথে আলাপ করা, এমনকি ভদ্রতা রক্ষার চেয়েও বেশি গুরুত্বপুর্ন।
. কাজের এবং অন্য কাজের কম্পিউটার আলাদা রাখুন
অনেককেই বিনোদন সহ অন্যান্য কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে হয়। কাজের জন্য এক কম্পিউটার এবং খেলা, ভিডিও দেখা, গান শোনা ইত্যাদির জন্য পৃথক কম্পিউটার রাখুন। যখন কাজের কম্পিউটারের সামনে বসবেন তখন শুধুমাত্র কাজের কথাই ভাববেন।
অনেককেই বিনোদন সহ অন্যান্য কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে হয়। কাজের জন্য এক কম্পিউটার এবং খেলা, ভিডিও দেখা, গান শোনা ইত্যাদির জন্য পৃথক কম্পিউটার রাখুন। যখন কাজের কম্পিউটারের সামনে বসবেন তখন শুধুমাত্র কাজের কথাই ভাববেন।
. অপ্রয়োজনীয় সবকিছু বন্ধ রাখুন
অনেক কিছু বন্ধ রেখে কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। মোবাইল ফোন সবচেয়ে বড় উদাহরন। কাজের সময় সেটা বন্ধ রাখুন, কারো প্রয়োজন হলে তাকে মেসেজ পাঠাতে বলুন। নিজের সুবিধেজনক সময়ে মেসেজ দেখে নিতে পারবেন।
অনেক কিছু বন্ধ রেখে কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। মোবাইল ফোন সবচেয়ে বড় উদাহরন। কাজের সময় সেটা বন্ধ রাখুন, কারো প্রয়োজন হলে তাকে মেসেজ পাঠাতে বলুন। নিজের সুবিধেজনক সময়ে মেসেজ দেখে নিতে পারবেন।
. একসাথে বিভিন্ন কাজ করা থেকে দুরে থাকুন
কেউ কেউ একই সময়ে বহু কাজের হিসেব রাখতে পারেন, সবগুলি নিখুতভাবে করতে পারেন। অনেকেরই সেটা সম্ভব হয় না। আপনার জন্য যদি একটিমাত্র কাজে মনোযোগ দেয়া গুরুত্বপুর্ন হয় তাহলে শুধুমাত্র সেকাজ নিয়েই ভাবুন। এককাজ শেষ করে আরেক কাজের কথা ভাবুন।
কেউ কেউ একই সময়ে বহু কাজের হিসেব রাখতে পারেন, সবগুলি নিখুতভাবে করতে পারেন। অনেকেরই সেটা সম্ভব হয় না। আপনার জন্য যদি একটিমাত্র কাজে মনোযোগ দেয়া গুরুত্বপুর্ন হয় তাহলে শুধুমাত্র সেকাজ নিয়েই ভাবুন। এককাজ শেষ করে আরেক কাজের কথা ভাবুন।
. কাজের হিসেব রাখুন
আপনাকে কি কি কাজ করতে হবে, কোন কাজ কখন করবেন এগুলি লিখে রাখুন।
আপনাকে কি কি কাজ করতে হবে, কোন কাজ কখন করবেন এগুলি লিখে রাখুন।
. সুস্থ থাকুন
কাজ করার জন্য সুস্থ থাকা জরুরী। সুস্থ থাকার জন্য খাবারের নিয়ম মানা থেকে শুরু করে সময়মত ঘুম, বিশ্রাম, কিছুটা ব্যায়াম সবকিছুই প্রয়োজন। সেদিকে দৃষ্টি রাখুন।
কাজ করার জন্য সুস্থ থাকা জরুরী। সুস্থ থাকার জন্য খাবারের নিয়ম মানা থেকে শুরু করে সময়মত ঘুম, বিশ্রাম, কিছুটা ব্যায়াম সবকিছুই প্রয়োজন। সেদিকে দৃষ্টি রাখুন।
কাজে মনোনিবেশ করা, সময়ের কাজ সময়ে শেষ করা, সঠিক নিয়মে করা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে মানুষ বহুকাল ধরেই গবেষনা করছে। এছাড়াও নিজস্ব পরিবেশ, সমাজ, পরিস্থিতি, কাজের ধরন, অভিজ্ঞতার কারনে নিজে থেকেও নানা ধরনের পদ্ধতি তৈরী করে নেয়া সম্ভব।
যেভাবেই হোক না কেন, সবকিছু বিবেচনা করে নির্দিস্ট একটি রুটিন তৈরী করুন এবং সেই নিয়মে চলতে চেষ্টা করুন। বলা হয় অনিয়মেরও একটি নিয়ম আছে। কথাটি কাজে ব্যবহার করুন।
No comments:
Post a Comment