Sunday, May 22, 2011

ব্লগিং থেকে আয়ের মুলমন্ত্র, blogging

ইন্টারনেট থেকে আয়ের কথা যখন বলা হয় তখনই বলা হয় ব্লগ তৈরীর কথা। ব্লগকে ঘিরেই যত আয়, এডসেন্স, বিজ্ঞাপন, এফিলিয়েটেড মার্কেটিং, ই-মেইল মার্কেটিং ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেক সময়ই উদাহরন হিসেবে সফল কারো কথা উল্লেখ করা হয়। তার সাইটে দৈনিক ভিজিটের পরিমান কয়েক লক্ষ, এডসেন্স থেকে দৈনিক আয় হাজার ডলার।
এধরনের উদাহরন সবসময় সঠিক চিত্র তুলে ধরে না। অনেকেই অন্য আরেকজনকে অনুসরন করতে চেষ্টা করেন এবং তারমত ফল না পেয়ে দ্রুতই নিরাশ হয়ে ব্লগিং থেকে সরে যান। আপনি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন বিষয় নিয়ে ব্লগ তৈরী করছেন তার অর্থ এই না যে সেখানে মানুষ ভীড় জমাবে। বরং এমন যায়গায় ভীড় জমাতে পারেন যেখানে আদৌ কোন বক্তব্য নেই। যদি টিভির সাথে ব্লগকে তুলনা করেন তাহলে অনায়াসে যাচাই করতে পারেন, বেশিরভাগ দর্শক গুরুত্বপুর্ন অনুস্ঠানের বদলে অর্থহীন অনুস্ঠান দেখে বেশি সময় কাটায়।
এই কথাগুলি থেকে আপনি কি শিখতে পারেন ?
আপনার একটা বক্তব্য হতে পারে, যেভাবে ব্লগ তৈরী করলে বেশি মানুষ পাওয়া যায় আমার সেটাই করা উচিত।
আরেক বক্তব্য হতে পারে, আজ অমুক ব্লগ জনপ্রিয় কিন্তু দুবছর পর, পাচ বছর পর আমি টিকে থাকব। ওই ব্লগের কথা কেউ স্মরন করবে না।
এই দুইয়ের যেকোন পথেই আপনি লাভের মুখ দেখতে পারেন। একপথে সাথেসাথে লাভ। যদি অত্যন্ত বিচক্ষন হন তাহলে সময়ের সাথেসাথে ব্লগিং এর পরিবর্তন করে নতুন দিকে যেতে পারেন। ভিজিটরের সংখ্যা কমতে শুরু করার সাথেসাথে তার কারন বের করা এবং নতুন পথ খোজা।
অন্যটি হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী উপকারী বিষয় নিয়ে ব্লগ চালিয়ে যাওয়া। সামান্য একটু পরামর্শ যদি কেউ আপনার কাছে পান তিনি আপনার কথা মনে রাখবেন। এভাবেই ক্রমে আপনার ভিজিটর বাড়তে থাকবে। পথ পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দেবে না। এই মুহুর্তে ব্লগিং থেকে আয় হয়ত সামান্য, কিংবা একেবারেই নেই। কোন একসময় আপনি অন্যদের ছাড়িয়ে যাবেন।
ব্লগকে টিভির সাথে তুলনা করা হয়েছে। এবার গানের সাথে তুলনা করে দেখুন। নতুন একজন শিল্পীর গান গান কতটা জনপ্রিয় হয় নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন। মানুষের মুখে মুখে ফেরে, রাস্তাঘাটে মাইকে বাজে। তারপর আরেকজন এসে তার যায়গা দখল করে। কয়েকমাস আগের ঝড় তোলা সেই গান শুনলে মানুষ বিরক্ত হয়।
অথচ ৫০ বছর আগে গাওয়া লতা মঙ্গেশকরের গান মানুষ মনোযোগ দিয়ে শোনে।

5 comments:

  1. Aami kono album aamar blog-e upload korte chaai jate anyera seta download korte pare. Kibhabe korbo?

    ReplyDelete
  2. একেক ব্লগিং প্লাটফর্মের পদ্ধতি এককরকম। অনেকে সবধরনের ফাইল আপলোডের সুযোগ দেয় না। সেকারনে একটি সাধারন পদ্ধতি হচ্ছে বিনামুল্যের কোন ফাইল আপলোড সার্ভিসে ফাইল আপলোড করা এবং তার লিংক ব্লগে রাখা।

    ReplyDelete
  3. Vaia, amar ekta gmail ID die 2 ta blog kora ase.
    Ei 2 tai ki amar main blog? naki 1 ta sub-domain.
    Sub domain shomporke kisu bolben please...

    ReplyDelete
    Replies
    1. ব্লগার ব্লগে মুল নামের শেষে .blogspot লেখা থাকে। আপনার ব্লগ এর সাব-ডোমেন। আপনার ব্লগের নামে ডোমেন কিনলে এই অংশ বাদ দেয়া যায়, তখন সেটা মুল ডোমেন। সেখানে ডট (.) ব্যবহার করে নিজের প্রয়োজনমত সাবডোমেন ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরী করা যায়। যেমন গুগলের ক্ষেত্রে mail.google.com, maps.google.com, translate.google.com ইত্যাদি।

      Delete