যারা ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করেন তাদের কাছে এসইও অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন বিষয়। তারা চান সার্চ ইঞ্জিন যখন খোজ করে রেজাল্ট হাজির করে সেখানে নিজের সাইটের নাম প্রথমদিকে থাকবে। এসইও এক্সপার্ট বলে একটি পদও রয়েছে যারা লোভনীয় উপার্জন করেন। আসলে সার্চইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কখন কতটুকু কাজ করে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের বিভিন্ন পদ্ধতিগুলি একবার দেখা যাক। কাজটি করা হয় দুভাবে, ওয়েবসাইটের ভেতরে অপরটি বাইরে। বাইরের কাজের জন্য রয়েছে বহু প্রতিস্ঠান কিংবা আগে উল্লেখ করা এসইও এক্সপার্টের কাজ। কিন্তু সত্যিকারের অপটিমাইজেশনের কাজ করতে হয় সাইটের মধ্যেই।
অপটিমাইজেশন সফটঅয়্যারগুলি যে কাজ করে সেগুলি একনজরে দেখে নিন। তারা আপনার সাইটের নাম পাঠিয়ে দিতে পারে সবগুলি সার্চ ইঞ্জিন সহ হাজার হাজার ডিরেক্টরীতে। ফলে সব যায়গায় আপনার সাইটের উল্লেখ থাকবে, সাই ইঞ্জিন সার্চ করার সময় আপনার সাইটে সার্চ করবে। এছাড়াও র্যাংকিং বাড়ানো অন্যান ্যযে কৌশল রয়েছে সেগুলিও প্রয়োগ করে। গুগলের +১ বাটনে ক্লিক করলে সাইটের র্যাংকিং বাড়ে। একাজ সফটঅয়্যার দিয়ে করা হতে পারে। কাজেই আপনার সাইটের পরিচিতি বাড়ার কথা।
এর বিপরীত দিকও রয়েছে। সার্চ ইঞ্জিন নির্মাতারা (গুগল, বিং, ইয়াহু) এসব বিষয় জানে। তারা শুধুমাত্র কয়েকটি শব্দের ওপর ভিত্তি করে র্যাংকিং বাড়ায় না। বরং আরো অনেককিছু লক্ষ করে। যেমন ভিজিটরের সেই সাইট ব্যবহার।
যেমন ধরুন বাউন্স রেট । কোন সাইটে ভিজিটর ঢোকার পর যদি সেটা পছন্দ না হয় তাহলে সেই সাইট থেকে চলে যাবেন। এটাই বাউন্স রেট। যত বেশি ভিজিটর এই কাজ করবেন সেই সাইটের বাউন্স রেট তত বেশি। বাউন্স রেট যত বেশি সেই সাইটের র্যংকিং তত কম। আপনি ভিজিটরকে সাইটে এনেছেন ঠিকই কিন্তু ধরে রাখতে পারেননি।
একই কথা পেজ পার ভিজিট কিংবা টাইম পার ভিজিট সম্পর্কে। প্রথমটি বুঝায় ভিজিটর গড়ে কতগুলি পেজ ভিজিট করেছেন, পরেরটি কত সময় কাটিয়েছেন। সাইটের কন্টেন্ট যত উন্নত, ভিজিটরের জন্য উপকারী ভিজিটর তত বেশি সময় কাটাবেন, তত বেশি পেজ ভিজিট করবেন। এই ফলগুলি ব্যবহার করা হয় র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে।
কাজেই আপনি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে কতটা দক্ষ তাতে কিছু যায় আসে না যদি আপনার সাইটটি ভিজিটরের জন্য উপকারী না হয়।
যদি সত্যিকারের অর্থেই বেশি ভিজিটর পেতে চান, সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংকিং বাড়াতে চান তাহলে সাইটের বিষয়কে উন্নত করার দিকে দৃষ্টি দিন আগে।
No comments:
Post a Comment