আপনি আয় করতে চান গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে, আপনার কিছু সত্য জানা প্রয়োজন। একেবারে প্রথম কথা, একে অর্থ উপার্জনের সহজ পদ্ধতি ভাববেন না। অনেকে প্রচারনা থেকে ধরে নেন ব্লগারে একটা একাউন্ট খুললেই টাকা আসতে শুরু করবে। এটা ভুল ধারনা।
অন্যে এই পথে কত আয় করেছে সে উদাহরন দেখাবেন না। তারা আয় করেছে এটা হয়ত দেখেছেন, এর পেছনের শ্রম দেখেননি।
অমুকে অত টাকা আয় করেছে এই তথ্য দেখে সহজেই মানুষ বিভ্রান্ত হয়। কেউ মানে ৫ হাজার ডলার আয় করছে, বিষয়টি এভাবে দেখুন, সেই ব্যক্তি এমন বিষয় নিয়ে ওঢেব সাইট তৈরী করেছে যে বিষয়ে সে প্রচুর জানে। সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সেখানে রয়েছে যা অন্যদের প্রয়োজন। সরাসরি ভিজিটর সেখানে যাচ্ছে, অন্যান্য সাইটগুলি ভালমানের সাইটের কারনে সেখানে লিংক তৈরী করছে ফলে ভিজিটর আরো বাড়ছে, সেকারনে এডসেন্স থেকে আয় ক্রমাগত বাড়ছে।
আপনার আয় নির্ভর করবে কয়েকটি বিষয়ের ওপর।
. আপনি ইন্টারনেট মার্কেটিং বিষয়টি কতটা ভাল বোঝেন।
. আপনার সাইটে কি পরিমান ভিজিটর আসে।
. প্রতি ক্লিকে আপনি কত করে পান।
. দিনে কত ঘন্টা সময় ব্যয় করছেন। আপনি বছরে লক্ষ ডলার আয় করবেন আর এজন্য দিনে একঘন্টা বরাদ্দ রাখবেন এটা বাস্তবসম্মত না।
কাজেই এডসেন্স থেকে দ্রুত টাকা আয় হবে এমন ধারনা থেকে শতর্ক থাকুন। বরং আপনি যা করতে পারেন তা হচ্ছে,
. এখনই শুরু করুন। কয়েকমাস কিংবা বছর পর সাফল্য পেতে শুরু করবেন।
. শুরুতে এডসেন্স থেকে উপার্জন সামান্য মনে হতেই পারে। কিন্তু ভুল থেকেই শিক্ষা লাভ করতে হয়। প্রতিদিনের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিদিন উন্নতির চেষ্টা করুন। আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটরের সংখ্যা, তাদের ধরন, উতস, তাদের ব্যবহার করা কি-ওয়ার্ড ইত্যাদি বিশ্লেষন করে আপনার সাইটে পরিবর্তন আনুন।
. কি পরিমান সময় ব্যয় করা হচ্ছে এবং কি পরিমান অর্থ পাওয়া যাচ্ছে এই দুইয়ের হিসেব শুরুতেই মেলাবেন না। বর্তমানের সমস্ত কাজই ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ মনে করে কাজ করে গেলে সাফল্য পাওয়া সম্ভব। ভুলে যাবেন না বাস্তবে অন্যান্য ব্যবসার ক্ষেত্রে সবাই লাভের আশা করে শুরু করে, সবাই লাভ করে না।
আপনার সাইটের বিষয় কি এটা গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখে ভিজিটর আসার ক্ষেত্রে। যেমন এই মুহুর্তে আপনি মনে করতে পারেন অনলাইনে অর্থ উপার্জন, ইন্টারনেট থেকে সহজে আয় করার পদ্ধতি, এডসেন্স থেকে আয় করার পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লিখলে আপনার সাইটে বেশি ভিজিটর পাওয়া যাবে।
কথাটা কিছুটা ঠিক। এই কি-ওয়ার্ড লিখে একবার গুগল সার্চ করে দেখুন তো। ফল হিসেবে পাওয়া যাবে বহুকোটি সাইটের নাম। এদের সকলের সাথে আপনাকে প্রতিদ্বন্দিতা করতে হবে। এদের সবাইকে পেছনে ফেলে সার্চ রেজাল্টে প্রথম ১০ জনের মধ্যে আসা সত্যিকারের কঠিন কাজ।
এমন বিষয় বেছে নিন যে বিষয়ে আপনি ভাল জানেন, সেইসাথে লক্ষ্য রাখুন অন্যরা সেই সাইট থেকে উপকৃত হয়।
এই বিষয়ে অন্যান্য সাইটগুলি দেখুন। সেখানে যাকিছু ভাল সেটা অনুকরন করুন। সেই বিষয়কে ভালবাসুন।। আপনার সাইটে তার প্রতিফলন ঘটান। সেইসাথে বক্তব্যকে জোরালো করুন।
মোটকথা, গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে বেশি পরিমান আয় করতে চাইলে আপনার ওয়েবসাইটে এমন বিষয় রাখার ব্যবস্থা করুন যে বিষয়গুলি আপনি সবচেয়ে ভাল জানেন।
- কিভাবে ইন্টারনেটে অর্থ উপার্জন করবেন
- টাকা কিভাবে হাতে পাবেন
- কিভাবে বেশি কাজ পাবেন
- গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার পদ্ধতি
- ফাইল আপলোড করে উপার্জন
- ডাটা এন্ট্রি করে উপার্জন
- গুগল এডসেন্সর এর অজানা তথ্য – ১
- গুগল এডসেন্সর এর অজানা তথ্য - ২
- গুগল এডসেন্সর এর অজানা তথ্য - ৩
- পেইড টু ক্লিক, পিটিসি
- রিভিউ লিখে আয়
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- এডসেন্স ব্যবহারের নিয়ম-কানুন
- অন্যের সাইট থেকে উপার্জন
- ই-বুক বিক্রি করে আয়
- ফ্রিল্যান্সিং কাজ কোথায় পাবেন
- গুগল কাষ্টম সার্চ (এডসেন্স ফর সার্চ) থেকে আয়
- এডসেন্স ব্যবহারের নিয়ম, যে ভুলগুলি করবেন না
- ইমেইল মার্কেটিং
- বই বিক্রি করুন গুগলের সাহায্যে
- ইন্টারনেটে আয় সম্পর্কে ১০টি ভুল ধারনা
- ইন্টারনেটে আয়ের ৫টি সেরা পথ
- ফ্রিল্যান্সার থেকে কিভাবে কাজ পাবেন
- ফটোশপ ডিজাইন বিক্রি করে আয়
- ফেসবুক থেকে আয়
- যে কারনে এডসেন্স ব্যবহারের সুযোগ পাবেন না
- ফ্রিল্যান্সিং কাজে সবচেয়ে বড় ভুল
- ফ্রিল্যান্সিং কাজে সাব-কন্ট্রাক্টর ব্যবহার করে বেশি আয়
- পিটিসি এর অজানা তথ্য
- ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট হওয়ার ৫ কারন
- সময় বাচানোর সেরা উপায়
- ক্লায়েন্ট ধরে রাখার জন্য কি করবেন
- এডসেন্স এর বিকল্প বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা চিতিকা
- ওয়ার্ডপ্রেস টেম্পলেট বিক্রি করে আয়
- ফ্রিল্যান্সিং কাজে ভাল করার উপায়
- আস্থা অর্জনের ৩ উপায়
- কম সময়ে বেশি কাজ করা
- ফাইলসার্ভে ফাইল আপলোড করে আয়
- ইন্টারনেটে অর্থ আদান-প্রদানের বিভিন্ন পদ্ধতি
- আয় করুন ই-বে থেকে
- ভার্চুয়াল এসিষ্টেন্ট ব্যবহার করে বেশি কাজ করা
- ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি কখন ব্যর্থ
- কিভাবে বাস্তবসম্মত লক্ষ্য স্থির করবেন
- ফ্রিল্যান্সিং কাজের ভাল দিক-মন্দ দিক
- ফ্রিলান্সিং পরিকল্পনার ৩ ধাপ
- ফ্রিল্যান্সিং কাজে নিজেকে প্রফেশনাল হিসেবে তুলে ধরা
- ফ্রিল্যান্সার হতে চান ? নিজেকে প্রশ্ন করুন
- সাফল্যের ৪ সুত্র
- টাকা আয় করুন রিভিউ-মি তে রিভিউ লিখে
- ফ্রিল্যান্সারের প্রধান ৫ সমস্যা এবং সমাধান
- ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য অটো রেসপন্ডার ব্যবহার
- টাকা আয় করুন আমাজন থেকে
- আউটসোর্সিং-ক্রাউসসোর্সিং-ফ্রিল্যান্সিং বলতে কি বুঝায়
No comments:
Post a Comment