কম্পিউটারের নষ্ট হার্ডডিস্ক পরিবর্তন করা কিংবা আগেরটির বদলে নতুন হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা অথবা আগেরটির সাথে নতুন আরেকটি যোগ করে ধারনক্ষমতা বাড়ানো এসকল কারনে আপনার হাডর্ডিস্ক লাগানো প্রয়োজন। হার্ডডিস্ক আকারে সিডিরম-ডিভিডিরমের তুলনায় আকারে ছোট এবং সিডি-ডিভিডির মত বাইরে না লাগিয়ে একে ভেতরে লাগানো হয়। এই পার্থক্য ছাড়া কানেকশন দেয়ার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। একই ধরনের পাওয়ার এবং ডাটা কেবল (আইডিই অথবা সাটা) ব্যবহার করতে হয়। এজন্য সিডি-ডিভিডি লাগানোর পদ্ধতি দেখে নিন।
হার্ডডিস্কের একটি বড় পার্থক্য এতে অপারেটিং সিষ্টেম সহ সফটঅয়্যারগুলি ইনষ্টল করা থাকে। কাজেই নতুন হার্ডডিস্ক ইনষ্টল করার অর্থ সেইসাথে অপারেটিং সিষ্টেম ইনষ্টল করা বুঝায়। সেইসাথে পার্টিশন করাও হার্ডডিস্ক ইনষ্টল করার অংশ।
পার্টিশন হচ্ছে মুল হার্ডডিস্কের লজিকাল ভাগ করে নেয়া। যেমন ৫০০ গিগাবাইটের হার্ডডিস্ককে তিনটি ভাগে ভাগ করে ১০০, ২০০ এবং ২০০ মেগাবাইট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। প্রথম পার্টিশন সবসময়ই সি (c), পরের দুটি ডি (D) এবং ই (E) হতে পারে।
ইনষ্টল করার আগে পার্টিশন কতগুলি করবেন, কোনটি কত মাপের হবে ঠিক করে নিন। যদিও সফটঅয়্যার ব্যবহার করে (পার্টিশান ম্যানেজার) পরবর্তীতে পরিবর্তন করা যায় তাহলেও আগে করে নেয়াই ভাল। পরবর্তীতে পরিবর্তনের জন্য আগের সমস্ত ডাটা মুছে দিতে হবে।
পার্টিশনের সাধারন নিয়ম হচ্ছে প্রথম পার্টিশনে অপারেটিং সিষ্টেম, যে সফটঅয়্যারগুলি ইনষ্টল করা হবে এবং উইন্ডোজের ভার্চুয়াল মেমোরী হিসেবে (সোয়াপ স্পেস) ব্যবহারের মত যথেষ্ট যায়গা রাখবেন। যায়গা কম থাকলে কম্পিউটার ধীরগতিতে কাজ করবে।
বর্তমানে ব্যবহারকারী সবচেয়ে পুরনো অপারেটিং সিষ্টেম হিসেবে ব্যবহার করেন এক্সপি। এছাড়া ভিসতা কিংবা উইন্ডোজ ৭। অপারেটিং সিষ্টেম ইনষ্টল করার সময় ইনষ্টলারের ভেতর থেকে পার্টিশন তৈরী, ফরম্যাট ইত্যাদি করা যায়।
ধরে নেয়া হচ্ছে আগের পদ্ধতি অনুসর করে আপনি হার্ডডিস্ক সংযোগ দিয়েছেন। এখন অপারেটিং সিষ্টেম ইনষ্টল করবেন। কাজটি করার পদ্ধতি জেনে নিন। এখানে এক্সপি ইনষ্টল করার পদ্ধতি উল্লেখ করা হচ্ছে।
. আপনাকে কম্পিউটার চালু করতে হবে সিডি-ডিভিডি থেকে। ড্রাইভে বুটেবল এক্সপি ডিস্ক ঢুকিয়ে কম্পিউটার চালু করুন। আপনাকে জিজ্ঞেস করা হবে ডিস্ক থেকে চালু করবেন কিনা। কিবোর্ডে চাপ দিয়ে সেটা করুন। যদি না করে তাহলে সিমোস-সেটআপ মেনুতে ঢুকে ডিস্ক থেকে বুট করার অপশন সিলেক্ট করুন।
. ডিস্ক থেকে বুট হওয়ার পর প্রয়োজনীয় ফাইলগুলি লোড হবে। আগের উইন্ডোজ থাকলে সেটা ঠিক করবেন কিনা জিজ্ঞেস করবে। এখানে এন্টার চাপ দিন।
. উইন্ডোজের শর্তগুলি লেখা আসবে। এতে সম্মতি দেয়ার জন্য F8 চাপ দিন।
. পার্টিশন তৈরীর মেনু পাবেন। আপনি পুরো হার্ডডিস্ককে একটি পার্টিশন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন অথবা ভাগ করে নিতে পারেন। (অথবা আগেই পার্টিশন করা থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন না করে আগের পার্টিশন ব্যবহার করতে পারেন, এছাড়া আগের পার্টিশন মুছে দিতে পারেন)।
মেনু থেকে নির্দিষ্ট অপশন সিলেক্ট করে এন্টার চাপুন। পার্টিশন তৈরীর সময় পার্টিশনের মাপ (মেগাবাইট) টাইপ করে দিন।
উইন্ডোজে দুধরনের ফাইল সিষ্টেম ব্যবহার করা যায়। FAT32 এবং NTFS, FAT32 ব্যবহার করলে পার্টিশনটি আগের ভার্শন (উইন্ডোজ ৯৫ বা ৯৮) থেকে ব্যবহার করা যাবে, NTFS ব্যবহার করলে পুরনো ভার্শন উইন্ডোজ ব্যবহার করতে পারবে না।
মেনু থেকে নির্দিষ্ট অপশন সিলেক্ট করে এন্টার চাপুন। পার্টিশন তৈরীর সময় পার্টিশনের মাপ (মেগাবাইট) টাইপ করে দিন।
উইন্ডোজে দুধরনের ফাইল সিষ্টেম ব্যবহার করা যায়। FAT32 এবং NTFS, FAT32 ব্যবহার করলে পার্টিশনটি আগের ভার্শন (উইন্ডোজ ৯৫ বা ৯৮) থেকে ব্যবহার করা যাবে, NTFS ব্যবহার করলে পুরনো ভার্শন উইন্ডোজ ব্যবহার করতে পারবে না।
. সেট-আপ প্রয়োজনীয় ফাইলগুলি কপি করবে। কপি করা শেষ হলে কম্পিউটার রিষ্টার্ট হবে এবং উইন্ডোজ ইন্টারফেসের ভেতর থেকে পরবর্তী কাজ করবে। এই পর্যায়ে আপনার কিছু করা প্রয়োজন নেই।
. এক পর্যায়ে কাষ্টমাইজ, লোকেশন সেটিং ইত্যাদি করতে বলবে। একাজগুলি পরেও পরিবর্তন করা যায়, কাজেই আপাতত পরবর্তী ধাপে যান।
. এক পর্যায়ে আপনার নাম এবং প্রতিস্ঠানের নাম জিজ্ঞেস করবে। সেগুলি টাইপ করে দিন।
. কম্পিউটারের নাম এবং এডমিনিষ্ট্রেটর পাশওয়ার্ড দিতে বলবে। কম্পিউটারের নাম দিন। ইচ্ছে করলে পাশওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রতিবার পাশওয়ার্ড ব্যবহার করে উইন্ডোজ চালু করতে হবে। পাশওয়ার্ড ব্যবহার না করতে চাইলে যায়গাটি ফাকা রাখুন।
. দিন, সময়, টাইম জোন ইত্যাদি ঠিক করতে বলা হবে। ঠিক করে নিন অথবা পরবর্তীতে পরিবর্তনের জন্য পরবর্তী ধাপে যান।
. নেটওয়ার্ক কম্পোনেন্ট ইনষ্টল উইন্ডোতে পরের ধাপে যান (পরে করা যাবে)। মুলত এরপর যে কোন পরিবর্তনকেই এড়িয়ে পরের ধাপে যান। একসময় আবারো রিষ্টার্ট হবে।
. ব্যবহারকারীর নাম টাইপ করুন
এক্সপি ইনষ্টল করার কাজ এটুকুই। নাম টাইপ করে নেক্সট বাটনে ক্লিক করলে উইন্ডোজ চালু হবে। এরপর বিভিন্ন ডিভাইসের ড্রাইভার ইনষ্টল করা, উইন্ডোজ কাষ্টমাইজ করা এবং অন্যান্য সফটঅয়্যার ইনষ্টল করার কাজ করে নিতে পারেন।
No comments:
Post a Comment