Tuesday, August 9, 2011

ফ্রিল্যান্সারের পরিকল্পনা প্রয়োজন হয় কেন

আপনি ফ্রিল্যান্সার (কিংবা হতে চান)। এর অর্থ আপনি চাকরী বলতে যা বুঝায় সেটা করবেন না। আপনার দক্ষতা যে বিষয়ে সেই বিষয়ের কাজ নিজেই  খোজ করে বের করবেন, সেটা করবেন। সেটা অনলাইনে হোক আর স্থানীয় কাজই হোক। একাজ করার সবচেয়ে বড় সুবিধে আপনি কারো অধীন নন, কোন বাধাধরা নিয়মের মধ্যে বন্দী নন।
তাহলে আপনার পরিকল্পনা প্রয়োজন কেন ?  একেবারে স্বাধীনভাবে কাজ করে যেতে পারেন।
অবশ্যই আপনি সেটা করতে পারেন যদি সবকিছু আপনার পছন্দমত চলতে থাকে। অথবা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে চলতে পারেন যদি কোন কারনে কোথাও গড়মিল দেখা দেয় সেটা এড়ানোর জন্য। এখানে পরিকল্পনার কিছু সুবিধে দিক তুলে ধরা হচ্ছে।
.          পরিকল্পনা একধরনের কাঠামো তৈরী করে
পরিকল্পনা হচ্ছে আগামীতে কি করবেন এবং কিভাবে সেটা ঠিক করা। যখনই আগামীর কাজের কথা আপনি ভাবেন তখনই প্রশ্ন আসে কাজ কিভাবে পাবেন, কাজের ধরন কি, সে কাজ করার জন্য আপনার বর্তমান দক্ষতা যথেষ্ট নাকি নতুনকিছু শিখতে হবে। এধরনের প্রস্তুতি ক্রমপরিবর্তনশীল সমাজের জন্য গুরুত্বপুর্ন। আপনার মত আরেকজন যদি ক্রমাগত চেষ্টা করে এবং আপনি একই অবস্থানে থাকেন তাহলে একসময় সে আপনাকে ছাড়িয়ে যাবে। ফল হিসেবে আপনার কাজ হারানোর সম্ভাবনা।
.          পরিকল্পনার ফলে সমস্যা এড়ানো সম্ভব হয়
ফ্রিল্যান্সিং কাজে ক্লায়েন্টের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে হয়। একজন ফ্রিল্যান্সার ভাল করেই জানেন সেটা সবসময় ভাল অভিজ্ঞতা না। সবকিছু ঠিকমত করার পরও চুক্তি অনুযায়ী টাকা পেলেন না, এটা ফ্রিল্যান্সারের সাধারন অভিজ্ঞতা। সেইসাথে কাজের বিষয়ে দ্বিমত হওয়ার বিষয় তো আছেই। আপনার শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা বলছে কাজ একভাবে হওয়া উচিত, ক্লায়েন্ট বলছেন সেটা তার পছন্দ না। এধরনের পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য অতীত অভিজ্ঞতা বিশ্লেষন করে পরিকল্পনা করে রাখতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং কাজের অভিজ্ঞতা থেকে এটুকু বলতে পারি, কখনো কখনো কোন ক্লায়েন্টকে এড়িয়ে চলতে হয়, কখনো কাজ দেয়ার সময় টাকা বুঝে নিতে হয়।
.          পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত লক্ষ্য তৈরী করে
যদি কোনভাবে বহুকোটি টাকার মালিক হয়ে যাই, এধরনের স্বপ্ন কি আপনি দেখেন ? ছোটবেলায় সবাই দেখে, কেউ কেউ সারা জীবনই দেখে। যদি সত্যিকারের অর্থেই সেটা হতে চান তাহলে কাগজ-কলম নিয়ে বসুন এবং ঠিক কি কাজ করে, কোন পথে সেটা সম্ভব লিখুন। দিবাস্বপ্ন এবং বাস্তবতার মধ্যে যে পার্থক্য তা ঘুচাতে পারে পরিকল্পনা। এরফলে আপনি জানবেন আপনার পক্ষে আসলে ঠিক কত পরিমান আয় করা সম্ভব।
.          পরিকল্পনা খারাপ সময় মোকাবেলা করতে সাহায্য করে
ছোটবেলায় নিশ্চয়ই গল্প পড়েছেন পিপড়ার সঞ্চয়ের ঘটনার। এটাও এক ধরনের পরিকল্পনা। পিপড়ে যখন জানে বছরের কোন এক সময়ে সে খাবার পাবে না সে আগেই সেটা জমিয়ে রাখে। ফ্রিল্যান্সিং কাজে কখন কাজে সংকট তৈরী হবে আপনার জানা নেই। স্থানীয় অস্থিরতা, বিশ্বব্যাপি অস্থিরতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ যে কোন কারনেই সেটা ঘটতে পারে। আগেই পরিকল্পনার মাধ্যসে একটা সমাধানের পথ ঠিক করে রাখতে পারেন।
.          ব্যবসাকে এগিয়ে নেয়া
ফ্রিল্যান্সার নিজেই নিজের ব্যবসা প্রতিস্ঠান। আপনি একে কতটা সামনে এগিয়ে নিতে চান সেটা ঠিক করার দায়িত্ব আপনার নিজের। পরিকল্পনা করুন, সেটা যাই করুন, প্রয়োজনে সেখানে পরিবর্তন আনুন। আপনার ব্যবসা সমস্যা এড়িয়ে চলতে থাকবে।
আপনার কোন অভিজ্ঞতা বা মতামত অন্যদের জানাতে পারেন মন্তব্য লিখে।

No comments:

Post a Comment