Tuesday, April 10, 2012

ফ্রিল্যান্সিং কাজে ক্লায়েন্ট হাতছাড়া হচ্ছে কিনা জানার উপায়

অনলাইন হোক আর স্থানীয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ হোক, ফ্রিল্যান্সার সবসময়ই ক্লায়েন্টের সাথে দীর্ঘকালীন চুক্তি পছন্দ করেন। ৬ মাস কিংবা ১ বছরের চুক্তি হলে তিনি নিশ্চিত থাকতে পারেন সেই সময়ে নির্দিস্ট পরিমান আয় আসতে থাকবে। কিন্তু কোন কারনে ক্লায়েন্ট যদি চুক্তি থেকে সরে যান ?
প্রথম জানার বিষয় কি কি কারনে ক্লায়েন্ট চুক্তি থেকে সরে যেতে পারেন। দ্বিতীয় বিষয় কিভাবে আগেই সেটা জানা যায়। যদি এই দুটি বিষয় জানা থাকে তাহলে চুক্তি ঠিক রাখা সম্ভব হয়। বিষয়গুলি তুলে ধরা হচ্ছে এখানে।
ক্লায়েন্ট ঠিক কি কারনে চুক্তি থেকে সরে যেতে পারেন সেটা জানা কঠিন। যদি কোন কারনে তার কাজ প্রয়োজন না থাকে তাহলে অবশ্যই কিছু বলার নেই। কিন্তু তিনি কাজ করাচ্ছেন কিন্তু আপনাকে দিয়ে করাচ্ছেন না এটাই চিন্তার বিষয়।
কিছু লক্ষ দেখে ধারনা পেতে পারেন ক্লায়েন্ট আপনার ওপর কোন কারনে অসন্তুষ্ট হয়েছেন। সমস্যা হচ্ছে ক্লায়েন্ট কখনও সেকথা মুখে বলেন না। আচরনে বুঝে নিতে হয়। লক্ষনগুলি হচ্ছে;
.          যোগাযোগ কমিয়ে দেয়া
সাধারনভাবে দীর্ঘকালীন ক্লায়েন্টের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ থাকার কথা। কোন কারনে যদি তিনি তুলনামুলক কম যোগাযোগ করেন তাহলে ধরে নিতে হয় তিনি আগ্রহ হারাচ্ছেন। যোগাযোগের সময় এবং ধরন উভয়ই পরিবর্তন হতে পারে। তখন সাবধান হওয়া প্রয়োজন এবং কারন জানা প্রয়োজন।
.          টাকা দিতে দেরী করা
যিনি আগে সময়মত টাকা দিতেন তিনি যদি কোন কারনে টাকা দিতে দেরী করেন তাহলেও সাবধান হওয়া উচিত। হয়ত তিনি বিকল্প পথ খুজছেন।
.          অতিরিক্ত খুত ধরা
আগে যে কাজে সন্তুষ্ট হতেন সেই কাজে যদি খুত ধরতে শুরু করেন তাহলেও সাবধান হওয়া প্রয়োজন। তিনি হয়ত কোন কারন খুজছেন কাজ না করানোর।
.          ক্লায়েন্ট অতিরিক্ত ভাল ব্যবহার করা
কাজ বাদ দেয়ার জন্য ক্লায়েন্ট খারাপ ব্যবহার করবেন এটা ধরে নেয়ার কারন নেই, বরং অতিরিক্ত ভাল ব্যবহার করেও সেটা করতে পারেন। ক্লায়েন্ট যদি হঠাত করে অতিরিক্ত ভাল ব্যবহার করতে শুরু কতরেন তাতে খুশী না হয়ে সন্দেহের চোখে দেখা নিরাপদ।
.          ক্লায়েন্ট একই কাজ সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন দেয়া
ক্লায়েন্ট হাতছাড়া হওয়ার একটি বড় লক্ষন যখন তিনি বিকল্প যায়গা খোজ করেন। বিজ্ঞাপন দেয়া বা একই কাজ সম্পর্কিত অন্য কারো সাথে যোগাযোগ করা সবসময়ই ফ্রিল্যান্সারের জন্য বিপত সংকেত। অবশ্য যদি তার কাজের পরিমান বৃদ্ধি পায়, আরো বড় কাজে হাত দেন তাহলে সেটা স্বাভাবিকভাবেই ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে সরাসরি প্রশ্ন করে জেনে নেয়াই ভাল।
.          ফ্রিল্যান্সারের কোন ভুল করা
ভুল সবাই করেন। ফ্রিল্যান্সার কোন ভুল করতে পারেন আর তারফলে ক্লায়েন্ট বিরক্ত হতে বাধ্য। কোন ভুল হলে বা কাজে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হলে দৃশ্যমান অতিরিক্ত চেষ্টার মাধ্যমে সেটা কাটিয়ে উঠা কর্তব্য হয়ে দাড়ায়।
.          অবচেতন মনের অনুভুতি
কখনও কখনও দেখা যায় সবকিছু ঠিকমতই চলছে কিন্তু কোন কারনে মনে হচ্ছে কোথাও কিছু সমস্যা হতে পারে। মানুষের সহজাত অনুভুতি বিপদকে আগে থেকে অনুভব করে। হয়ত এমন কিছু ঘটেছে বা কোনভাবে প্রকাশ পেয়েছে যা উল্লেখ করার মত না অথচ অবচেতন মনের মধ্যে কাজ করছে। সেক্ষেত্রেও একে হেলাফেলা না করে কারন খোজ করাই নিরাপদ।

ক্লায়েন্টের সাথে দীর্ঘকালীন কাজ করার সময় দুপক্ষের সম্পর্ক যত সহজ থাকে ততই ভাল। ক্লায়েন্টের কোন কারনে যদি কাজ চালু রাখতে সমস্যা মনে হয় তাহলে তাকে সহজভাবে দেখাই ভাল। আর যদি তার কাজ প্রয়োজন হয় তাহলে সমঝোতার ভিত্তিতে সেটা হওয়া উচিত। খোলামেলা আলোচনা করে সেটা ঠিক করা যেতে পারে।
ফ্রিল্যান্সারের সাধারন বৈশিষ্ট তিনি কখনো নির্দিস্ট একটি কাজ বা একজন ক্লায়েন্টের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করেন না।  কখনো যদি কোন কাজে পুরো সময় দিতে হয় তাহলেও বিকল্প কাজের সুযোগ রেখে করাই ভাল। কারন সব ফ্রিল্যান্সারের হাতে কাজ না থাকার মত খারাপ সময় আসে।

No comments:

Post a Comment