Tuesday, January 31, 2012

ফ্রিল্যান্সিং কাজে সময় ঠিক করার পদ্ধতি

আপনি কি জানেন আপনার পরবর্তী কাজ শেষ করতে কতটুকু সময় প্রয়োজন হবে ? অন্তত মোটামুটি ধারনা থাকা উচিত। কারন আপনাকে কাজ জমা দিতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই। সেইসাথে অন্য কাজ থাকলে তার ওপর যেন প্রভাব না পড়ে সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে।
ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতার মধ্যে একটি হচ্ছে সঠিক হিসেব করা। কাজের দাম এবং সময় দুটিই। সময় হিসেব করার জন্য সহজ কিছু পদ্ধতি এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে।
.          কাজ সম্পর্কে ভালভাবে জানা
যদি দীর্ঘকালিন কাজে হাত দিতে যান তাহলে আগে ভালভাবে কাজটি সম্পর্কে জেনে নিন। কাজের জন্য ক্লায়েন্ট আপনাকে কি কি দেবে, আপনাকে কি কি তৈরী করতে হবে তার তালিকা বানিয়ে নিন। কোন বিষয় স্পষ্ট না হলে ক্লায়েন্টের কাছে জেনে নিন।
যদি সরাসরি ক্লায়েন্টের বদলে কোন মাধ্যমের সাথে যোগাযোগ হয় তাহলে বিষয়টি আরো জটিল। মাঝের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ভুলের কারনে ফ্রিল্যান্সারকে সমস্যায় পরতে হতে পারে। সেকারনে সেখানে সাবধানতা অবলম্বন করা আরো গুরুত্বপুর্ন। আগে নিশ্চিত হন সেই মাধ্যম কাজের কারিগরি দিক এবং ক্লায়েন্টের প্রয়োজন দুটি বিষয় বোঝেন।
ফ্রিল্যান্সারের কাজে দক্ষতা ছাড়াও একটি প্রধান যোগ্যতা সঠিক যোগাযোগ। সময়মত যোগাযোগ না করে শুধু কাজকে বেশি গুরুত্ব দিলে সমস্যা তৈরী হতে পারে। প্রত্যেকেই নিজের লাভ আগে দেখে, একথা মনে রেখে ফ্রিল্যান্সারের দায়িত্ব নিজের আসলে লাভ কতটুকু সেটা হিসেব করে নেয়া।
.          কি কি প্রয়োজন হবে জানা
ওয়েব ডিজাইনের কাজ নিচ্ছেন, আগে কি খোজ নিয়েছেন সেজন্য কি কি প্রয়োজন হবে। হয়ত একজন গ্রাফিক ডিজাইনার প্রয়োজন, হয়থ একজন ফটোগ্রাফার প্রয়োজন, হয়ত একজন সহকর্মী প্রয়োজন কিংবা বিশেষ সফটঅয়্যার প্রয়োজন। পুরো কাজে কি কি প্রয়োজন হবে সেটা ঠিক না করলে সঠিক সময়ে কাজ শেষ করা কষ্টকর হয়ে দাড়াতে পারে।
প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই কাজ কিছুটা করার পর ক্লায়েন্টকে দেখিয়ে তার মতামত নিতে হয়। তিনি আগের সিদ্ধান্ত বদল করে নতুন কিছু করতে পারেন, নতুন বিষয় যোগ করতে পারেন। তিনি কতবার মত পরিবর্তনের কাজ করবেন তার ওপর কাজ শেষ হওয়া নির্ভর করে। বিষয়টি আগেই নির্দিষ্ট করে নিন, বড় ধরনের পরিবর্তন হলে সময় বেশি প্রয়োজন হবে এভাবে চুক্তি করুন।
ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ কিভাবে হবে সেটাও আগেই ঠিক করে নিন। আপনি তার মত নেয়ার জন্য তৈরী কিন্তু তিনি ব্যস্ত, একারনে আপনার অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হতে পারে।
.          আগের অভিজ্ঞতা থেকে হিসেব করা
আগে এধরনের কাজে কতটা সময় লেগেছে সেই অভিজ্ঞতায় সময় ঠিক করুন। আপনি একেবারে মিনিট কিংবা ঘন্টা হিসেব করে কাজ শেষ করতে পারেন না। বিদ্যুতের সমস্যা হতে পারে, কম্পিউটারে সমস্যা হতে পারে। যে কোন কারনেই সময় বেড়ে যেতে পারে। সবসময়ই সমস্যা সমাধানের জন্য অতিরিক্ত সময় হাতে রেখে সময় ঠিক করুন।

হয়ত কোন কাজের জন্য আপনার ৪ ঘন্টা কম্পিউটারের সামনে থাকা প্রয়োজন হচ্ছে। একে ৪ ঘন্টার কাজ ধরে নেবেন না। ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগের সময়, কাজের পরিকল্পনার জন্য সময়, মোটামুটি কাজ করার জন্য সময়, তাকে চুড়ান্ত করার জন্য সময়, পরিবর্তনের জন্য সময় এভাবে ভাগ ভাগ করে হয়ত দেখা যাবে সেটা ১২ ঘন্টা কিংবা আরো বেশি সময়ের কাজ। আপনি যদি ৪ ঘন্টার জন্য টাকা নেন তার অর্থ বাকি ৮ ঘন্টা বিনামুল্যে কাজ করা।

সময় ঠিক করার জন্য একেকজন একেক ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করেন। একেকজনের সম্ভাব্য সমস্যার কারনও একেরকম। কাজেই একেবারে নির্দিষ্ট করে বিশেষ কিছু পদ্ধতিতে সবসময় ভাল ফল পাবেন এমন কথা নেই। সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে। একবার কোন সমস্যা হলে পরবর্তীতে তার জন্যও প্রস্তুতি রাখুন।


ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেটে আয়

2 comments:

  1. Usually how many howers or days are given to submit an article from the time of appointing the job? Please be kind enough to answer.

    ReplyDelete
    Replies
    1. বিষয়টি পুরোপুরি নির্দিষ্ট কাজের ওপর নির্ভর করে। উদাহরন হিসেবে, সাধারন একটি লোগো তৈরীর জন্য ২ দিন সময় দেয়া হতে পারে, কিংবা নির্দিষ্ট কয়েক পৃষ্টা ডাটা এন্ট্রির জন্য ১ সপ্তাহ সময় দেয়া হতে পারে। আবার সময়ভিত্তিক কাজও হতে পারে। আপনি সপ্তাহে ৫টি করে ব্লগপোষ্ট লিখবেন কিংবা প্রতিসপ্তাহে ১০ পৃষ্ঠা ডাটা এন্ট্রি করবেন ইত্যাদি। সাধারনভাবে ফ্রিল্যান্সিংকে পার্টটাইম এবং ঘন্টা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যখন কাজের বর্ননা দেয়া হয় তখনই আপনি দেখে নিতে পারেন তিনি দৈনিক কতঘন্টা কাজ আশা করছেন। এই সাইটেই ফ্রিল্যান্সার সাইটের কাজের সংক্ষিপ্ত বর্ননা রয়েছে, দেখে কিছুটা ধারনা পেতে পারেন। সেখানে ক্লিক করলে আরো বিস্তারিত তথ্য পাবেন।

      Delete