Monday, August 22, 2011

ফ্রিল্যান্সিং কাজে মুল্য নির্ধারন

আপনি যখন ফ্রিল্যান্সার তখন কাজের মজুরী বা মুল্য যাই বলুন না কেন সেটা ঠিক করার দায়িত্ব আপনার। আপনি বলে দেবেন অমুক কাজের জন্য কত পারিশ্রমিক নেবেন। অনেক সময় এর ওপর নির্ভর করে আপনি কাজটি পাবেন কিনা।
পারিশ্রমিক কি এমনভাবে ঠিক করা যায় যা থেকে আপনার কাজ পেতে সুবিধে হবে ? ক্লায়েন্টকে আগ্রহি করা যাবে ? পারিশ্রমিক ঠিক করার সময় লক্ষনীয় বিষয়গুলিই বা কি ? একাধিক ধরনের পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা কি করা যায় ?
আপনার চারিদিকের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিস্ঠানের দিকে একবার দৃষ্টি দিন। অমুক দোকানে বলা হচ্ছে বিশাল অফার। বিশেষ সময়ের জন্য হ্রাসকৃত মুল্যে বিক্রি। আরেক কোম্পানী বলছে একটি কিনলে আরেকটি ফ্রি। আরেক কোম্পানী বলছে ১ মাসের জন্য ফি এত, ১ বছরের জন্য হলে এত।
এই বিষয়গুলিকে কাজের মুল্য নির্ধারনে ব্যবহার করুন। বিশেষ সময়ের জন্য কম খরচে সেবা দেয়ার সুবিধে হচ্ছে এই সময়ে আপনি বেশকিছু ক্লায়েন্ট তৈরী করতে পারেন। আর দীর্ঘকালীন কাজের সম্ভাবনা থাকলে অনায়াসে কাজের মুল্য কম নিতে পারেন।
কাজের মুল্য ঠিক করার জন্য যে বিষয়গুলির দিকে দৃষ্টি দিতে পারেন;
.          ক্লায়েন্টের কাছে কি নিয়মিত কাজ পাবেন ? সেই কাজের পরিমান কত ? ৬ মাসে কিংবা ২ বছরে ? সেক্ষেত্রে আপনি দীর্ঘকালিন সময় হিসেব করে মুল্য নির্ধারন করতে পারেন। যেহেতু পরবর্তীতে আপনাকে ক্লায়েন্ট খুজতে যেতে হচ্ছে না সেহেতু আপনার সময়-অর্থ-শ্রম ইত্যাদির শাস্রয় হচ্ছে। কাজেই আপনি তাকে সুবিধে দিতে পারেন। যদি সে সম্ভাবনা না থাকে তাহলে আপনি সাধারন পারিশ্রমিক নেবেন এটাই সংগত।
.          একই সময়ে যদি একাধিক কাজ করতে হয় তাহলে বেশি কাজের জন্য খরচ কমাতে পারেন। দোকানে আপনি বেশি জিনিষ কিনলে যেমন সুবিধে পান সেই নিয়মে। আগেই এজন্য মুল্য নির্ধারন করে রাখুন এবং ক্লায়েন্টকে জানান।
.          নতুন ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবসার প্রচারের জন্য কম লাভে ব্যবসা করতে হয়। আপনার যদি যথেষ্ট পরিচিতি না থাকে তাহলে পরিচিতি বাড়াতে কিছু সময়ের জন্য তুলনামুলক কম পারিশ্রমিক নিন। কত সময়ের জন্য সেটা আগেই ঠিক করে নিন।
যা করবেন না তা হচ্ছে;
.          মুল্য কমানোর জন্য কাজের মান খারাপ করবেন না। ক্লায়েন্ট আপনার কাজের মানের কথা মনে রাখবেন এবং পরবর্তিতে কাজ দেবেন কিনা সেটা প্রশ্নের সম্মুখিন হবে।
.          বিনামুল্যে কাজ করবেন না। যে বিনামুল্যে কিছু আশা করে সে সবসময়ই সেটাই আশা করে।
.          এক কাজের খরচ অন্য কাজের সাথে যোগ করবেন না। প্রতিটি কাজের মুল্য আলাদা আলাদাভাবে বুঝে নিন। যদি কোন কাজের মুল্য ছেড়েও দিতে হয় সেটা সেই কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন।
.          বাকি রাখবেন না। যদি এই পেশায় নতুন হয়ে থাকেন তাহলে নিশ্চিত জেনে রাখুন, বাকি ক্রমাগত জমতে থাকবে এবং একসময় তিনি আপনাকে ছেড়ে আরেকজনের কাছে বাকি শুরু করবেন।
আপনার নিজের কোন বক্তব্য বা অভিজ্ঞতার কথা অন্যদের জানাতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেটে আয়

No comments:

Post a Comment