Wednesday, August 17, 2011

ইনবাউন্ড মার্কেটি থেকে আয় বাড়ানো

ইনবাউন্ড মার্কেটিং তুলনামুলক নতুন শব্দ। উইকিপিডিয়ায় বলা হয়েছে ইনবাউন্ড মার্কেটিং হচ্ছে একধরনের পরিকল্পনা যার মাধ্যমে ক্রেতা খুজে বের করা যায়। বিষয়টিকে খুব নতুন মনে হচ্ছে না নিশ্চয়ই। খবরের কাগজ, টিভি, ইন্টারনেট ইত্যাদিতে বিজ্ঞাপন দেয়া হয় ক্রেতা খোজার জন্যই। তারপরও বর্তমানে ইনবাউন্ড মার্কেটিং নতুন মাত্রায় পৌছেছে এটাও স্বিকার করবেন।
একটা উদাহরন দেখুন। আপনি কখন কোন ওয়েব পেজে ভিজিট করেন, কোথায় ক্লিক করেন, কোন ধরনের সাইট ব্যবহার করেন এসব তথ্য জমা হয় আপনার কম্পিউটারে (কুকি)। গুগল সেটা দেখে আপনার পছন্দ সম্পর্কে ধারনা পায় তারপর তারসাথে মিল রেখে বিজ্ঞাপন পাঠায়। আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন আপনার ভিজিটের সময় যে এডসেন্স (এড চয়েজ) বিজ্ঞাপন দেখা যায় সেগুলি নিয়েই আপনি বেশি আগ্রহি।
বিষয়টি এখানেই থেমে নেই। গুগল-এপল স্মার্টফোন থেকেও তথ্য সংগ্রহ করে সমালোচিত হয়েছে। আপনার স্মার্টফোন থেকে আপনার অবস্থান জানা যায় (জিপিএস এর মাধ্যমে)। সেখান থেকে আপনার চলাচল, আগ্রহ ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করে আপনাকে একসময় ক্রেতায় পরিনত করা হয়।
গুগল-এপল সমালোচিত হয়েছে কারন তারা একাজ করেছে আপনার অজান্তে। আপনি যদি অন্যের ব্যক্তিগত গোপনিয়তা রক্ষা করে নিজে ব্যবসা করতে চান তাতে সমস্যা নেই নিশ্চয়ই।
ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর মুল বিষয় ৩টি। কন্টেন্ট মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এবং সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
কন্টেন্ট মার্কেটিং কে বলতে পারেন লিফলেটের মত কিছু। সাধারনভাবে একটি বিজ্ঞাপনের লিফলেট কারো হাতে দিলে তিনি ততটা গুরুত্বপুর্র মনে করেন না। কিন্তু যদি শুধু বিজ্ঞাপনের বদলে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়া হয় তাহলে তিনি সেটা রেখে দেন। এভাবেই আপনি নানাধরনের প্রয়োজনীয় বিষয় পৌছে দিতে পারেন অন্যের কাছে। সেইসাথে প্রচার। বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেটা করা তুলনামুলক সহজ। ইন্টারনেটে বিনামুল্যের শিক্ষামুলক বই, টিউটোরিয়াল, ভিডিও, গেম ইত্যাদি করা হয় একারনেই। লক্ষ করলে দেখবেন ভিডিও গেমের মধ্যেই কোন কোম্পানীর বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে এই সাইটে বেশকিছু লেখা রয়েছে। নতুন করে এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে না।
সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করেও আপনি ব্যবসার প্রচার করতে পারেন। হয়থ লক্ষ্য করেছেন প্রায় প্রতিটি বড় ব্যবসা প্রতিস্ঠানের ফেসবুক-টুইটার পেজ রয়েছে। কারন একটিই, প্রচার বাড়ানো।
আপনি যে ব্যবসাই করুন, ইনবাউন্ড প্রচারে সাফল্য পেতে পারেন। যদি ইন্টারনেট ভিত্তিক কাজ করেন তাহলে যোগাযোগের সমস্ত কাজই হতে পারে এর মাধ্যমে।
ইন্টারনেট ভিত্তিক ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধে হচ্ছে, আপনি খুব সহজে অনেক বেশি মানুষের কাঝে তথ্য প্রচার করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেটে আয়

No comments:

Post a Comment