ফ্রিল্যান্সিং
নিয়ে একদিকে যেমন ক্রমাগত লেখা হচ্ছে অন্যদিকে প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক মানুষ আগ্রহ
নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় যোগ দিচ্ছেন। সম্প্রতি বিজনেস ইনসাইডার এর এক প্রতিবেদনে
উল্লেখ করা হয়েছে ২০২০ সালের মধ্যে আমেরিকায় শতকরা ৪০ জন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ
করবেন।
এই বিপুল
সংখ্যক মানুষ আসলে কোন ধরনের ফ্রিল্যান্স কাজ করবেন কখনো ভেবে দেখেছেন কি ?
এর উত্তর হতে
পারে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যারা প্রথাগত চাকরীর বাইরে নিজে কিছু করতে চান।
কাজের বিষয় যাই
হোক না কেন, শুরু করতে হয় কোন এক যায়গা থেকে।
সম্ভাবনা এবং সমস্যা দুটিই এক্ষেত্রে বেশি।
সাধারনভাবে
প্রাথমিক ফ্রিল্যান্সিং ভাল এবং সমস্যার দিকগুলি তুলে ধরা হচ্ছে এই পোষ্টে।
প্রাথমিক
ফ্রিল্যান্সারদের পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এদের বড় একটি অংশ ছাত্রাবস্থায় কিংবা
পড়াশোনা শেষ করেই এধরনের ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন।
সাধারনভাবে
এদের পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকে না, ফলে আগ্রহ যত বেশি থাকে বাস্তবে নির্দিষ্ট কাজে তত
সহজে সফলতা লাভ করেন না। অনেক সময় নিজের পছন্দমত কাজের সুযোগ না পেয়েও অনেকে এদিকে
দৃষ্টি দেন।
এধরনের
ফ্রিল্যান্সিং এর ভাল দিকগুলি এমন;
.
সহজে একই কাজের
সাথে জড়িতদের সাথে কিংবা অভিজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ তৈরী হয়। বিশেষ করে ছাত্রাবস্থায়
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলে এটা অনেক বড় প্রাপ্তি।
.
প্রয়োজনে
নির্দিষ্ট বিষয়ে পেশাদার প্রশিক্ষন নেয়ার সময় থাকে।
.
নিজের খরচ
তুলনামুলক কম। সেকারনে সরাসরি অর্থ উপার্জনের চেয়ে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলার দিকে
মনোযোগ দেয়া যায়।
.
স্বাভাবিকভাবেই
তুলনামুলক কমবয়সীরা এই ভাগে যায়গা পান। তাদের কর্মউদ্দিপনা অভিজ্ঞদের থেকে বেশি।
ফলে খুব দ্রুত পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে পারেন।
আর সমস্যার
দিকগুলি হতে পারে এমন,
.
অভিজ্ঞতার
অভাব। এভাবে শুরু করা অনেকেরই আগে কোন ক্লায়েন্টের কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই, ফলে
নির্দিস্ট কাজ থেকে করে যোগাযোগ পদ্ধতি সব যায়গাতেই ভুল হতে পারে।
.
নিজের পরিচিতি
না থাকা। যারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন তাদের আগের করা কাজগুলি পরিচিতি হিসেবে
ব্যবহার করা যায়, শুরুতে এই সুবিধে পাওয়া যায় না।
.
অনভিজ্ঞতার
কারনে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টিকেই হালকাভাবে দেখা হতে পারে। এধরনের মনোভাব বড় কিংবা
দীর্ঘস্থায়ী কাজ পেতে (এবং করতে) সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
গ্রাফিক্স, এনিমেশনের উপর আপনি কোন প্রশিক্ষণ করান?
ReplyDeleteনা।
Delete