Friday, July 22, 2011

কিভাবে নিজের ষ্টাইলে আর্টিকেল/ব্লগপোষ্ট লিখবেন

ফ্রিল্যান্সারদের একটি বড় অংশ কাজ করেন কপিরাইটার বা ঘোষ্ট রাইটার হিসেবে। বিভিন্ন ব্লগের জন্য আর্টিকেল, রিভিউ ইত্যাদি লেখেন। একাজে নিজের নাম ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন হচ্ছে নিজের লেখার ষ্টাইল তৈরী করা। বিখ্যাত লেখকদের কতা যদি বিবেচনায় আনেন, রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন রবীন্দ্রনাথের মত, নজরুল লিখেছেন নজরুলের মত। শিল্পীরা যখন তখনও একই কথা, সুলতান একেছেন সুলতানের মত, কামরুল কামরুলের মত।
কিছু বিষয় লক্ষ করে আপনি নিজের লেখার ষ্টাইল জেনে নিতে পারেন, তাকে বিশেষ ধরন দিতে পারেন এবং মান উন্নত করতে পারেন।
.          নিজের বৈশিষ্ট লক্ষ্য করুন
অন্যরা আপনাকে কোন দৃষ্টিতে দেখেন সেটা নিজে যাচাই করার কাজ কঠিন। বলা হয় কেউই নিজের ত্রুটি নিজে দেখতে পায় না যা অন্যরা সহজেই দেখে।
ঘনিষ্ঠ কাউকে বেছে নিন যে সত্য বলবে। তারসাথে আলাপ করুন, ভাল-মন্দ দিক কি জিজ্ঞেস করুন। তারসাথে কথা বলার সময় তার বলার ধরন, বিভিন্ন বৈশিষ্ট লক্ষ্য করুন এবং সেইসাথে নিজের বৈশিষ্টগুলি যাচাই করুন।
আপনার কোন বিষয়গুলি ভাল, কোনগুলি মন্দ সেগুলি লিখে নিন।
.          নিজের সাথে কথা বলুন
যদি অন্যের সাথে কথা বলতে না চান নিজের সাথে কথা বলুন। আয়নার সামনে দাড়িয়ে অথবা ভিডিও ক্যামেরার সামনে দাড়িয়ে আপনি কি করতে চান, কিভাবে করতে চান সেকথা বলুন। অথবা কাগজে লিখুন।
নিজের লক্ষ ঠিক করার জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন পদ্ধতি। একবার নিজের লক্ষ ঠিক করলে যখন লিখতে বসবেন লেখা অনেক সহজ এবং নির্দিষ্ট হবে।
.          নিজেকে শিল্পী হিসেবে ব্যবহার করুন
একবার নিজের ভাল দিক মন্দ দিক জানার পর কাজের সময় সেগুলি মনে রাখুন। নিজেকে শিল্পী হিসেবে কল্পনা করুন। একজন শিল্পী বাস্তবতাকেই ফুটিয়ে তোলেন ছবিতে।
.          লেখায় বক্তব্য তুলে ধরুন
আপনি যে বিষয় নিয়েই লিখুন না কেন, তার বক্তব্য কি, উদ্দেশ্য কি সেটা নিয়ে ভাবুন এবং সেগুলি তুলে ধরুন। প্রতিটি বিষয়েরই নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্য থাকে, মুল বক্তব্য থাকে। এরই মাধ্যমে লেখক পাঠকের সাথে যোগাযোগ করেন।
.          গল্পের মত লিখুন
আপনি হয়ত টেকনিকাল বিষয় নিয়ে লিখছেন। আপনি অনায়াসে তাকে অন্যদের থেকে পৃথক করতে পারেন তাকে গল্পের মত আকর্ষনীয় করে। মানুষ গল্প পছন্দ করে, সেটা বই, মুভি, গান যাই হোক না কেন। এদের বৈশিষ্ট কি জানুন। গল্পের শুরু থাকে, মধ্যম অংশ থাকে, শেষ থাকে। এক যায়গা এমনভাবে লেখা হয় যেন পরের অংশ নিয়ে আগ্রহ জন্মে। শেষ কি জানার ইচ্ছে হয়। লেখার সময় এই নিয়ম মেনে লিখুন।
.          মন থেকে লিখুন
লেখা পড়ে কি পাঠক বোঝেন লেখক যে কথাগুলি লিখেছেন সেগুলি মন থেকে লিখেছেন নাকি দায়িত্বপালন করেছেন। এরই ওপর লেখকের সফলতা নির্ভর করে। যে বিষয় নিয়ে লিখবেন সেই বিষয় যদি আপনার পছন্দ না হয় তার প্রভাব লেখায় দেখা যাবে। সেক্ষেত্রে বরং এমন বিষয় বেছে নিন যা আপনি ভালবাসেন।
.          অনিশ্চিত বক্তব্য রাখুন
কথাটা শুনে অবাক হতে পারেন। তোন গল্প পড়ার সময় যদি পাঠক শুরুতেই বুঝে নেন শেষে কি হবে তারকাছে সেই গল্প আকর্ষনীয় মনে হয় না। বরং কি হতে পারে এই চিন্তা যখন কাজ করে তখন তিনি আরো পড়ে জানার চেষ্টা করেন। বিখ্যাত উপন্যাস কিংবা মুভির ক্ষেত্রেও এই নিয়ম মেনে চলা হয়। এমন কিছু ঘটে যা প্রত্যাসার বাইরে। আপনিও এই রীতি মেনে লিখুন
একেবারে নতুন কোন তত্ত্ব এখানে দেয়া হয়নি। কপিরাইট বলুন আর গল্পউপন্যাস লেখাই বলুন, কিংবা অন্য কোন কাজে নিজের উন্নতির কথাই বলুন, সবখানে এই মুল বক্তব্যগুলি পাওয়া যাবে। আপনি কাজে লাগিয়ে দেখুন।

1 comment: