আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কোথাও চাকরী করেন তাহলে আপনাকে নিশ্চিয়ই কোন সফটঅয়্যার ব্যবহার করবেন, কোন ফরম্যাটে আউটপুট দেবেন এসব নিয়ে ভাবতে হয় না। তারাই ঠিক করে দেন। কিন্তু ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যখন বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাজ করতে হয় তখন তাদের ভিন্ন ভিন্ন চাহিদার কারনে সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হয়। যারা এই পেশায় আসতে চান তারাও প্রস্তুতি নেয়ার সময় সমস্যায় পড়েন কোন সফটঅয়্যার শিখবেন এই সিদ্ধান্ত নিতে। এখানে বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে কি শিখতে হবে এবং কাজ করার সময় কোনদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে সেটা উল্লেখ করা হচ্ছে।
ক্লায়েন্ট তার কাজের বর্ননা দেয়ার সময় দুটি বিষয় উল্লেখ করেন। একটি হচ্ছে কি কি ফরম্যাটে আউটপুট দিতে হবে, আরেকটি হচ্ছে সেটা কোথায় কোথায় কোথায় ব্যবহার করা হবে। এই দুটি মুল বিষয়ের দিকে দৃষ্টি রেখে আপনাকে কাজ করতে হবে।
আউটপুট ফরম্যাট হিসেবে
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সারে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজের বর্ননা দেখেন সেখানে দেখবেন লেখা রয়েছে AI, EPS, PNG, JPG ইত্যাদি ফরম্যাটে কাজ জমা দিতে হবে।
এআই হচ্ছে ইলাষ্ট্রেটর ফরম্যাট। এর অর্থ আপনাকে মুল কাজ ইলাষ্ট্রেটরে করতে হবে। যদি জানা না থাকে তাহলে এটুকু উল্লেখ করা প্রয়োজন, ফটোশপ কাজ করে বিটম্যাপ গ্রাফিক্স নিয়ে, ইলাষ্ট্রেটর কাজ করে ভেক্টর গ্রাফিক্স নিয়ে। আপনি ভেক্টরকে বিটম্যাপে পরিনত করতে পারেন, বিটম্যাপকে ভেক্টরে পরিনত করতে পারেন না। অন্যকথায় ইলাষ্ট্রেটরের কাজকে ফটোশপ ফাইল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু ফটোশপ ফাইলকে ইলাষ্ট্রেটর ফাইল বানাতে পারেন না। ইলাষ্ট্রেটরের সুবিধে হচ্ছে একে বাকি যে ৩টি ফরম্যাটের উল্লেখ করা হয়েছে তাদের যে কোনটিতে পরিনত করা যায়।
ইপিএস ফরম্যাপ সরাসরি ইলাষ্ট্রেটর বা সরাসরি ফটোশপ থেকে পেতে পারেন। কাজেই এনিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই।
পিএনজি (পিং) ফরম্যাট হচ্ছে ট্রান্সপারেন্সি সহ ইমেজ ফরম্যাট। ইলাষ্ট্রেটর বা ফটোশপ দুযায়গাতেই কাজ করে তাকে এই ফরম্যাটে ব্যবহার করা যায়।
কাজেই যদি ইলাষ্ট্রেটর ফরম্যাট উল্লেখ থাকে তাহলে ইলাষ্ট্রেটর ছাড়া গতি নেই। যদি উল্লেখ না থাকে তাহলে ফটোশপ ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যবহার হিসেবে
ডিজাইনকে প্রধানত দুধরনের কাজে ব্যবহার করা হতে পারে। স্ক্রিন এবং প্রিন্ট। ওয়েব পেজ, অনলাইন বিজ্ঞাপন ইত্যাদি স্ক্রিনে ব্যবহারের জন্য। অবশ্যই ইমেজকে আরজিবি ফরম্যাটের হতে হবে। আর যদি প্রিন্ট উল্লেখ থাকে, যেমন প্যাড, কাগজপত্র, টি-সার্ট তাহলে সেটা সিএমওয়াইকে হিসেবে করে দেবেন।
কোন সফটঅয়্যার ব্যবহার করবেন সে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এই দুটি বিষয়কে এক করে। যদি ইলাষ্ট্রেটরে কাজ করতে হয় তাহলে মুলত ড্রইং নির্ভর কাজ করতে হবে। ফটোগ্রাফ ব্যবহারের কাজটিও করতে হবে সাবধানে। বিটম্যাপ আকার পরিবর্তন করলে মান নষ্ট হয় একথা মনে রেখে।
যদি ভেক্টর প্রয়োজন হয়, পুরোপুরি বিটম্যাপে কাজ করার সুযোগ থাকে তাহলে কাজের সুবিধে অনেক বেশি। ইচ্ছেমত ফটোগ্রাফ যেমন ব্যবহার করা যায় তেমনি থ্রিডি সফটঅয়্যারে থ্রিডি টেক্সট, মডেল বা স্পেশাল ইফেক্ট তৈরী করে তাকেও ব্যবহার করা যায়।
কাজ শুরুর আগেই ভালভাবে জেনে নিন আপনাকে ঠিক কি করতে হবে। আপনি ফটোশপে কাজের নমুনা দেয়ার পর যদি ভেক্টর ফরম্যাটে আউটপুট দিতে বলে আপনি নিশ্চয়ই বিপদে পড়বেন। আর যদি নতুনভাবে শিখে কাজ শুরু করতে চান তাহলে শুধুমাত্র পটোশপের ওপর নির্ভর করবেন না। ইলাষ্ট্রেটর শেখার দিকে দৃষ্টি দিন।
ফটোশপ টিউটোরিয়াল
- ফটোশপ কেন ব্যবহার করবেন
- বিটম্যাপ বনাম ভেক্টর
- ফটোশপ ইন্টারফেস পরিচিতি, প্রাথমিক কাজ
- ফটোশপ সিলেকশন টুল ব্যবহার
- ফটোশপ এডভান্সড সিলেকশন
- ফটোগ্রাফির জন্য ফটোশপ
- পোর্ট্রেট রিটাচিং, ছবির সমস্যা দুর করা
- ফটোশপে টেক্সট ব্যবহার
- লাইটিং ইফেক্ট
- লেয়ার ব্যবহার
- রং পরিবর্তন করা
- ছবি থেকে কিছু বাদ দেয়া
- ব্যাকগ্রাউন্ড বাদ দেয়া
- টাক মাথায় চুল গজানো
- ফটোশপ প্লাগইন, টোপাজ ডি-নয়েজ ব্যবহার
- ছবির ফ্রেম তৈরী
- ট্রান্সফরম
- ফটোশপে এনিমেটেড জিফ তৈরী
- ফটোশপে ওয়াটারমার্ক তৈরী
- হিষ্টোরী ব্যবহার
- একশন ব্যবহার
- পাথ ব্যবহার
- ফটোশপে ভিডিও ব্যবহার
- ফটোশপে টেক্সট ইফেক্ট
- ওয়েব পেজের জন্য এক্সপোর্ট
- টেক্সট কাটআউট ইফেক্ট
- পাথ টেক্সট এবং সেপ
- লিকুইডিফাই ইফেক্ট
- ফটোশপ প্লাগইন আইক্যান্ডি ব্যবহার
- এডবি ব্রিজ ব্যবহার
- ব্রিজ ব্যবহার করে স্লাইড শো কিংবা পিডিএফ তৈরী
- থ্রিডি মডেল পেইন্টিং কাজে ফটোশপ
- ফটোশপ পেইন্টিং
- ফটোশপ পেইন্টিং : ব্রাশের নানারকম ব্যবহার
- ফটোশপে স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে ইমেজ ব্যাচ প্রসেসিং
- চোখের রং পরিবর্তন
- এক ছবির অংশে আরেক ছবি ব্যবহার
গ্রাফিক ডিজাইন
- ইমেজের ব্যাকগ্রাউন্ড বাদ দিন সেরিফ ফটোপ্লাসে
- থ্রিডি টেক্সট এর জন্য কুল থ্রিডি
- ভাল লোগো তৈরীর নিয়ম
- কোরেল পেইন্টার কেন ব্যবহার করবেন
No comments:
Post a Comment