Friday, June 3, 2011

Freelancing: যে কারনে ফ্রিল্যান্সার হতাস হন

কেউ যখন ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করেন তখন বিপুল উসাহ নিয়েই শুরু করেন। আবার এই কাজ থেকে সরে যাওয়ার ঘটনাও একেবারে সাধারন। কখনো বাজারের প্রতিযোগিতার কারনে, কখনো ক্রমপরিবর্তশীল প্রযুক্তির কারনে কখনো সবকিছু ঠিক থাকা, সময়মত অর্থ হাতে পাওয়ার পরও। বিষয়টি আরেকটু ভালভাবে দেখা যাক।
মানুষ নিরাশ হয় অনেকগুলি কারনে। অনেকে নিরাশ হন সত্যিকারের ফ্রিল্যান্সিং কি সেটা বোঝার আগেই। ফ্রিল্যান্সিং কাজেই বেশি সময় ব্যয় করতে হবে না, অতিরিক্ত কিছু আয় করা যাবে এটাই হয়ত ধরে নেন। অবশ্য এটাও ঠিক, ফ্রিল্যান্সার যদি কাজে বিরতি দেন, সময় নিয়ে ভালভাবে খোজখবর নিয়ে আবারও শুরু করে সেটা একেবারে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। অনেকে ফ্রিল্যান্সিং কাজের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেন। তাদের বিষয়ই উল্লেখ করা হচ্ছে এখানে।
বাইরের কারন;
.          সমালোচনা : কাজের কোন এক পর্যায়ে প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সার সমালোচনার মুখোমুখি হবেন। কখনো কখনো সেটা সহনযোগ্য পর্যায়ে থাকতে পারে কখনো কটুভাষার সমালোচনা হতে পারে। সেই সমালোচনা তার প্রাপ্য কি-না সেটা বিবেচ্য না, এটা ঘটে। এবিষয়ে এটুকুই মন্তব্য করা যায়, এজন্য বিশেষ দুএকজন ক্লায়েন্ট দতায়ী। পুরো ফ্রিল্যান্সিং ব্যবস্থাকে একারনে দায়ী  করা যায় না।
.          ব্যক্তিগত কারন : পারিবারিক, সামাজিক কারন শেকে শুরু করে নানাবিধ পরিস্থিতির কারনে কেউ ফ্রিল্যান্সিং কাজ থেকে সরে যেতে পারেন। মানুষ সমাজে বাস করে। কাজেই সমাজের এমন ভুমিকা থাকা প্রয়োজন যা ব্যক্তিকে কাজে সহায়তা করে, উতসাহ দেয়। এমন পরিস্থিতি হলে যারা ভাল পরামর্শ দিতে পারেন তাদের সাথে যোগাযোগ বাড়ানোই উত্তম।
.          স্বাস্থগত কারন : শারীরক অসুস্থতার কারনে ফ্রিল্যান্সিং কাজ থেকে সরে যেতে হতে পারে। যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করেন তাদের অনেক সময়ই সাধারন নিয়মের বাইরে কাজ করতে হয়, ফলে স্বাস্থ্যগত ঝুকির সম্ভাবনা বাড়ে। এক্ষেত্রে আগে থেকে সচেতন থাকার বিকল্প নেই।
.          অতিরিক্ত যোগাযোগ : বেশি কাজ মানেই বেশি অর্থ এই নিয়মে প্রতিটি কাজের জন্য যোগাযোগ করলে একসময় এক কাজের সাথে আরেক কাজ জট পাকিয়ে যেতে পারে। ভালভাবে ভেবেচিন্তে যোগাযোগ করা এবং সেগুলির তথ্য ঠিকভাবে  রেখে এই সমস্যা এড়ানো যেতে পারে।
.          ভুল উপদেশ : ফ্রিল্যান্সিং কাজের পরিধি যেমন ব্যাপক সে বিষয়ে তথ্যও বিপুল। সব তথ্যই সকলের জন্য কার্যকর হবে এমন কথা নেই। অন্ধভাবে আরেকজনকে অনুকরন করতে গিয়ে নিজের সমস্যা ডেকে আনার পরিস্থিতি হতে পারে। যত বেশি সম্ভব সব ধরনের উপদেশ দেখে কোনগুলি প্রয়োগযোগ্য সেটা বাছাই করে এই সমস্যার বাইরে থাকতে পারেন।

আভ্যন্তরীন কারন
.          নিখুত কাজের চেষ্টা : ফ্রিল্যান্সার যদি এমন কাজ করতে চান যা শৈল্পিক পর্যায়ের তাহলে একসময় নিরাশ হতে পারেন। ক্লায়েন্ট হয়ত তেমন কিছু চান না। কাজটি ক্লায়েন্টে, তিনি যা চান সেটাই করা হবে এমন ধরে নিয়ে এই সমস্যা এড়াতে পারেন।
.          নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করা : প্রতিযোগিতা থেকে শিখবেন সেটাই স্বাভাবিক কিন্ত্র অতিমাত্রার প্রতিযোগিতা নিজের আস্থা কমাতে পারে। আরেকজন যতটা দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারেন সেটা হয়ত আপনি পারেন না। কারো দক্ষতা বেশি, কারো কম এটা ম্বিকার করে নেয়াই ভাল।
.          নেতিবাচক মনোভাব : প্রতিটি ফ্রিল্যান্সারের প্রথম করনীয় কাজকে সম্ভাবনাময় করে দেখা। যত উতসাহ নিয়ে কাজ করা যায় কাজ তত সহজ হয়, সাফল্য তত বেশি পাওয়া যায়।
.          বাস্তবতা না বোঝা : কতটা সম্ভব কতটা সম্ভব না সেটা না বুঝে কাজ করে অনেকে একসময় নিরাশ হয়ে পরেন। আপনি কতটুকু কাজ করতে পারেন, কতটুকু শিখতে পারেন, কত আয় করতে পারেন এই বিষয়গুলি বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে নেয়া প্রয়োজন। কোন কাজ করতে কতটুকু সময় লাগবে, আদৌ সেটা সম্ভব কি-না এধরনের প্রশ্ন করে কাজ শুরু করে এই বিষয় এড়ানো সম্ভব।

নিরাশ হলে আপনি কি করবেন ? অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সার নিজে থেকেই সমাধান বের করে নিতে পারেন। যদি সেটা সম্ভব না হয় কারো সাথে আরোচনা করতে পারেন। সরাসরি হোক অথবা ইন্টারনেটে ফোরামের মাধ্যমে হোক, উসাহ পাওয়ার জন্য আলোচনা খুবই উপকারী।

No comments:

Post a Comment