Sunday, January 1, 2012

অর্থ লেনদেনের জন্য ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন

অনলাইনে অর্থ লেনদেনের সবচেয়ে কার্যকর এবং জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড এবং পেপল। বাংলাদেশে এদুটি ব্যবহারের সুযোগ নেই। সেকারনে অন্য যে পদ্ধতিগুলি রয়েছে সেগুলি নিয়ে ভাবতে হয়। ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ম বাংলাদেশে ব্যবহার করা যায়। সেকারনে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে এই ব্যবস্থা সম্পর্কে।
কোন পদ্ধতি সম্পর্কে জানার সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হচ্ছে সে সম্পর্কে অন্যের মতামত জানা। যারা ব্যবহার করেছেন বা করছেন তারা খুশি হলে প্রশংসা করেন, সমস্যায় পড়লে সমালোচনা করেন। ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন সম্পর্কে ইন্টারনেটে পাওয়া এধরনের কিছু রিভিউ এখানে তুলে ধরা হচ্ছে।
.          আমার মনে হয়েছে তারা অর্থ চুরির চেষ্টা করছে। আধঘন্টা চেষ্টা করে তাদের ফরম পুরন করলাম, সেটা অনুমোদন হলে লাগল আরো আধঘন্টা। এরপর বলা হল ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়নে ফোন করতে হবে। সেটা করা হল। এরপর আমাকে বলা হল ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন আমার সাথে কথা বলবে।
যে কথা বলা হল সেগুলি নানা ধরনের প্রশ্ন। আমার বাড়ি কোথায়, জন্ম কোন দেশে, কি করি, কোন ব্যাংকে একাউন্ট আছে, টাকা কোথায় পেয়েছি, যাকে টাকা পাঠাচ্ছি তারসাথে কখন শেষ দেখা হয়েছে এধরনের প্রশ্ন। এরপর বলা হল ব্যাংক ষ্টেটমেন্ট সহ অন্যান্য তথ্য দিতে হবে।
সবশেষে বলা হল আমাকে টাকা ফেরত দেয়া হবে না, বদলে চেক দেয়া হবে। সেই চেক পেতে আরো ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করতে হল।
তাদের খেলা কোথায় আমি জানি না কিন্তু কিছু একটা বিষয় নিশ্চয়ই আছে। হয় তাদের ভালভাবে ব্যবসা করা উচিত অথবা ব্যবসা ছেড়ে দেয়া উচিত।
আমি একটি সুপরিচিত আন্তর্জাতিক প্রতিস্ঠানে কাজ করি। ড্রাইভিং লাইসেন্স, সোস্যাল সিকিউরিটি কার্ড, আইড এসব দেখানোর পরও আমার এই অভিজ্ঞতা। আমি আর কখনো ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ম ব্যবহার করব না।
.          আমার টাকা চীনে পৌছাতে প্রায় ১ মাস সময় লেগেছে। এই সময়ে আমাকে ৬-৭ জনের সাথে কথা বলতে হয়েছে। তাদের অনেকেই জানে না তারা কি বলবে।
.          সময় নষ্ট। টাকা পাঠানোর চেষ্টা করে আমার মনে হয়েছে তারা আমাকে কিবাবে বাদ দেবে সেই সুযোগ খুজছে। আমি সময় নষ্ট করিনি। কোন অভিযোগও করিনি কারন আমাকে সেবিষয়ে সাবধান করা হয়েছে।
.          ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়নের গিফট কার্ড ভুয়া। তাদের একটি গিফট কার্ড রয়েছে। আপনি সেটার জন্য যে টাকা দেবেন সেটা তারা মেরে দেবে। হয়ত একটি কার্ড হাতে পেতে পারেন যা কাজ করে না।
.          আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা। এই কোম্পানী পুরোপুরি ব্লাকমেইলের ওপর চলে। আমি আমার টাকা ফেরত পাইনি, অন্যভাষায় আমার টাকা মেরে দেয়া হয়েছে।
.          কেউ এই ব্যবসা বন্ধ করুন। আমি টাকা দেয়ার পর কি খবর জানতে চাইলে ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করেও কাজ হয়না। অনলাইন, ফোন কোনভাবেই টাকা পাঠানো সম্ভব হল না। একাজ পেপলে করতে ১ মিনিট লাগে।
সম্ভবত আরো অভিজ্ঞতা  উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। পুরো ইন্টারনেট জুড়ে ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন সম্পর্কে এধরনের বহু মতামত। অনেক ক্ষেত্রেই সমালোচনার পাশাপাশি দুএকটি ভিন্নমত পাওয়া যায়, ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়নের পক্ষে একটি মতেরও দেখা পাওয়া যায়নি।
এই সেবা ব্যবহার করবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত আপনার।
ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেটে আয়

3 comments:

  1. ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে একটি প্রতিষ্ঠিত ও বিশ্বস্ত রেমিটেন্স প্রেরন সংস্থা। কিন্তু এই তথ্যগুলো জানা ছিলনা।

    ReplyDelete
  2. Do you need $100 daily! You should registered on this link and click on ads.It is an ptc site which give you more than 100 doller everyday. So hurry up do this

    http://www.3dollarptc.com/index.php?ref=shatil007

    ReplyDelete
  3. পিটিসি সাইট সম্পর্কে সাধারন অভিজ্ঞতা হচ্ছে ক্লিকপ্রতি ১ সেন্টের বেশি দেয়া সাইটগুলি ৩ মাসের বেশি স্থায়ী হয় না।

    ReplyDelete