একসময় ভিডিও ক্যামেরা বলতে বুঝাতো ভিডিও টেপ। সাধারন ব্যবহারের জন্য ভিএইচএস, পেশাদারি কাজের জন্য বেটাক্যাম। বর্তমানে অধিকাংশ যায়গায় টেপের ব্যবহার কমে গেছে, অনেক ক্যামেরা নির্মাতা টেপভিত্তিক ক্যামেরা তৈরী বন্ধ করে দিয়েছে। সে যায়গা দখল করেছে ফ্লাশ মেমোরী, মেমোরী কার্ড, হার্ডডিস্ক, ডিভিডি সহ নানারকম মিডিয়া। এদের কোনটির সুবিধে কি, অসুবিধাই বা কি। আপনি ক্যামেরা কেনার সময় কোনটি পছন্দ করবেন। এ নিয়েই এই লেখা।
. মেমোরীভিত্তিক ক্যামেরা আগামী দিনের ক্যামেরা
আপনি পছন্দ করুন বা নাই করুন, ক্যামেরা নির্মাতারা মেমোরীভিত্তিক ক্যামেরার ওপর বেশি নির্ভর করছেন। ডিজিটাল এসএলআর ক্যামেরায় ভিডিও করা হচ্ছে। একসময় কার্ডে যায়গা স্বল্পতা, দ্রুততা ইত্যাদি নিয়ে ভাবতে হত। বর্তমানে একদিকে কার্ডের ধারনক্ষমতা বেড়েছে যেখানে কয়েকঘন্টার ফুল হাই ডেফিনিশন ভিডিও রেকর্ড করা যায়, অন্যদিকে কার্ডের গতি বেড়েছে। সেইসাথে উন্নত হয়েছে ভিডিও কম্প্রেশন ব্যবস্থা। কাজেই কার্ড ব্যবহারে সমস্যা নেই। উল্লেখ করা যেতে পারে মেমোরী কার্ড অন্যান্য মিডিয়া থেকে বেশি নির্ভরযোগ্য।
ক্যামেরায় দুধরনের মেমোরীর ব্যবস্থা রাখা হয়, কোনটিতে বিল্টইন ফ্লাশ মেমোরী, কোনটিতে মেমোরী কার্ড লাগানোর ব্যবস্থা, কোনটিতে দুটিই। যদি দুধরনের ব্যবস্থা থাকে সেটা অবশ্যই সবচেয়ে ভাল। যদি না থাকে তাহলে মেমোরী কার্ড ব্যবস্থা সুবিধেজনক। বিল্টইন ক্যামেরার ভিডিও কপি করার আগে কাউকে দেখাতে হলে ক্যামেরা দিতে হয়, কার্ডের ক্ষেত্রে কার্ড দেয়াই যথেষ্ট। এছাড়া যায়গা শেষ হলে একাধিক কার্ড ব্যবহারের বিষয় তো আছেই।
কার্ডের একটি সমস্যা হচ্ছে যেহেতু কার্ডটি আপনি বারবার ব্যবহার করবেন সেকারনে ভিডিওকে অবশ্যই কোথাও কপি করে রাখতে হবে।
বর্তমানে সৌখিন ভিডিওগ্রাফার থেকে শুরু করে হলিউডের মুভি নির্মাতারাও মেমোরীভিত্তিক ক্যামেরা ব্যবহার করছেন। কাজেই একে প্রথম পছন্দ হিসেবে ধরে নিতে পারেন।
আপনি পছন্দ করুন বা নাই করুন, ক্যামেরা নির্মাতারা মেমোরীভিত্তিক ক্যামেরার ওপর বেশি নির্ভর করছেন। ডিজিটাল এসএলআর ক্যামেরায় ভিডিও করা হচ্ছে। একসময় কার্ডে যায়গা স্বল্পতা, দ্রুততা ইত্যাদি নিয়ে ভাবতে হত। বর্তমানে একদিকে কার্ডের ধারনক্ষমতা বেড়েছে যেখানে কয়েকঘন্টার ফুল হাই ডেফিনিশন ভিডিও রেকর্ড করা যায়, অন্যদিকে কার্ডের গতি বেড়েছে। সেইসাথে উন্নত হয়েছে ভিডিও কম্প্রেশন ব্যবস্থা। কাজেই কার্ড ব্যবহারে সমস্যা নেই। উল্লেখ করা যেতে পারে মেমোরী কার্ড অন্যান্য মিডিয়া থেকে বেশি নির্ভরযোগ্য।
ক্যামেরায় দুধরনের মেমোরীর ব্যবস্থা রাখা হয়, কোনটিতে বিল্টইন ফ্লাশ মেমোরী, কোনটিতে মেমোরী কার্ড লাগানোর ব্যবস্থা, কোনটিতে দুটিই। যদি দুধরনের ব্যবস্থা থাকে সেটা অবশ্যই সবচেয়ে ভাল। যদি না থাকে তাহলে মেমোরী কার্ড ব্যবস্থা সুবিধেজনক। বিল্টইন ক্যামেরার ভিডিও কপি করার আগে কাউকে দেখাতে হলে ক্যামেরা দিতে হয়, কার্ডের ক্ষেত্রে কার্ড দেয়াই যথেষ্ট। এছাড়া যায়গা শেষ হলে একাধিক কার্ড ব্যবহারের বিষয় তো আছেই।
কার্ডের একটি সমস্যা হচ্ছে যেহেতু কার্ডটি আপনি বারবার ব্যবহার করবেন সেকারনে ভিডিওকে অবশ্যই কোথাও কপি করে রাখতে হবে।
বর্তমানে সৌখিন ভিডিওগ্রাফার থেকে শুরু করে হলিউডের মুভি নির্মাতারাও মেমোরীভিত্তিক ক্যামেরা ব্যবহার করছেন। কাজেই একে প্রথম পছন্দ হিসেবে ধরে নিতে পারেন।
. টেপ রেখে দেয়া সহজ
ক্যাসেট টেপ ব্যবহারের একটি প্রধান সুবিধে ক্যাসেটকে রেখে দিলেই ভিডিও থেকে গেল। কোন কারনে যদি মেমোরীকার্ড কিংবা হার্ডডিস্কের ভিডিও নষ্ট হয় সেটা ফেরত পাওয়ার কোনই পথ নেই। টেপ পুরনো হলে, ফাংগাস পড়লে যত খারাপই হোক, কিছু ভিডিও ফেরত পারেন। পৃথকভাবে ব্যাকআপ রাখার কথা ভাবতে হচ্ছে না।
অসুবিধে হচ্ছে ভিডিওকে কম্পিউটারে নেয়ার জন্য ক্যাপচার কার্ড অথবা কমপক্ষে ফায়ারঅয়্যার পোর্ট প্রয়োজন হবে।
ক্যাসেট টেপ ব্যবহারের একটি প্রধান সুবিধে ক্যাসেটকে রেখে দিলেই ভিডিও থেকে গেল। কোন কারনে যদি মেমোরীকার্ড কিংবা হার্ডডিস্কের ভিডিও নষ্ট হয় সেটা ফেরত পাওয়ার কোনই পথ নেই। টেপ পুরনো হলে, ফাংগাস পড়লে যত খারাপই হোক, কিছু ভিডিও ফেরত পারেন। পৃথকভাবে ব্যাকআপ রাখার কথা ভাবতে হচ্ছে না।
অসুবিধে হচ্ছে ভিডিওকে কম্পিউটারে নেয়ার জন্য ক্যাপচার কার্ড অথবা কমপক্ষে ফায়ারঅয়্যার পোর্ট প্রয়োজন হবে।
. হার্ডডিস্ক বেশি ভিডিওর জন্য উপযোগি
অন্তত কিছুদিন আগেও হার্ডডিস্কভিত্তিক ক্যামেরা ব্যবহারের পেছনে একটি বড় যুক্তি ছিল যায়গা। বর্তমানে যেহেতু মেমোরী কার্ডের ধারনক্ষমতা বেড়েছে সেহেতু এই যুক্তি আর গ্রহনযোগ্য নেই। তারপরও হার্ডডিস্ক একটি ভাল মাধ্যম। অনেক হার্ডডিস্ক ভিত্তিক ক্যামেরায় মেমোরীকার্ড ব্যবহারের সুযোগও রাখা হয়।
অন্তত কিছুদিন আগেও হার্ডডিস্কভিত্তিক ক্যামেরা ব্যবহারের পেছনে একটি বড় যুক্তি ছিল যায়গা। বর্তমানে যেহেতু মেমোরী কার্ডের ধারনক্ষমতা বেড়েছে সেহেতু এই যুক্তি আর গ্রহনযোগ্য নেই। তারপরও হার্ডডিস্ক একটি ভাল মাধ্যম। অনেক হার্ডডিস্ক ভিত্তিক ক্যামেরায় মেমোরীকার্ড ব্যবহারের সুযোগও রাখা হয়।
. ডিভিডির নিশ্চয়তা নেই
ডিভিডি ভিত্তিক ক্যামেরার প্রধান সুবিধে ভিডিও করার পর সরাসরি ডিভিডি প্লেয়ারে ব্যবহার করা যায়। কম্পিউটার ব্যবহার না করেই ভিডিও পাওয়ার জন্য বিষয়টি গুরুত্বপুর্ন। সমস্যা হচ্ছে যারা ডিভিডি ব্যবহার করেন তারা জানেন ডিভিডির ওপর কতটা নির্ভর করা যায়। এমনকি রেকর্ড করার পর সেটা ঠিকভাবে কপি করা যাবে এমন নিশ্চয়তাও অনেক সময় থাকে না। বাস্তবে একে পেছনের সারিতে রাখাই ভাল।
ডিভিডি ভিত্তিক ক্যামেরার প্রধান সুবিধে ভিডিও করার পর সরাসরি ডিভিডি প্লেয়ারে ব্যবহার করা যায়। কম্পিউটার ব্যবহার না করেই ভিডিও পাওয়ার জন্য বিষয়টি গুরুত্বপুর্ন। সমস্যা হচ্ছে যারা ডিভিডি ব্যবহার করেন তারা জানেন ডিভিডির ওপর কতটা নির্ভর করা যায়। এমনকি রেকর্ড করার পর সেটা ঠিকভাবে কপি করা যাবে এমন নিশ্চয়তাও অনেক সময় থাকে না। বাস্তবে একে পেছনের সারিতে রাখাই ভাল।
ক্যামেরা জগতে পরিবর্তন হচ্ছে খুব দ্রুত। ভিডিও ক্যামেরায় উচুমানের ষ্টিল ছবি উঠানোর ব্যবস্থা আনা হচ্ছে, ষ্টিল ক্যামেরায় পেশাদারি মানের ভিডিও করার ব্যবস্থা আনা হচ্ছে। ব্যবহারকারীর কাছে যে বিষয়টি বেশি গুরুত্বপুর্ন সেদিকে দৃষ্টি দিয়ে একটি কিনলে আরেকটির কাজ করা যায়। কাজেই আপনি ভিডিও ক্যামেরা কিনবেন নাকি ষ্টিল ক্যামেরা কিনবেন সেটাও আজকাল খুব গুরুত্বপুর্ন বিষয় না।
কিন্তু কোন মাধ্যমে রেকর্ড হবে সেটা যখন বিবেচনায় আনবেন তখন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এই ৪ ধরনের মাধ্যমের ভেতর থেকেই।
No comments:
Post a Comment